নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৩ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০১৯
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, বিমানে কী পরিমাণ তেলের দরকার হয়? বোয়িং ৭৪৭ এর মতো একটি বিমান প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ গ্যালন বা ৪ লিটারের মতো তেল ব্যবহার করে। অর্থাৎ যদি একটি বিমান ১০ ঘণ্টার জন্য উড়াল দেয় তার জন্য প্রায় ৩৬ হাজার গ্যালন বা দেড় লাখ লিটার তেলের দরকার হয়। প্রতি কিলোমিটার বিমানটি চলার জন্য প্রায় ৩ গ্যালন বা ১২ লিটার তেলের দরকার পড়ে।
মনে হতে পারে, বিশাল পরিমাণ তেল খরচ করে খুব দূরত্ব অতিক্রম করে বিমান। কিন্তু এটা যদি বিবেচনা করেন, একটা বোয়িং বিমান ৫৬৮ জন যাত্রী বহনে সক্ষম। আমরা যদি ধরি, সবগুলো সিট পূর্ণ হয়নি, তাহলেও ৫০০ যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়াল দেয়। বিমানটি ৫০০ জনকে নিয়ে ৫ গ্যালন তেলে ১ মাইল পাড়ি দেয়। অর্থাৎ প্রতিজনের জন্য প্রতি মাইলে .০১ গ্যালন তেল খরচ হয়। অর্থাৎ প্রতিজনের জন্য ১ গ্যালনে ১০০ মাইল পাড়ি দিচ্ছে বিমানটি। যেখানে একটি সাধারণ কার প্রতি গ্যালনে মাত্র ২৫ মাইল যেতে পারে। সে হিসেবে একটি কার যদি চারজন মানুষকেও বহন করে সেখানে বিমানে ঘণ্টায় ৫৫০ মাইল বা ৯০০ কি.মি. পাড়ি দেয়া বিমানের খরচটা কি আহামরি বেশি!
বাংলা ইনসাইডার/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন