নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৫ এএম, ২২ এপ্রিল, ২০১৯
বিশেষ কোনো দিবস বা উপলক্ষ্য মানেই সার্চইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলে বিশেষ আয়োজন গুগল ডুডল। আজ অ্যানিমেশন ডুডলের মাধ্যমে ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ পালন করছে সার্চইঞ্জিনটি। আজ সোমবার প্রথম প্রহর থেকেই গুগলের হোমপেজে ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’র শুভেচ্ছা হিসেবে এ ডুডল দেখতে পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
গুগলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে ‘হ্যাপি আর্থ ডে ২০১৯’। তারপর এতে ক্লিক করলে দেখা যাচ্ছে, বৃহত্তম সামুদ্রিক পাখি অ্যালবাট্রোস উড়ে যাচ্ছে। তার নিচে ক্লিক করলে মাটি ফুঁড়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় রেড উডের গাছ। পাশে লেখা-‘৩৭৭ ফুটের উচ্চতায় আমি ৭৫ মানবের উচ্চতার সমান এবং আমিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাছ’।
এভাবে পর্যায়ক্রমে ছোট ব্যাঙ, আমাজন বনের বৃহদাকার জলজ পদ্ম (একটু ছোট আকৃতির মানুষ এর ওপরে বসতে পারে), ৪০ কোটি বছর আগ থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকা সামুদ্রিক মাছ কোয়েলাক্যান্থ, গভীর গুহার নিচে বসবাসকারী পাখাবিহীন স্প্রিং টেল পতঙ্গসহ পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যকে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালন করা শুরু হয়। উদযাপনে পিছিয়ে নেই ইন্টারনেট দুনিয়াও।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন