নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০১৯
শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মেসেজিং এর জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জার। অ্যাপটি আরও জনপ্রিয় করতে ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ৫টি ফিচার আনতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। গত মে মাসে ফেসবুকের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে মেসেঞ্জারের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন মার্ক জুকারবার্গ। সে অনুযায়ীই কাজে নামছে তারা।
জানা গেছে, মেসেঞ্জারকে শুধুমাত্র মেসেজিং ও কলিং অ্যাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে না ফেসবুক। তাদের চিন্তা এবার ভিন্ন। ২০২০ সালের মধ্যে আরও উন্নত মেসেঞ্জার অ্যাপ আনতে চাইছে তারা।
এবার জেনে নেবো মেসেঞ্জারের ৫টি নতুন ফিচার সম্পর্কে-
হতে যাচ্ছে গতি বৃদ্ধি
ফেসবুক তাদের মেসেঞ্জার অ্যাপের গতি আরও বাড়াতে চাইছে। তাকে সামনে রেখেই বেশকিছু ডিজাইন ও ইউআই-গত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি স্মার্টফোনে যাতে কম জায়গা নেয় মেসেঞ্জার অ্যাপ, সেই দিকেও রাখা হচ্ছে নজর। ৩০ এমবির কম আকারে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে মেসেঞ্জারকে।
ক্লোজ-ফ্রেন্ডস গ্রুপ
ফেসবুক অ্যাপে এই ফিচার থাকলেও মেসেঞ্জারে এ রকম কোনো ফিচার নেই। আগামী দিনে এই ফিচার থাকবে মেসেঞ্জারেও। পছন্দের কাছের বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করা যাবে গ্রুপ। ফেসবুক অ্যাপে কোনো পোস্টের প্রাইভেসি সেটিংসে সেই গ্রুপকে সিলেক্ট করা যাবে।
গ্রুপে ভিডিও দেখা
গেলো বছর জুলাইতেই চালু হয়েছিল ফেসবুক ওয়াচ পার্টি। সেই ফিচারে ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে ভিডিও দেখা যেত। সেই ফিচার জনপ্রিয়তা পাওয়ায় এবার মেসেঞ্জারেও এই ফিচার আনতে চাইছে ফেসবুক। ফলে গ্রুপে পছন্দের বন্ধুদের সঙ্গেই দেখা যাবে ভিডিও।
মেসেঞ্জার ডেক্সটপ অ্যাপ
মোবাইলের মতোই ডেক্সটপের জন্য অ্যাপ আনতে যাচ্ছে মেসেঞ্জার। বর্তমানে ফেসবুকে লগ ইন করার মাধ্যমে মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সহজে চ্যাট করা এবং ভিডিও কল করার সুবিধার উদ্দেশে এই অ্যাপ আনছে ফেসবুক।
আরও বেশি উন্নত চ্যাট বটের সুবিধা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাদের ফেসবুক পেজের মেসেঞ্জারে চ্যাট বট অপশান অন করে থাকেন। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাধিক মেসেজের উত্তর দেওয়া যায়। এই চ্যাট-বট আরও উন্নত ও মসৃণ করতে চাইছে ফেসবুক। অ্যাপয়েন্টমেন্ট তৈরি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সক্ষম চ্যাট-বট বানাতে কাজ করছেন ডেভেলপাররা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন