নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০১৯
আজ থেকে ২০ বা ৩০ বছর পরে বুড়ো হলে চেহারা কেমন হবে তা দেখার জন্য একটা হিড়িক পড়ে যেন। চেহারা বদলের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয় অ্যাপ ফেসঅ্যাপের দখলে এখন বিশ্বের ১৫ কোটিরও বেশি মানুষের ছবি। আমাদের নিজেদের এই ছবি ফেসঅ্যাপের কাছে তুলে দেওয়াটা যে বিপদই ডেকে আনতে পারে তা আমরা বুঝতে পারছি কি?
অথচ আমরা জানিনা যে এসব ছবি যেকোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অনুমতিও দিয়ে ফেলেছি আমরা। কিন্তু এই ছবিগুলো দিয়ে পরবর্তীতে কি হবে, সেটাও জানিনা।
ফেসঅ্যাপ আমাদের চেহারার অভিব্যক্তি, ধরন ও বয়স বদলে ফেলতে পারে। পুরুষ থেকে নারী বা নারী থেকে পুরুষও বানিযে ফেলছে।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি অ্যাপটির নতুন ওল্ড মাস্ক সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে গেছে। ছবিতে এমনই অদ্ভুত সব পরিবর্তন আনার ক্ষমতা ফেসঅ্যাপ দিয়েছে। কিন্তু তার পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা ফেসঅ্যাপকে যেকোনো উদ্দেশ্যে, যখন ইচ্ছা নিজেদের ছবি ও নাম ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে।
গুগল প্লেস্টোর থেকে এ পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী ফেসঅ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। এখন তো অ্যাপল অ্যাপস্টোরেও ১২১টি দেশের মধ্যে এটি শীর্ষ র্যাংক পাওয়া অ্যাপ বলে জানিয়েছে অ্যাপ বিষয়ক জরিপ সংস্থা অ্যাপ অ্যানি।
২০১৭ সাল থেকেই বহুল ব্যবহৃত ও ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও বুড়ো হওয়ার নতুন ফিল্টারটি যোগ করার পর থেকে ফেসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা আবার বেড়ে গেছে ভার্চুয়াল জগতে। এরপর থেকে অনেকে এর ‘টার্মস অব সার্ভিস’ বা ‘সেবাদানের শর্তাবলী’ নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছে।
তারা অভিযোগ জানাচ্ছে যে, ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূতভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করছে ফেসঅ্যাপ।
ফেসঅ্যাপের টার্মস অব সার্ভিস অনুসারে, অ্যাপ দিয়ে তোলা বা এডিট করা নিজের ছবির মালিকানা ব্যবহারকারীরই থাকবে। কিন্তু সেই ছবিটি দিয়ে যা খুশি করার, যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করার বাতিলের অযোগ্য লাইসেন্স থাকবে ফেসঅ্যাপ কোম্পানির কাছে।
ছবিটি চাইলে কোম্পানি যেখানে সেখানে প্রকাশ করতে পারবে, সেটিতে পরিবর্তন আনতে পারবে। এমনকি ব্যবহারকারীর ইউজারনেমসহ ছবি অন্য পক্ষের কাছে দিয়ে দিতে পারবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ব্যবহারকারী শেয়ার করলে সেই অ্যাকাউন্টের লিংক, এমনকি প্রোফাইল পিকচারও যে কোনো ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করতে পারবে ফেসঅ্যাপ।
আর সেজন্য যার ছবি তাকে কোনো মূল্য দিতে হচেএকটি পয়সাও দিতে হবে না তাদের।
আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টিকে খুব একটা বিপজ্জনক মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া ফেসঅ্যাপ এক বিবৃতিতে বলেছে, আপলোড করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নিজেদের সার্ভার থেকে ছবি ডিলিট করে দেয় তারা। আর ব্যবহারকারীরা যে সব ছবি এডিটিং করার জন্য নির্ধারণ করেন শুধু সেসব ছবিই আপলোড করে থাকে অ্যাপটি, অন্য ছবি নয়।
সব আশঙ্কাকে ছাপিয়ে ফোনএরিনা’র লেখক পিটার কস্তাদিনোভের মতে, একজন ব্যবহারকারীই সিদ্ধান্ত নেবেন এসব ভবিষ্যৎ ব্যবহার বা অপব্যবহারের বিষয়গুলো তার জন্য দুশ্চিন্তার কিনা। দুশ্চিন্তার হলে ফেসঅ্যাপকে ছবি দেওয়া যাবে না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন