নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী ও তার দল সরকারি সাধারণ ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে `ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরষ্কার ২০২০` অর্জন করেছেন। অনলাইন খতিয়ান প্রদান ও ডিজিটাল রেকর্ড রুম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য তাদের এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, ২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জনাব মোঃ আবদুল হামিদ। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে বিজয়ীদের পদক ও সনদ তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি।
পুরষ্কার অর্জনকারী মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর দলের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ তসলীমুল ইসলাম, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন মনিটরিং সেলের প্রধান ও ভূমি সচিবের একান্ত সচিব জনাব মোঃ দৌলতুজ্জামান খাঁন।
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জরিপের খতিয়ানসমূহ ভূমি মালিকগণকে সহজে সরবরাহ করার লক্ষ্যে অনলাইন খতিয়ান প্রদান ও ডিজিটাল রেকর্ড রুম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই উদ্যোগের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ অতি দ্রুত ভূমি সেবা পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস - ২০২০। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি রূপকল্প ২০২১-এর মূল উপজীব্য। যার বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন