নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৬ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শিক্ষা কার্যক্রমে বিশেষ (প্রতিবন্ধী) শিশুদের জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে। আইসিটি ল্যাবের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলছি।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক অনুসরণে প্রস্তুতকৃত ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কন্টেন্টের কার্যকর করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় ২২ লাখ অ্যাপস ডাউনলোড হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা শিশু শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।”
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, “আগামীতে বইয়ের পরিবর্তে কনটেন্ট দেয়া হবে। শিশু শিক্ষার্থীদের আর বই কাঁধে নিয়ে যেতে হবে না। এমন দিন আসতে খুব বেশি দেরি নাই। আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে নিজেদের মেধা, বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ড. তরুণ কান্তি শিকদার, সেভ দ্যা চিলড্রেনের উপদেষ্টা (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান, ব্র্যাক পরিচালক (শিক্ষা) কে এম মোরশেদ প্রমুখ।
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন