নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৭ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০১৯
রাজধানীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী গ্রীষ্মকালীন ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা ২০১৯। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষা। বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সারা বছরজুড়ে সব ফোনপ্রেমীদেরই অপেক্ষা থাকে স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা কবে আবার আসছে। তাদের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় আয়োজন। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনের গ্যাজেট নিয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এক্সপো মেকারের এটি ১২তম আসর।
প্রতিবারের মতো এবারেও মেলায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এবারের মেলায় প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে অংশ নিচ্ছে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড স্যামসাং, হুয়াওয়ে ও অপ্পো। গোল্ড স্পন্সর হিসেবে অংশ নিচ্ছে ভিভো ও ডিএক্স টেল। আর সিলভার স্পন্সর হিসেবে অংশ নিচ্ছে মটোরোলা।
স্যামসাং স্মার্টফোন ও ট্যাব বিক্রি করার পাশাপাশি মেলায় একটি গেইমিং জোনও রেখেছে। মেলায় ডিএক্স টেল এনেছে শাওমির সব পণ্য। সেখানে শাওমির স্মার্টফোন, স্মার্ট ব্যান্ড, মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ পাওয়া যাচ্ছে। হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের পাশাপাশি ট্যাব, স্মার্ট ব্যান্ড ও মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ বিক্রি করছে। অপ্পো মেলায় তাদের স্মার্টফোন ও মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ নিয়ে এসেছে। ভিভো স্মার্টফোন নিয়ে অংশ নিচ্ছে এবারের মেলায়। মটোরোলা তাদের সর্বশেষ মডেলের সব স্মার্টফোন এনেছে মেলাতে।
এসব ব্র্যান্ড ছাড়াও মেলায় স্মার্টফোন নিয়ে আসছে আইফোন, নোকিয়া, ম্যাক্সিমাস, রিয়েলমি, ইউমিডিজি তাদের স্মার্টফোন ও অ্যাক্সেসরিজ নিয়ে অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের উপর ছাড় ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
মেলায় প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় দান করা হবে।আর প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই মেলা। তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
এই আয়োজনের সব আপডেট ও খবর মেলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ https://www.facebook.com/events/381947959080960/ এ পাওয়া যাবে। এছাড়াও, প্রতিদিনের আপডেট পেতে মেলার ইভেন্ট পেইজে চোখ রাখুন https://www.facebook.com/STExpo।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন