নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
করোনাকালীন এই সময়ে হাতে বলতে গেলে কোন কাজ নেই। তাই অনেকেই শুয়ে বসে দিন পার করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলছে না। কবে খুলবে, তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। ফলে সবকিছু মিলিয়ে হাতে এখন অফুরন্ত সময়। কিন্তু চাইলেই ফাঁকা এই সময়টাকে অর্থবহ করে তুলতে পারেন। করোনাকালীন এই সময়ে অনেকেই দিচ্ছে অনলাইনে ফ্রি কোর্স করার সুযোগ। ফ্রিতে কোর্স করার পাশাপাশি পাবেন সার্টিফিকেটও। তাই চাইলে খুব সহজেই নিজের পছন্দমতো করে নিতে স্বল্পকালীন অনলাইন কোর্স।
কোর্সেরা
২০১২ সালে স্থাপিত অনলাইন লার্নিংয়ের জন্য শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম এটি। অনলাইন কোর্সের বিশেষায়িত এই ওয়েবসাইটটিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজারের বেশি কোর্স করানো হচ্ছে। করোনাকালীন এই সময়ে ১১৫টিরও বেশি ফ্রি কোর্স অফার করছে কোর্সেরা। এর মধ্যে ব্যবসা, প্রযুক্তি, কলা, ভাষাশিক্ষা, প্রোগ্রামিং থেকে শুরুর করে বিজ্ঞান আর তথ্য প্রযুক্তির নতুন নতুন সব বিষয়। কোর্সেরায় ঢুঁ মারতে চাইলে www.coursera.org -এই লিংকে চোখ বুলাতে পারেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
বিভিন্ন বিষয়ের ৬৪টি পাঠক্রম অনলাইনে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে আইটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস, ডেটা সায়েন্স, হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন এবং হিউম্যানিটিজ, কম্পিউটার সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়। পাঠক্রমগুলোর দৈর্ঘ্য ৪ থেকে ১৫ সপ্তাহের। এসব কোর্সের রূপরেখা নির্ণয় করেছেন হার্ভার্ডের সেরা শিক্ষকরাই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ের এই যুগে ১৪টি অনলাইন পাঠক্রম হাজির করেছে হার্ভার্ড ডেটা সায়েন্স বিভাগে।
সেইসাথে পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতা ও ধর্মের ওপরে রয়েছে অসংখ্য কোর্স। এমনকি প্রাচীন মিসর, পিরামিড ও হায়ারোগ্লিফিক লিপি সংক্রান্ত পাঠক্রমও মিলছে বিনা পয়সায়। কোর্স করতে পারেন https://online-learning.
ইউএন সিসি-লার্ন
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায় ইউএন ক্লাইমেট চেঞ্জ-ইলার্ন নামে জাতিসংঘের এই ওয়েবসাইটে। সাইটির প্রতিটি কোর্সই ফ্রিতে করতে পারবেন। সাইটটির ঠিকানা- unccelearn.org/course।
এডেক্স
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কোর্স পরিচালনা করে এডেক্স। ২০১২ সালে এডেক্স প্রতিষ্ঠা করে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। ১৪০টিরও বেশি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এখানে কোর্স পরিচালনা করে থাকে। তাই আপনি চাইলে এখানেও করতে পারেন নিজের পছন্দের কোর্সটি।
খান একাডেমি
২০০৬ সালে এই অনলাইন লার্নিং অ্যাপটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ নন-প্রফিট এডুকেশনাল অর্গানাইজেশন। আপনি খুব সহজে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করতে পারবেন এখানে। সহজবোধ্য ছোট ছোট ভিডিও আপনাকে অনেক কঠিন জিনিসকেও সহজে আয়ত্তে আনতে সাহায্য করবে। খান একাডেমি ওয়েব লিংক- www.khanacadem y.org।
এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বাইরে দেশি ও বিদেশী মিলিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান করোনাকালে অনলাইনে কোর্স করার সুযোগ দিয়েছে। তাই ফ্রি কোর্সের এই সময়ে করে নিতে পারেন নিজের পছন্দের কোর্সটি। এতে করে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি পাবেন সার্টিফিকেটও।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন