নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০
অবৈধভাবে অনলাইন বিজ্ঞাপনী বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে গুগল -এমন অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি অঙ্গরাজ্য। খবর বিবিসির।
দেশটির এসব অঙ্গরাজ্যগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনলাইন বিজ্ঞাপনের নিলাম নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে এমন অভিযোগে তারা ফেসবুকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ নেয়া আইনি পদক্ষেপ এটি । ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর চাপের মুখে আছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ সম্পর্কে ফেসবুকের কাছ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে গুগল তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা আদালতে নিজেদের রক্ষায় শক্তভাবে কাজ করবে। মূলতঃ গুগলের মোট আয়ের ৮০ শতাংশই আসে বিজ্ঞাপন থেকে।
এবিষয়ে, গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা সর্বাধুনিক বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি সেবায় বিনিয়োগ করেছি যা ব্যবসায়ীদের ও ভোক্তাদের সহায়তা করে। গত কয়েক দশকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের দাম কমেছে। বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির খরচও কমতির পথে। এই শিল্পে গড় খরচের চেয়ে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির খরচ কম। এগুলোই একটি উচ্চ প্রতিযোগিতাময় শিল্পের বৈশিষ্ট্য।”
এই মামলায় বলা হয়, গুগলের অনলাইন বিজ্ঞাপন বাজারের নিয়ন্ত্রণই এই আইনি পদক্ষেপের উদ্দেশ্য। ২০০৮ সালে ডাবলক্লিক সফটওয়্যার কেনার মাধ্যমে গুগল এই নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করে। প্রচারকরা তাদের অনলাইন বিজ্ঞাপন বিক্রির জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকেন।
মামলাকারী ১০ অঙ্গরাজ্য হলো- টেক্সাস, আরকানসাস, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, মিসৌরি, মিসিসিপি, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, ইউটাহ ও আইডাহো। মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে টেক্সাস। এই সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই প্রসিকিউটররা রিপাবলিকান দলের।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপনে ফেসবুককে কিছু বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। এর বিনিময়ে ফেসবুক গুগলের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কিছু পরিকল্পনা বাদ দেয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন বলেন, “এই মুহুর্তে আপনি যখন আপনার বিশ্বস্ত কোনো পত্রিকা যেমন ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বা আপনার প্রিয় স্থানীয় কোনো পত্রিকার ওয়েবসাইটে যান, সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন আপনি দেখতে পাবেন। কিন্তু গুগল আপনাদের কাছে জানায় না যে তারা বিজ্ঞাপনের নিলাম নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তার নিয়মিতভাবে ওই ওয়েব পেজগুলো থেকে অবৈধভাবে আয় করছে এবং তা নিজেদের পকেটে ভরছে।"
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন