নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
স্মার্টফোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যাটারি। সব ধরনের ব্যাটারিরই একটা নিজস্ব আয়ু থাকে, যা ব্যাটারি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দেয়। স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরনের ওপর ব্যাটারির আয়ু ও কার্যক্ষমতা নির্ভর করে। তাই স্মার্টফোনের ব্যটারি চার্জ করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি।
সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার বিষয়ে কিছু পরামর্শ পাওয়া গেছে। সেগুলোই রইল এখানে।
-বিকল্প চার্জার দিয়ে চার্জ করলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা হ্রাস পেতে থাকে। এতে ব্যাটারির আয়ুও কমে যেতে পারে। তাই বিকল্প চার্জার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিকল্প চার্জার ও আসল চার্জারের আউটপুট ভোল্টেজ মিলিয়ে নিবেন।
-অনুমোদনহীন কোনো নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সস্তা চার্জার ব্যবহার করবেন না। কারণ, এগুলোয় ফ্লাকচুয়েশন বা অতিরিক্ত চার্জ ঠেকানোর উপায় থাকে না। অ্যাডাপটারে সমস্যা হলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
-চার্জ দেওয়ার সময় ফোনে কোনো প্রতিরোধক কেইস বা কাভার লাগানো থাকলে খুলে রাখবেন। চার্জ দেওয়ার সময় ব্যাটারি গরম হওয়াটা স্বাভাবিক। এ সময় কোনো নরম কাপড়ের ওপর ফোনটি উল্টিয়ে রাখুন, এতে ডিসপ্লে ভালো থাকবে।
-খেয়াল রাখবেন, চার্জ যেন স্বাভাবিক গতিতেই সম্পন্ন হয়। এমন চার্জার ব্যবহার করবেন না, যেটায় দ্রুত চার্জ হয়ে যায়। এতে অল্প সময়ে বেশি ভোল্টেজ গ্রহণ করে ব্যাটারি আচমকা অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠতে পারে। কোনো কারণে যদি স্মার্টফোনটি অস্বাভাবিক গরম হয়ে উঠে, দেরি না করে কিছুক্ষণের জন্য ফোনটি বন্ধ করে রাখবেন।
-প্রতিবার চার্জ দেওয়ার সময় কমপক্ষে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ ধরে নিন। ১০-১৫ মিনিট বা তারও কম সময় নিয়ে স্মার্টফোন চার্জে না বসানোই ভালো।
-প্রতিবার চার্জ ২০ শতাংশের আশেপাশে চলে এলে নতুন করে চার্জে বসানোর চেষ্টা করুন। স্মার্টফোন অযথা চার্জে বসাবেন না। এতে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায়। চার্জ একেবারে শেষ হয়ে যাওয়ার আগে চার্জ করে নেওয়াই ভালো।
-চার্জ ব্যাকআপের জন্য পাওয়ার ব্যাংক বেশ কাজের। পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে ভোল্টেজ ওঠা নামার স্বয়ক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, শর্ট সার্কিট প্ররোধক, অতিরিক্ত বিদ্যুৎশক্তি বা ভোল্টেজ প্রতিরোধক কিনা তা যাচাই করে নিন।
-পাওয়ার ব্যাংকের সঙ্গে চার্জার সংযোগ যুক্ত থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। এতে ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়, কার্যক্ষমতা কমে আসে।
বাংলা ইনসাইডার/আরজে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন