নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিত্য ব্যবহার্য ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যগুলো হয়ে উঠছে আরও স্মার্ট, আরও আধুনিক। সেই পথ ধরে গৃহস্থালি নানা পণ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যার ফলে স্মার্ট ফোনে আলতো ছোঁয়া, ভয়েস কমান্ড অথবা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কাজ করতে পারছে ইলেক্ট্রনিক্স সব পণ্য।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টিভি এমন প্রযুক্তি যা ইউটিউব ভিডিও, চ্যানেল পরিবর্তনসহ ব্যবহারকারীর সকল কমান্ড ফলো করতে পারে। টেক জায়ান্ট এলজি’র অন্য কয়েকটি মডেলের মতো আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভিতেও এই প্রযুক্তিটি রয়েছে।
কী আছে এলজি’র আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভিতে?
এলজি’র আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভিতে রয়েছে এমন কিছু ফিচার যা মুহূর্তের মধ্যে আপনার কাজ কমিয়ে দেবে। যেমন ধরুন, ‘ডু আই নিড অ্যান আমব্রেলা?’ এটা বলার সাথে সাথেই টিভি আপনাকে আবহাওয়ার তথ্য দিয়ে দেবে। আবার যদি বলেন, ‘বেস্ট রেস্টুরেন্টস নিয়ার মাই প্লেস’, তাহলে টিভিই আপনার সামনে রেস্টুরেন্টসের সব তথ্য হাজির করবে। রান্না করতে চাইছেন, রেসিপি দরকার? খোঁজাখুঁজির দরকার নেই, টিভিকে বলুন। ব্যাস, এলজি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টিভিই আপানাকে দেখিয়ে দেবে লোভনীয় সব রান্নার রেসিপি। ঠিক একইভাবে শুধুমাত্র মুখে নির্দেশ দিয়েই আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভিকে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করাতে পারবেন আপনি।
এলজি’র টিভি প্রোডাক্ট ম্যানেজার আশিকুল ইসলাম বলেন, আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভিগুলোতে রয়েছে আরও বেশকিছু ফিচার, যা দিচ্ছে বাড়তি স্বস্তি এবং স্বাচ্ছন্দ। এই টিভিগুলো ইন্টারনেট ছাড়াই ভলিউম কমানো-বাড়ানো, চ্যানেল পরিবর্তনসহ আট শতাধিক ভয়েস কমান্ড অনুসরণ করতে পারে। যেমন ধরুন, আপনি কমান্ড করলেন, ‘ভলিউম টোয়েন্টি’, আর সঙ্গে সঙ্গেই টিভির ভলিউম টোয়েন্টিতে চলে গেল। আবার ‘টার্ন অফ দ্য টিভি’ কমান্ড করলে নিজে থেকেই টিভিটা বন্ধ হয়ে যাবে।
থিংককিউ এআই ছাড়াও এলজি আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি’তে আছে আইপিএস ফোরকে প্যানেল, যা আপনাকে দেবে ১৭৮ ডিগ্রি পর্যন্ত ওয়াইড ভিউয়িং পিকচার কোয়ালিটি। আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভি’র ম্যাজিক রিমোট স্মার্ট অপারেশনের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও আইপিএস ফোরকে ইউএইচডি টিভি’তে পাচ্ছেন ৪ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি, যা এলজি’র দীর্ঘস্থায়িত্বের প্রমান দেয়।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন