নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯
থ্রিডি প্রিন্টের সাহায্যে পূর্ণাঙ্গ মানবহৃদয় বানিয়েছেন ইসরায়েলের তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। সত্যিকারের হৃৎপিণ্ড যেসব কাজ করতে পারে তার সবই করতে পারে এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড। তবে এর কর্মক্ষমতা এখনও উন্নত নয়। একারণে এর মান উন্নততর করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় নেতৃত্বে থাকা বিজ্ঞানী তেল দেভির জানিয়েছেন, এই হৃদযন্ত্রের পাম্পিং ক্ষমতা থাকলেও তা এখনও যৎসামান্য। হৃদযন্ত্রটির পাম্পিং ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষ।
কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডটি দেখতে একটি ছোট্ট চেরি ফলের মতো বলে জানা গেছে। তবে প্রকোষ্ঠ, কোষ, ধমনিসহ সব জৈব অনুই রয়েছে এই ছোট্ট জিনিসটির মধ্যে। এই হৃৎপিণ্ডটি বিশ্বের প্রথম থ্রিডি প্রিন্টেড সফল হার্ট বলেই উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। ভবিষ্যতে এটি অঙ্গদানের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিতে পারবে বলে শা করছেন তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন