নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০২০
গ্রাহককের সম্মতি না নিয়ে মুঠোফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাচ্ছে ওয়েলকাম টিউন,গান, নিউজ অ্যালার্ট, ধর্মবিষয়ক অ্যালার্ট, গেমসহ নানা কিছু। এগুলোকে বলা হয় টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেডসার্ভিস (টিভ্যাস) সেবা। এসব টিভ্যাস সেবার নামে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলেন গ্রাহকেরা।
গ্রাহকদের এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দুই মোবাইল রবি ও বাংলালিংকের গ্রাহকদের দেওয়া টিভ্যাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশনা দিয়ে নভেম্বর কমিশনের পক্ষ থেকে দুই অপারেটরকে চিঠি দেওয়া হয়। এর বাইরে আরও চারটি টিভ্যাস সেবাদাতার সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিটিআরসির সূত্র।
বিটিআরসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যারা ঠিকমতো ফোনের পড়তে পারেন না বা বার্তা বোঝেন না তাদের টার্গেট করে টিভ্যাসের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বন্ধ থাকা সিমে বিভিন্ন সেবা চালু করে টাকা কেটে নেয়। এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে বিটিআরসি গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পায়।
বিটিআরসির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, টাকা খোয়ানো ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের বেশির ভাগ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় খুব একটা শিক্ষিত নন। তাই খুদেবার্তার মাধ্যমে ফিচার ফোনগুলোকে টার্গেট এভাবে টাকা কেটে মধ্যরাতের পর এসব অনেক সেবা চালু করা হয়।
বিটিআরসি দুটি অপারেটরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রবি ও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সব টিভ্যাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন