নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০১৯
হিরো আলমের জনপ্রিয়তা আমাদের কাছে মোটামুটি তুঙ্গে। তাকে নিয়ে আলোচনার চেয়ে বেশি সমালোচনাই যেন বেশি হয়। এছাড়াও তিনি রীতিমত হাস্যরসেরও একজন পাত্র। তাকে নিয়ে আমাদের আগ্রহ, উপস্থাপনেরও কোনো শেষ নেই। এবার তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে নতুন একটি চমক। হিরো আলমকে নিয়ে এবার তৈরি হয়েছে ভিডিও গেমস। গেমসটির নাম ‘হিরো আলম মলম’। গুগল প্লে-স্টোরে গেলেই এখন সেটা পাওয়া যাচ্ছে।
‘অ্যাডভেঞ্চার পাজল’ ধরনের গেমের আদলে তৈরি করা হয়েছে ‘হিরো আলম মলম’ গেমটি। অন্যান্য ‘অ্যাডভেঞ্চার পাজল’ গেমের মতোই খেলতে হবে এটি। একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে কতগুলো বিপদজনক ধাপ অতিক্রম করার মধ্য দিয়ে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দিয়েই খেলা যাবে গেমটি। এর জন্য প্রয়োজন নেই বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন কোন মোবাইল ফোনের, খুব কম কনফিগারেশনের মোবাইল দিয়ে এই গেমটি খেলা যায়। গেমটিতে হিরো আলমকে প্রধান চরিত্রে রাখা হয়েছে। আপনি যখন গেমটি খেলবেন তখন আপনি নিজে হিরো আলমের ভূমিকায় থাকবেন। গেমে প্রতিটি ধাপ পার হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যারো বাটন, যেটা দিয়ে সামনে পিছনে কিংবা উপর নীচে যেতে পারবেন। কিছু কিছু বিপজ্জনক ধাপ অতিক্রম করতে পারলে রয়েছে পয়েন্ট বা শক্তি। যেতে যেতে রাস্তায় সামনে বাঘ সিংহের মতো জন্তু কিংবা অস্ত্রধারী শত্রু পড়বে। এদেরকে হত্যা করে এগোতে হবে সামনে। লাফ দিয়ে উপরের ধাপ কিংবা পথে যেতে পারবেন। এভাবে যেতে যেতে সর্বশেষ চুড়ায় ক্রস চিহ্নিত স্থানে পৌঁছাতে পারলেই জিতে যাবেন খেলায়।
এটি অ্যান্ড্রয়েড এর ৬৪-বিট এবং ৩-বিট উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই চলবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন