নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০১৯
বিশ্বের সেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। নিজেদের সতুনভাবে সাজাতে তাদের চেষ্টারও কোনো ত্রুটি নেই। এবার ফেসবুক তার লোগোটাই পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বদলে যাচ্ছে আগের নীলের উপর সাদা মোটা হরফের লোগো। ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মিনিমালিস্ট সরু হরফের লোগো আনতে যাচ্ছে ফেসবুক।
এর আগে ফেসবুকের লোগোটি ছিল ইংরেজীর ছোট হাতের হরফে। এবার পুরোটাই বড় হরফের হবে ফেসবুকের কর্পোরেট লোগো। তবে ফেসবুক অ্যাপে লোগোর কোনো পরিবর্তন আসছে না।
শুধু তাই নয়, জিআইএফের মতো করা হচ্ছে নতুন লোগো। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট কোনো রঙ নয়, একাধিক রঙে বদলাতে থাকবে হরফগুলি। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর এই লোগো যে বেশ অন্যরকম, তা বলাই বাহুল্য।
কি কারণে বদলানো হলো ফেসবুকের লোগো, তা এখনো পাকাপাকি জানা যায়নি। অনেকের মতে, ফেসবুক তার অ্যাপগুলোর বাইরেও নিজেদের পরিচিতিটা তুলে ধরতে চাইছে। কারণ ফেসবুক সংস্থার পরিচয় কেবলমাত্র ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নয়। সেটি ছাড়াও আরও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ যেমন, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটস্যাপের মালিক ফেসবুক। তাই একটি ব্র্যান্ড হিসাবে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ থেকে আলাদা করতেই এমন ভাবনা।
ফেসবুকের নতুন লোগো নিয়ে ব্র্যান্ডিং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। অনেকের মতে এই নতুন লোগোর ফলে ফেসবুকের ব্র্যান্ড হিসাবে ইম্প্যাক্ট বা রিলেটিবিলিটি কমতে পারে। আবার একাংশের মতে কেবলই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের বাইরে একটি সংস্থা হিসাবে এর ফলে ফেসবুকের প্রসার বৃদ্ধি পাবে।
খুব শীঘ্রই এই লোগো চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের ক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র: জিনিউজ
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন