নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৫ জানুয়ারী, ২০২১
ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিশ্বের সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস প্রোভাইডিং হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর জন্য বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ মেধাবীদের সেভাবে তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘জাতীয় সাইবার ড্রিল-২০২০’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী পর্ব আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে পলক বলেন, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। দেশের ব্যাংকিং, হেলথ, সিভিল অ্যাভিয়েশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজিন্সির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা সূচকে ৭৩তম স্থান থেকে আট ধাপ এগিয়ে ৬৫তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশে এক হাজার সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশের মেধাবী সাইবার নিরাপত্তাকর্মীরা বিশ্বে অবদান রাখার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বসেই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখার মতো আগামীতে বিশ্বকে সাইবার ঝুঁকিমুক্ত রাখবে বাংলাদেশ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ওরাকল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা।
জাতীয় সাইবার ড্রিল ২০২০-এ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট কোম্পানি থেকে ও স্বতন্ত্রভাবে ২৩৩টি দলে ১০০০ জনের অধিক অংশগ্রহণ করে। দলবদ্ধ এ সাইবার ড্রিল প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার লাভ করে অনিমেষ খাসকেলের নেতৃত্বে সিলিকনসবিটস, দ্বিতীয় মো. রাসেল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দ্য ইনফিনিটি বাইটস ও তৃতীয় মো. খতিব আল ফাহাদের নেতৃত্বে হেইমডাল। পরে প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন