নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ২৩ জুন, ২০১৯
শাওমিপ্রেমীদের জন্য এবার সুখবর। চীনা টেক জায়ান্ট শাওমি তাদের নতুন স্মার্টফোন সিরিজ আনার ঘোষণা দিয়েছে। গতবছরেই স্মার্টফোন ও স্মার্টফোনের জন্য বিউটি ক্যামেরা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘মেইটো’র সঙ্গে অংশীদারিত্ব চুক্তি করে শাওমি। এই চুক্তির ভিত্তিতে নতুন সিরিজের ফোন আনছে শাওমি। ‘সিসি ৯’ ও ‘সিসি ৯ই’ নামের ভিন্ন দুটি মডেলের স্মার্টফোন আসতে চলেছে।
শাওমির নতুন সিরিজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিসি’ (CC), যেটিকে তারা বলছে ‘কালারফুল’ এবং ‘ক্রিয়েটিভ’। নতুন এই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোতে শাওমির হার্ডওয়্যার ও মেইটোর ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। নতুন সিরিজটিতে ছবি তোলার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। ক্যামেরায় থাকবে বেশকিছু ফিচার ও বিউটিফিকেশন মোড, যা ব্যবহার করা হবে মেইটোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এলগরিদম।
গেল বছর শাওমি তাদের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মি ৭’ মডেল বাদ দিয়ে সরাসরি ‘মি ৮’ মডেল এনেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন সিরিজ হিসেবে তার ‘সিসি ৯’ যোগ করেছে। সম্প্রতি অনলাইনে এই মডেলের সম্ভাব্য ছবি ও কনফিগারেশন ফাঁস হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফোনে ৪৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ও ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা থাকতে পারে। ফোনটি ৬ ও ৮ গিগাবাইট র্যামের দুটি ভিন্ন সংস্করণে আসতে পারে। এছাড়া ব্যাটারি হতে পারে ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ও চার্জ করার জন্য থাকবে ১৮ ওয়াটের চার্জার। তবে ফোনগুলো কবে আসছে সবার সামনে সেটা এখনো জানা যায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন