ইনসাইড সাইন্স

২০৩০ সালের বিশ্বে রাজত্ব করবে গুগল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২১ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

পয়লা জানুয়ারি, ২০৩০ সাল আপনি ঘুম থেকে উঠলেন। বাইরে কনকনে ঠান্ডা। অথচ ঘরের মধ্যে আরামদায়ক উষ্ণতা, মন যেমনটা চাচ্ছিল। আপনার মনের কথা বুঝে ঘরের তাপামাত্রা ঠিক করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার ‘নেস্ট’। এটি জানে ঠিক কখন আপনার ঘুম ভাঙবে, এবং ঠিক তখনই আপনার মন ও শরীরের অবস্থা বুঝে পরিবেশ আরামদায়ক করে তুলবে। আর এই নেস্ট তৈরি করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল।

আপনি রাস্তায় বের হলেন, একটি স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্সি আপনাকে আপনার কর্মস্থলে নিয়ে গেলো। এই স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্সিটিও গুগলের তৈরি।

দুপুরের খাবারের পর আপনি আস্তে আস্তে হাঁটছেন, আপনার চোখে গুগল গ্লাস ২.০। সে বুঝতে পারে এটা শীতকাল। সে আরও জানে আপনি কোথায় কফি খেতে পছন্দ করেন, সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে নোটিফিকেশন দিল যে পাশেই একটি ক্যাফে রয়েছে, আপনি সেখানে যেতে পারেন।

এভাবেই ২০৩০ সালের পৃথিবীতে গুগল হবে মানুষের প্রতিদিনের প্রায় প্রতিটি কাজের সঙ্গী। আগামী এক যুগের মধ্যে পৃথিবীর সব কিছু চলে আসবে ইন্টারনেট সংযোগ এর আওতায় (ইন্টারনেট অব থিংস)। বেশির ভাগ যন্ত্রাংশের থাকবে নিজস্ব সেন্সর, যেগুলো সংযুক্ত থাকবে ক্লাউড সার্ভার এর সাথে।  এগুলোর দ্বারা ব্যবহারকারির চলাফেরা, আচার-আচরণ, জীবন-যাপন, পছন্দ- অপছন্দ ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহ করবে গুগল, যাতে করে ব্যবহারকারির মনের মত করে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। আর ওই পৃথিবীতে রাজত্ব করবে গুগল।

কেমন হবে গুগল ২০৩০ সালে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আজকের তথ্য-প্রযুক্তির পৃথিবী অনেকটা পরিষ্কার অনুমান করতে পারে। গুগলের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যরি পেজ। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “গুগল যে শুধু সার্চ ইঞ্জিন নিয়েই ব্যস্ত তা নয়, বরং আমরা একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি”।

ল্যরির ভাষ্য অনুযায়ী, গুগল সম্প্রতি সময়ে একটি “বিশ্ব-মস্তিষ্ক” তৈরিতে ব্যস্ত, যেটা হয়তো একসময় খেয়াল রাখবে সমগ্র মানব জাতির, সকল জায়গায়, সকল সময়ে। আর ২০৩০ সাল নাগাদ যদি গুগল এটা করে ফেলে, এটা হয়তো গণ্য হবে মানব জাতির জন্য এ যাবত কালের সর্বোচ্চ অর্জন, একই সঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্জন বলে ।

পক্ষে যুক্তি

ব্যাখ্যা করে হয়তো বলতে হবেনা, ‘বিশ্ব মস্তিষ্ক’ কীভাবে আমাদের জীবনকে আরো সহজ করে তুলবে। আমরা বলে ওঠার আগেই পেয়ে যাবো অনেক সুযোগ সুবিধা, পরামর্শ। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের কারণে জ্বালানির অপচয় কমবে ঈর্ষণীয় ভাবে। মানুষ পাবে উন্নত জীবন যাত্রা।

তাহলে সমস্যা কী?

বিপক্ষে যুক্তি

যার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেনা, সে সৃষ্টি করে একনায়কতন্ত্র। শুধু জয়ীর জয়গান বাজতে থাকে সব জায়গাতে। যেমন ফেসবুক, সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যার আছে ১.৮৬ বিলিয়ন ব্যবহারকারী। ৩১৯ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে টুইটার যেন ফেসবুক এর ধারে কাছেও নেই। তেমনি গুগল পৃথিবীর ৬৫ শতাংশ সার্চ সম্পর্কিত তথ্য নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি সব সার্চ ইঞ্জিন মিলে ৩৫ শতাংশ  এর তদারকি করছে। এখানেই তথ্যপ্রযুক্তিতে একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি। ভেবে দেখুন কতটা কঠিন হবে আপনার জন্য যদি কখনও আপনাকে গুগল ছেড়ে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিতে হয়, যেখানে সকল যন্ত্রই গুগল এর নিয়ন্ত্রণে। ইমেইল, ডকুমেন্টস ইত্যাদি স্থানন্তর করা, এন্ড্রয়েড বেস্‌ড(গুগলের অপারেটিং সিস্টেম) স্মার্টফোন বিক্রি করে আইফোন কেনা, ঘুম থেকে উঠে ঠাণ্ডায় কাপতে থাকা কারণ  নতুন এয়ার কন্ডিশন জানেনা আপনার ঘুম থেকে ওঠার সময় এবং উষ্ণতার মাত্রা, এই সব কিছু আপনার জীবন কে দুর্বিষহ করে তুলবে। তাই আপনি বাধ্য হয়ে গুগল এর সাথেই থাকবেন।

জনপ্রিয় সিনেমা টারমিনেটর এ আমরা দেখেছি কীভাবে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষকে তার হুমকি মনে করে গোটা মানবজাতিকে মেরে ফেলার পায়তারা করে। মেট্রিক্স সিনেমাতে আমরা দেখেছি যে আমাদের জীবন আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি করা কৃত্রিম জগত, যার নিয়ন্ত্রণ রোবটদের হাতে। রজনীকান্ত খ্যাত হিন্দি সিনেমা ‘রোবট’ এ দেখিয়েছে যে একটি রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পেয়ে ভালোবেসে ফেলে এক মানবীকে। তাকে পাওয়ার বাসনায় শুরু করে ধ্বংস-যজ্ঞ। এই সম্ভাব্য হুমকিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কেন্দ্র করে। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্স ও আমাদের এর জানান দিয়েছেন। যখন আমাদের সব কিছুই “বিশ্ব-মস্তিষ্ক” নিয়ন্ত্রণ করবে তখন এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায়না।

সম্প্রতি, ২০০ মানুষকে গুগল সেবা থেকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে কারণ তারা প্রতারণা করে পুনরায় বিক্রি করছিল গুগলের পিক্সেল স্মার্ট ফোন এর নকল ভার্সন। এই মানুষগুলো একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখল যে তারা তাদের জিমেইল এ লগ ইন করতে পারছে না, গুগল ডকুমেন্ট এ যেতে পারছে না। ধরুন তারা যদি আগামী বছরগুলোতে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায়, হয়ত দেখবে গুগল এর স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্সি তাদের যাত্রা করতে অনুমতি দিচ্ছেনা, প্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারছে না আরও অনেক কিছু। অন্যভাবে বলা যায় “ডিজিটাল মৃত্যু”।

যদিও কিছুদিন পর মানুষের প্রতিবাদের ভিত্তিতে গুগল নিষিদ্ধতা তুলে নিতে বাধ্য হয়, কিন্তু এই ঘটনা আমাদের অনুধাবন করাতে সক্ষম যে, গুগল আমাদের উপর কতটা ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে এবং হতে যাচ্ছে।

সব কিছুর সংক্ষিপ্ত করে যা বলা যায়, তা হলো, গুগলের সেবা প্রদান করতে মানতে হয়না তেমন কোন আইন এর ঝক্কি ঝামেলা। সেবার মান এ সমতা রাখারও কোনো অঙ্গিকার নামার উল্লেখ নেই কোথাও। আমাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর করার মাধ্যমে গুগল দিন দিন আর ক্ষমতাবান হচ্ছে। তাই আমাদের এখনি একটি আইনি ভিত্তি দার করাতে হবে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে গুগল তাঁর সেবায় রাখছে সমতা। কারো গোপন তথ্য নিয়ে যেন তাকে ব্ল্যাক মেইল না করা হয়, যেকোনো অসঙ্গতিকে যেন উচ্চস্বরে প্রতিহত করা যায়  এই সবকিছু উল্লেখ থাকবে আইনি নথিতে।

পরিশেষে, পৃথিবী একসময় “গুগল পৃথিবী” তে পরিণত হবে। এই সব কিছু এই জন্য বলা হচ্ছে না যে গুগল আমাদের ক্ষতি করছে। তবুও সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করা আমাদের সবারই উচিত। আর আজ গুগল না করলে, কাল অন্য কেউ করবে। আমাজন, ফেসবুক, অ্যাপেল ইত্যাদি প্রতি নিয়তই সেই চেষ্টা করছে। একসময় আমরা যেনো কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি না হয়ে যাই তার ভিত্তি কি এখনই তৈরি করা উচিত নয়!

সোর্সঃ ফিউচারইজম ডট কম।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বাংলাদেশের দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলল ইউটিউব

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গত তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া দেড় লাখের বেশি ভিডিও অপসারণ করেছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।

নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুসারে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর- এই তিন মাসে ভিডিওগুলো সরানো হয়। এই প্রান্তিকে প্ল্যাটফর্মটি সব মিলিয়ে সারা বিশ্বের ৯০ লাখেরও বেশি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে। 

তালিকায় আনা মোট ৩০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে ভারতের। অপসারণ সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিও বিনিময়ের সাইটটি। 

উগ্রপন্থা, নগ্নতা এবং স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামত মুছে ফেলা হয়। এই তিন মাসে বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট; যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়। 

এরপরই সবচেয়ে বেশি সরানো হয়েছে শিশুদের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে এমন ভিডিও। এর হার ছিল ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ। শিশুদের হয়রানি ও তাদের কেন্দ্র করে নানা অনলাইন অপব্যবহার রোধে ভিডিওগুলো সরানো হয়। 

তৃতীয় যে শ্রেণির ভিডিও সরানো হয়েছে সবচেয়ে বেশি সেগুলো ছিল হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট। এর হার ছিল সাড়ে সাত শতাংশ। মানুষের মনে আতঙ্ক বা উদ্বেগ ছড়াতে পারে এমন সংবেদনশীল দৃশ্য যেমন দাঙ্গা, রক্তপাত ইত্যাদিকে হিংসাত্মক বা গ্রাফিক কনটেন্ট হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ইউটিউব।

উল্লেখ্য, ইউটিউব ব্যক্তিমানুষ ও মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এই দুইয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘনের বিষয়গুলো যাচাই করে। 

তবে মুছে ফেলা এসব ভিডিওর ৯৬ শতাংশের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআই। বাকি ৪ শতাংশ ভিডিও অপসারণে ইউটিউবের সাধারণ ব্যবহারকারী ও ‘প্রায়োরিটি ফ্ল্যাগার প্রোগ্রামের’ সদস্যদের অভিযোগ বা পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে।

ইউটিউব   বাংলাদেশি কনটেন্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৭ দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিএসসিএল)।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত তানজিনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্রডকাস্ট সেবায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফলে ওই দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত স্যাটেলাইটটির কার্যক্রমে বিঘ্ন দেখা দিতে পারে।
  
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রম সাময়িক বিঘ্ন ঘটার সময়গুলো হচ্ছে ৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট; ৮ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট; ১০ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট; ১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ১২ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত মোট ১১ মিনিট এবং ১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫২ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৮ মিনিট।
 
প্রাকৃতিক কারণে ঘটিত এই সাময়িক বিঘ্নের জন্য বিএসসিএল আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট   বিএসসিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিরল সূর্যগ্রহণ, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার!

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সাথে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নাসা বলছে, এই সূর্যগ্রহণ খুবই বিশেষ। কারণ এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।  

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে একই রেখায় থাকে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী। তখন সূর্য পুরোপুরি ঘূর্ণায়মান চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়ে যায়। এ কারণে দিনের বেলাতেই রাতের অন্ধকার নামবে পৃথিবীতে। বিভ্রান্তে নিশাচর প্রাণিরা এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠবে।
 
সূর্যগ্রহণটি যে অঞ্চলব্যাপী দৃশ্যমান থাকবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি মানুষের বাস, যারা এটি উপভোগ করতে পারবে। ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাকৃতিক ঘটনায় চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে, সেসময় চাঁদের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার।
 
এই গ্রহণ রাত ০৯ টা ১২ মিনিট থেকে রাত ০১ টা ২৫ মিনিট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এই সূর্যগ্রহণের মোট সময়কাল ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট স্থায়ী হবে।
 
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।

সূর্যগ্রহণ   নাসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৫২ বছর পর ফের চাঁদে নামল মার্কিন মহাকাশযান

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

৫২ বছর পর চাঁদে আবার মার্কিন মহাকাশযান। তবে এবার মহাকাশযানটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোনো বেসরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালার্পেট নামে একটা চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে এই চন্দ্রযান।

অ্যাপোলো ১৭ চন্দ্রাভিযান করেছিল ১৯৭২ সালে। এবার অডিসিয়াস মিশন চাঁদে সফলভাবে চাঁদে নামলো। এই মহাকাশযানটি তৈরি করা এবং তার উড়ানের পিছনে ছিল হিউস্টনের সংস্থা ইনটুইটিভ মেশিন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৩ মিনিটে(জিএমটি) তা চাঁদে নামে। এই প্রথম একটি বেসরকারি সংস্থার চন্দ্রাভিযান সফল হলো।

ইনটুইটিভ মেশিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ''আমরা চাঁদের মাটিতে নামতে পেরেছি। সিগন্যাল পাঠাতে পারছে চন্দ্রযানটি।'' মিশন ডিরেক্টর টিম ক্রেইন বলেছেন, ''এখনো সিগন্যাল একটু দুর্বল আছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে আরো স্পষ্ট সিগন্যাল আসে। তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের মেসিনপত্র এখন চাঁদে আছে। সেখান থেকে বার্তাও আসছে।''

ছয় পেয়ে রোবট অডিসিয়াস চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালাপের্ট নামে চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে। এবার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উচ্চপ্রযুক্তির সাহায্য়ে তা কাজ করবে। এটি চলবে সৌরশক্তির সাহায্যে। চন্দ্রপৃষ্ঠ, চাঁদের পরিবেশ-সহ অনেক বিষয়ে নতুন তথ্য পাঠাবে এই ল্যান্ডার।

অডিসিয়াস ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট তাকে মহাকাশে নিয়ে যায়। এখানে এই প্রথম সুপারকুল তরল অক্সিজেন, তরল মিথেন প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খুবই তাড়াতাড়ি তা মহাকাশে পৌঁছে গেছে। 

মার্কিন মহাকাশযান   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করলেন, ধানের ভেতরে গরুর মাংস

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।

ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।

এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।

গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।

গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।

বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।

পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।

গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।


উদ্ভাবন   চাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন