নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩২ এএম, ১৫ মে, ২০১৯
পর্দার মানুষগুলো বাস্তবে কীভাবে জীবন কাটায় তা নিয়ে আমাদের উৎসাহের কোনো কমতি নেই। তারা কীভাবে চলে, কোথায় যায়, কি করে, জীবনযাত্রায় কি ব্যবহার করে- তাতেই আমাদের মূল আগ্রহ। দেশের বর্তমান জনপ্রিয় টিভি তারকা মোশাররফ করিম, তার ভক্ত নয় এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পর্দার বাইরে তিনি কেমন, সেটা তো আমাদের অনেকেরই অজানা।
মোশাররফ করিম অসম্ভব ব্যস্ত অভিনেতা, পাশাপাশি স্ত্রী রোবেনা রেজা জুঁইও এখন অভিনয়ে মোটামুটি নিয়মিত। তিনি নিজের সম্পর্কে নিজেই বলেন তিনি নাকি খুব একটা সাংসারিক নন, কাজের কারণে সংসারে সময় দেওয়ার ফুসরতও তার খুব কম। তবুও সংসার চলে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে, সুন্দরভাবে।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, মোশাররফ করিম এবং জুঁইয়ের বাসার প্রতিটি ইলেকট্রনিক পণ্যই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘এলজি’র। এই একটি ব্র্যান্ডের প্রতিই এত ভালোবাসা বা আকর্ষণ কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তারা প্রথমে এতোকিছু বুঝে এই পণ্য কেনেননি। তারা যাচাই-বাছাই করে খুব যে গুণাগুণসম্পন্ন কোনো পণ্য ভেবে ওটা কিনেছিলেন, তাও নয়। সংসারে সবার প্রথমে কেনা হয় এলজি’র ফ্রিজ, সংসারে সেটিই ছিল প্রথম কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য। সেটা এখনো দিব্যি বহাল তবিয়তে ভালো রয়েছে। ঠাণ্ডা করার কাজটি ফ্রিজ বেশ ভালোভাবেই করছে। সেটার সার্ভিস ভালো দেখেই থেকেই তো ভালো ইলেকট্রনিক পণ্য হিসেবে একটা আস্থা চলে আসে এলজি’র প্রতি। বাসায় একের পর এক আসতে থাকে এলজি’র টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, এসি। ইলেকট্রিক বিলও অন্য পণ্যের তুলনায় অনেক কম আসছে। তাই নিঃসন্দেহে এলজি’র পণ্য মোশাররফ-জুঁই জুটির কাছে সেরা।
তাই এককথায় এটাও বলা যায়, ‘সারা বাংলাদেশ মোশাররফ করিমের ফ্যান, আর স্বয়ং মোশাররফ করিম এলজি’র ফ্যান।’
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন