নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৬ মার্চ, ২০২০
একমাত্র চীন ছাড়া বিশ্বজুড়ে সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল ইনকরপোরেশন। উৎপত্তিস্থল চীনে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাইরাসটির সংক্রমণ এখন ইউরোপে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচালিত নিজেদের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি অ্যাপল।
অ্যাপলের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহত্তর চীন ব্যতীত বিশ্বজুড়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র ২৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন করে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেই এ সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, অ্যাপলের সব কার্যালয়ে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অ্যাপল কার্যালয়ে কাজের ধরনে নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা বিশ্বজুড়ে থাকা অ্যাপল কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এ কারণে কর্মীদের বাড়িতে থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও আইফোনের গুরুত্বপূর্ণ বাজার চীনে নিজেদের সব বিক্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছে অ্যাপল। দেশটির উহান প্রদেশে কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে প্রথমে নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ স্টোর বন্ধ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। এরপর কর্মীদের স্বাস্থ্যনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় গত সপ্তাহজুড়ে ধারাবাহিকভাবে দেশটিতে থাকা মোট ৪২টি খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছে অ্যাপল। বিশ্বজুড়ে পাঁচ শতাধিক খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করছে অ্যাপল। এর প্রায় অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে সতর্ক করা হয়েছে, চীনভিত্তিক ডিভাইস ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রভাব অ্যাপলের আইফোন ব্যবসা বিভাগের ওপরও তীব্র প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে চীনে আইফোনের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় তাদের আগাম পূর্বাভাসের তুলনায় রাজস্ব আয় অনেকাংশে কম হবে। প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করে নেয় তাদের আইফোন উৎপাদন ও বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী আইফোন সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে নিজেদের সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে প্রতিষ্ঠানটির জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের রাজস্বে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন