নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০২১
আমরা অনেকেই ইন্টারনেটে অযথাই সময় কাটাই। অনেকে ফেসবুকিং বা ইউটিউবে ভিডিও দেখে সময় কাটায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের বাইরেও ইন্টারনেটে রয়েছে একটি মজার দুনিয়া, যা জানলে আপনি অবাক হতে বাধ্য। আপনি চাইলেই কিছু দরকারি জিনিষও ইন্টারনেট ব্যবহার করেই জেনে নিতে পারেন।
এই যেমন, আপনি এখন যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার আকাশে কয়টি প্লেন উড়ছে; সেটা যদি এক ক্লিক করেই জানতে পারেন, তাহলে কেমন হবে? সেই প্লেন কতটা উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে বা দূরত্ব কত, কোথায় যাচ্ছে, তাও যদি জানা যায় সেই ক্লিকে? শুধু আপনি যেখানে আছেন সেখানকারই নয়, সারা দুনিয়ায় এখন কোথায় কোন প্লেন উঠছে না নামছে, তাও যদি জানতে পারেন এক ক্লিকে, তাহলে কেমন হবে?
এর বাইরেও, আপনি আগামীকাল যে প্লেনে উঠবেন, সেটা এখন কোথায় আর কী অবস্থানে আছে, সেটার বিস্তারিত তথ্যও যদি মোবাইল ফোনে ক্লিক করে জানা যায়, তাহলে কি ব্যাপারটা আরও ভালো হবে না?
হ্যাঁ, এসব প্লেন-সংক্রান্ত সব তথ্য জানার জন্য রয়েছে একটি জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট ও তাদেরই এ্যাপ। এই ওয়েবসাইট ও এ্যাপের মাধ্যমেই আপনি উপরের সব কিছু জানতে পারবেন। সাইটটির নাম ফ্লাইটট্রাডার২৪.কম (www.flightradar24.com।) আপনিও চাইলে ক্লিক করে ঘুরে আসুন। দেখে নিন আপনার প্রিয়জনের প্লেনটি এখন কোথায় উড়ছে বা কতদূর পৌঁছিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন