নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২০ জুন, ২০২০
২১ জুন হচ্ছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে একবার সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তাই এটাই বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এ সূর্যগ্রহণকে ‘রিং অব ফায়ার’ও বলা হচ্ছে। এ ছাড়া ২১ জুন বছরের সবচেয়ে ‘দীর্ঘতম দিন’ বলে গ্রহণটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আসুন জেনে নেই ২১ জুনের সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
কেন সূর্যগ্রহণ হয়: সূর্যগ্রহণ তখনই হয়; যখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছানোর মাঝখানে চাঁদ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এক সরলরেখায় সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এসে পড়ায় তখন সূর্যগ্রহণ হয়। চাঁদের মাঝে এসে পড়ায় সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে না। ফলে চাঁদের ছায়া পৃথিবী ঢেকে দেয়।
কখন হবে: ভারতে ২১ জুন সকাল সোয়া ৯টা থেকে বিকেল ৩টা ৩ মিনিট পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ চলবে। এ আংশিক সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯টা বেজে ১৫ মিনিটে। তা শিখরে পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে। সব মিলিয়ে গ্রহণ শেষ হতে হতে বিকেল ৩টা বেজে যাবে।
কোথা থেকে দেখবেন: সূর্যগ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোতে, সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ভারতে আর গ্রহণ শেষ দেখা যাবে ফিলিপিনের আকাশে। বার্ষিক এ সূর্যগ্রহণ অন্তত এক মিনিটের জন্য হলেও দেখা যাবে ভারতের কয়েকটি জায়গা থেকে। এ ছাড়াও দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া, ইয়েমেন, ওমান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, তিব্বত, চিন, তাইওয়ান এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেখা যাবে।
বাংলাদেশে কখন: আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের আকাশেও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে, ময়মনসিংহে ১টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে, চট্টগ্রামে ১টা ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। এ ছাড়া সিলেটে ১টা ১৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে, খুলনায় ১টা ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে, বরিশালে ১টা ১২ মিনিটি ৩২ সেকেন্ডে, রাজশাহীতে ১টা ৬ মিনিটি ২৬ সেকেন্ডে এবং রংপুরে ১টা ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় সূর্যগ্রহণ হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন