নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২০
সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনা ঝড়ে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রানঘাতী করোনা। করোনার কারণে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো। করোনা এড়াতে মানুষ যখন ঘরে থাকছে ঠিক সেই সময়ই বাড়ছে ফেসবুক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্সের ব্যবহার।
ঘরে থেকে সময় কাটাতে মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে ফেসবুক। এছাড়া পরিবার ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারও বেড়েছে। হুট করে ব্যবহাকারী বেড়ে যাওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে ফেসবুক সহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের ।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি স্পিড বাড়ানোর জন্য। প্রতিদিনই ব্যবহারকারী পরিমাণ অবিশ্বাস্য হারে বাড়ছে।
বিষয়টি এমন নয় যে মানুষ বেশি ফেসবুক ব্যবহারের কারণে সমস্যা তৈরী হচ্ছে। বিষয়টি হলো বেশিরভাগ কম্পানীর কর্মী বাড়ি থেকে তাদের কাজ করছে যা স্পিডকে স্বাভাবিকভাবেই কমিয়ে দিচ্ছে। যেসব এলাকায় করোনা মারাত্বক ভাবে আঘাত হেনেছে সেখানে এরই মধ্যে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের ভিডিওর বিট কমিয়ে আনা হয়েছে। এ নিয়ে সামনে মাসে নতুন কোন সিস্টেমের সংযোজনের কথা ভাবছে ফেসবুক।
তবে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন