নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০১৯
নির্দিষ্ট সময় হলেই হুয়াওয়েকে নিজ দেশ চীনে ব্যবসায়ের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। হুয়াওয়েকে নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকজন উপদেষ্টা কিছুদিন আগেই এক বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকের পরই এলো ব্যবসায়ের লাইসেন্স ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে গুগল, কোয়ালকমসহ আরও জায়ান্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। হুয়াওয়েকে কালো তালিকা থেকে সরানোর জন্য গুগলও হোয়াইট হাউজকে অনুরোধ জানিয়েছিল।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হুয়াওয়ের পক্ষে সেই দেশে স্বাধীনভাবে ব্যবসার জন্য লাইসেন্স চেয়ে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর বৈঠকে নির্দিষ্ট একটা সময়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে অবশ্যই শক্ত থাকবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিসকো সিস্টেম ইনকর্পোরেশনের সিইও, ইন্টেল, ব্রডকম, কোয়ালকম, মাইক্রোন টেকনোলজি, ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল এবং আলফাবেট ও গুগলের প্রধান নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।
এই বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ হুয়াওয়েকে তাদের দেশে কালো তালিকায় ফেলে দেয়। ফলে তাদের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও হুয়াওয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে টেলিযোগাযোগ খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ে এখন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ খাতে বিশেষ করে ফাইভজি বিস্তারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। তবে কবে সেই নির্দিষ্ট সময়টা কবে আসবে তা কিন্তু হোয়াইট হাউজ এখনো জানায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন