নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০২০
বিভিন্ন মহল্লায় বাড়ি তৈরি, তৈরির ইট-বালি বিক্রেতা, রিক্সা-সিএনজি, হিউম্যান হলার, বাস- মিনিবাস, রাস্তার হকার, ফুটপাতের মুচি, বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী, ভাংগাড়ি কেনা,ইত্যাদি সবার কাছে এখনো কম বেশি নীরব বা সরব চাঁদাবাজি চলমান। এর আগে টেলিফোনে ডিসি এসপি, ইউ এন ওর টেলিফোন ক্লোনিং করে চাঁদাবাজি, মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিন্যাল বলে খ্যাতদের নামে তাঁদের সাগরেদদের চিকিৎসার নামে চাঁদা, কিংবা টেণ্ডারবাজির প্রচলন খুব বেশি ছিল। তা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এখন নতুন করে শুরু হয়েছে উন্নত জাতের ডিজিটাল চাঁদাবাজি যার আরেক নাম, ফিশিং।
ফিশিং অনলাইন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যবহারকারীর নাম, পাসওয়ার্ড এবং আর্থিক বিবরণীর মতো সংবেদনশীল ডাটা চুরি করা/প্রতারণার প্রচেষ্টা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। আক্রমণকারীরা ফিশিং ইমেইলের মাধ্যমে ভিক্টিমকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে। অযাচিত ইমেলগুলিতে ক্লিক করে আপনি একটি ভুয়া ওয়েব পেইজে আসবেন যেটা দেখলে আপনার আসলই মনে হবে। এই ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করার জন্য জাল কিন্তু আকর্ষণীয় প্রস্তাবগুলি দেখায় এবং তাদের আর্থিক ও ব্যক্তিগত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে, যা পরবর্তীতে আক্রমণকারীর দ্বারা অপব্যবহৃত হয়।
ফিশিং স্ক্যামগুলি জটিলতা, আক্রমণকারীদের উদ্দেশ্য ইত্যাদির ভিত্তিতে ভিন্ন। স্পেয়ার ফিশিং, ক্লোন ফিশিং, whaling এবং প্রতারণামূলক ফিশিংয়ের মতো বিভিন্ন ধরণের সাইবার আক্রমণ আবির্ভূত হয়েছে। এই কৌশলগুলো হ্যাকাররা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই ব্যবহার করে।
এটি ফিশিংয়ের একটি কমন পদ্ধতি যা প্রেরক ইমেল আইডিকে বৈধ কোম্পানির ঠিকানা হিসাবে মাস্ক করে এবং ব্যবহারকারীদের ইমেলের জাল লিঙ্কে ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করে। আক্রমণকারীরা সাধারণত বাল্ক ইমেল প্রক্রিয়া মাধ্যমে কাউকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
এটি একটি ধরনের সাইবার আক্রমণ যা আরও ব্যক্তিগতকৃত পদ্ধতির সাথে আসে। এখানে, ফিশিং ইমেল এমন কোনো ঠিকানা থেকে পাঠানো হয় যা প্রাপকের পরিচিত হয়। এতে প্রাপকদের বোকা বানানোর সুযোগ অনেক বেড়ে যায়।
এটি একটি ধরণের সাইবার আক্রমণ যেখানে প্রাপক আইডি সহ সংযুক্তি বা লিঙ্ক সহ একটি প্রকৃত এবং পূর্বে বিতরণ করা ইমেল নেওয়া হয়। একটি ক্লোন ইমেল দূষিত লিঙ্ক বা এটাচমেন্ট দিয়ে ডিজাইন করা হয় এবং একটি spoofed ইমেল আইডি থেকে শিকারকে পাঠানো হয়।
সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ বা অনলাইন স্ক্যাম থেকে নিরাপদ থাকার জন্য, একজনকে তাদের পিসিতে এন্টি-ফিশিং সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। ফিশিং প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপস অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ:
যেমন:
– ইমেলের মাধ্যমে আসা লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার আগে সর্বদা চেক করুন।
– আপনি লিঙ্কগুলি ধরে রাখতে পারেন এবং বানান ত্রুটি বা অপরিচিত ইউআরএলের মতো সন্দেহজনক কোনও স্পট দেখতে পারেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন।
-সর্বদা ওয়েবসাইটের URL এর আগে “https” চেক করুন।
-ইমেলে প্রাপ্ত লিঙ্কে ক্লিক করার পরিবর্তে URL টি ম্যানুয়ালি টাইপ করুন এড্রেস বারে।
-আপনার প্রিয়জনের সাথে আপনার সংবেদনশীল ডাটাগুলি যেমন পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্ট নম্বর, কার্ডের বিবরণ ইত্যাদি শেয়ার করবেন না।
আপনার উচিত সন্দেহজনক ট্রিকগুলো শনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট স্মার্ট হওয়া। একটি ফিশিং ইমেল সনাক্ত কিভাবে জানুন।
প্রতিদিন বাংলাদেশ ভারত ও আশেপাশের দেশ মিলে হাজার হাজার আইটি এক্সপার্ট (!) বের হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় তাঁদের চাকরি নেই। তাই জীনের বাদশা’র মত একটা ছোট্ট রুমে বসে নানাভাবে ভয় দেখিয়ে ফিশিং এর মাধ্যমে তারা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এটাই এখন উন্নত ডিজিটাল চাঁদাবাজির রূপ।
সুত্রঃ টেকটিউনস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন