নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৯
শেষ হতে যাচ্ছে ২০১৯, আমরা এই বছরে কি পেলাম না পেলাম বা অর্জন-বর্জন নিয়ে অনেক হিসাব করছি। বিশ্ব এখন প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে, প্রযুক্তি পণ্যগুলোর মধ্যে আমাদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো স্মার্টফোন। তাই বছর শেষে স্মার্টফোনপ্রেমীদের আগ্রহ রয়েছে এই বছর মাতানো স্মার্টফোনগুলো কি কি ছিল।
এবছর স্মার্টফোন বিক্রিতে এগিয়ে রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় অ্যাপলের তৈরি দুটি মডেলের আইফোন জায়গা করে নিয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিক মানে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে আইফোন এক্সআর মডেলটি। বাজারের ৩ শতাংশ এ স্মার্টফোনটির দখলে। এর বাইরে স্যামসাং, অপো, শাওমির মতো প্রতিষ্ঠানের স্মার্টফোনও বিক্রির দিক থেকে সেরা ১০ স্মার্টফোনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
এবার দেখে নেবো বছর মাতানো স্মার্টফোনগুলোকে-
আইফোন ১১
আইফোন ১১ ভাবা হচ্ছে অ্যাপলের তৈরি মাঝারি স্তরের এ বছরের সেরা ফোন। এ ফোনের নাইট মোড ও আলট্রাওয়াইড অ্যাঙ্গেল একে সবার থেকে আলাদা করেছে, ভিডিও মানও দুর্দান্ত। এই ফোনের র্যাম ৪ জিবি। ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি রোম সুবিধার তিনটি ভার্সন রয়েছে। ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি পর্দার ৬৪ জিবি রোম সুবিধার ফোনটির দাম ৮৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। ১২৮ জিবি রোম সুবিধার ফোনটির দাম ৯৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর ২৫৬ জিবি রোম সুবিধার ফোনটির দাম ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ১০প্লাস
বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের নোট ১০ প্লাস ব্যবহারকারীকে অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে। ৬ দশমিক ৮ ইঞ্চির পর্দার এই ফোনটি বানানো হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের সর্বোচ্চ সেবা নিতে ইচ্ছুকদের কথা মাথায় রেখে। এর ব্যাটারি লাইফও বেশ লম্বা। ক্যামেরা টুলসগুলো বেশ আকর্ষণীয়। ফোনটির রয়েছে ১২ জিবি র্যাম, রয়েছে ২৫৬ জিবি ও ৫১২ জিবির দুটি ভার্সন। ২৫৬ জিবি রোম সুবিধার ফোনটির দাম ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস১০ই
বছরজুড়ে স্মার্টফোনের বাজার মোটামুটি মাতিয়ে রেখেছিল স্যামসাংয়ের বিভিন্ন মডেলের ফোন। এর মধ্যে অন্যতম গ্যালাক্সি এস১০ই। এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হলো পাওয়ার শেয়ারিং। এ ফোনটির দাম ৭৪ হাজার ৯০০ টাকা।
হুয়াওয়ে পি৩০ প্রো
হুয়াওয়ে পি৩০ প্রোর সবচেয়ে আলাদা দিক হলো ক্যামেরার কোয়ালিটি। চমৎকার ডিজাইনের এ ফোনটির ব্যাটারি লাইফও দীর্ঘ। ফোনটির পর্দা ৬ দশমিক ৪৭ ইঞ্চি। ফোনটির রয়েছে ৬ ও ৮ জিবি র্যাম সুবিধার দুটি ভার্সন। আর রয়েছে ৬৪ জিবি, ১২৮ জিবি ও ২৫৬ জিবি রোম সুবিধা। ফোনটির দাম ৮৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ওয়ান প্লাস ৭ প্রো
ওয়ান প্লাস ফোন ইতিমধ্যে ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। ব্যবহারকারীদের নতুন এবং চমৎকার অভিজ্ঞতা দিয়েছে তারা। ৭ প্রোতে বেশকিছু নতুন ফিচার যুক্ত রয়েছে। ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম সুবিধার ৭ প্রোর দাম ৬৮ হাজার ৯৯০ টাকা। ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম সুবিধার ৭ প্রোর দাম ৭২ হাজার ৯৯০ টাকা। ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম সুবিধার ৭ প্রোর দাম ৭৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
গুগল পিক্সেল ৩এ
গুগলের পিক্সেল ৩এ ফোনটি বেশ বৈচিত্র্যময় ছিল, বিশেষত এর ক্যামেরা বেশ আকর্ষণীয়। দিনের বেলায় এ ফোনে তোলা ছবি অসাধারণ হওয়ার পাশাপাশি অন্ধকারেও এর নাইট সাইট ক্যামেরার কারণে ছবি হয় ঝকঝকে।
মটোরোলা মটো জি৭
মটো জি৭ ফোনটি সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য। ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজের এ ফোনটি ১৫ মিনিটের চার্জে ব্যাকআপ দেয় ৯ ঘণ্টা। ফোনটির দাম ১৬ হাজার ৯৯০ টাকা।
শাওমি রেডমি ৭ এ
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় শাওমির একটি মডেলের স্মার্টফোন জায়গা করে নিতে পেরেছে। চীনা প্রতিষ্ঠানটির তৈরি এন্ট্রি লেভেলে স্মার্টফোন রেডমি ৭এ মডেলটিকে গ্রাহকেরা এ বছর পছন্দের দিক থেকে এগিয়ে রেখেছেন।
অপো এ৫
এবছর অপোর স্মার্টফোনগুলো ক্রেতাদের বেশ আকর্ষণ করেছে। অপো এ৫ মডেলটিও তাই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের তালিকায় ঢুকে গেছে। পেছনে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপের ফোনটিকে ক্যামেরা বৈশিষ্ট্যের কারণে ক্রেতারা পছন্দ করেছেন।
অপো এ৯
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া শীর্ষ ১০ স্মার্টফোনের তালিকায় এবারে অপোর তিনটি মডেলে জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে এ৯ মডেলের স্মার্টফোনটি। মিডরেঞ্জের এ স্মার্টফোনটিতে ডুয়েল ক্যামেরা, ৪ জিবি র্যাম ও সাড়ে ৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লে রয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন