নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
শুরু হয়ে গেছে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে শুরু হয় সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণটি শেষ হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখার চেষ্টা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি রেটিনার কোষ ধ্বংস করে দিতে পারে, কর্নিয়া পুড়িয়ে দিতে পারে। তাই খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিজ নিজ কক্ষপথে চলমান অবস্থায় পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে এক সরলরেখায় চাঁদ এসে গেলে চাঁদের ছায়া ঢেকে দেয় পৃথিবীর পৃষ্ঠ, কখনো পুরোটা, কখনো বা আংশিক। সৌরজগতের এই মহাজাগতিক ঘটনা সূর্যগ্রহণ হিসেবে পরিচিত। প্রতি ১৮ মাসে একবার পৃথিবীর কোথাও না কোথাও থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। আজ বছরের এই শেষ সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার কাল্পনিক সরলরেখা থেকে কিছুটা দূরে থাকছে। এ কারণে চাঁদের প্রচ্ছায়া পৃথিবীর ওপর এমনভাবে পড়বে যে এর ফলে সূর্যকে একটি বলয়ের মতো দেখাবে। এমন গ্রহণকে বলয়গ্রাস গ্রহণ বলা হয়।
সরাসরি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন