নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ০৮ মার্চ, ২০২০
বিশ্ব নারী দিবস-২০২০ উপলক্ষে হোমপেজে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। বিশেষ এ ডুডলে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সমাজে নারীদের বিচিত্র অবস্থান, সংস্কৃতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের অবদান তুলে ধরা হয়েছে। নারী দিবস ঘিরে প্রকাশিত ৫৫ সেকেন্ডের ডুডল ভিডিওটিতে তিন স্তরের থ্রি-ডি কাগজে ম্যান্ডালা ডিজাইনে নারীবিষয়ক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে গুগল।
প্রথম ধাপে সাদা-কালো ছবিতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির নারীদের তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে রঙিন ছবিতে নারীদের ক্রমশ উন্নত জীবনযাত্রার প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে বিভিন্ন পেশায় নারীদের সরব উপস্থিতি ফুটিয়ে তোলা হয়। এবং সবশেষে এই তিনটি ধাপ একত্রিত হয়ে গুগলের ‘O’ অক্ষরে রূপ নিচ্ছে।
এ তিনটি ধাপের একত্রীকরণের মাধ্যমে মূলত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে নারীদের প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ডুডলটির সঙ্গে বিশেষ তিনটি অপশনও রেখেছে গুগল। প্রথম অপশন ‘সার্চ’ বাটনে ক্লিক করলে নারী দিবস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য চলে আসছে ব্যবহারকারীর সামনে।
এরপরেই আছে ‘শেয়ার’ অপশন। এর মাধ্যমে ডুডলটি ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে। এরপরেই আছে ‘মেইল’অপশন। এতে করে জি-মেইলসহ বিভিন্ন মেইলিং প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করা যাবে এটি।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে অথবা বিশেষ কোনো ব্যক্তির স্মরণে বরাবরই এমন ডুডল প্রকাশ করে থাকে গুগল। সার্চ বক্সের ওপর গুগলের নামের সঙ্গে সাধারণত দিবস বা ঘটনা সংশ্লিষ্ট একটি ছবি বা অ্যানিমেশন দিয়ে এ ডুডল প্রদর্শন করা হয়।
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ মজুরি-বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। নানা ঘটনার পর ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদ্যাপিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে, ‘আমি প্রজন্মের সমতা : নারী অধিকারের প্রতি সচেতনতা’। আর বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন