নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ০৭ মার্চ, ২০২১
আফ্রিকার দরিদ্র দেশ উগান্ডা। কিন্তু ইন্টারনেট গতির দিক দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬ নম্বরে। উগান্ডা, সোমালিয়া, সুদান, জাম্বিয়া, ইথিওপিয়ার মতো দেশও মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে!
ইন্টারনেট গতি মাপার আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ওকলার এক প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশ ১৭৫টি দেশের মধ্যে ৯৬ নম্বরে অবস্থান করছে। সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের প্রতিবেদনে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গড় ডাউনলোড স্পিড ১০.৫৭ এমবিপিএস এবং আপলোডের গতি ৭.১৯ এমবিপিএস। প্রতিবেশী দেশ সবগুলোই বাংলাদেশের উপরে। শুধু আফগানিস্তান ১৪০ নম্বরে।
একটি দেশে মোবাইল ও ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি কেমন, সেটি নির্ধারণে ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা।
সে প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ডাউনলোড গতি ৩৩.৫৪ এমবিপিএস এবং আপলোডের গতি ৩৩.৯৬ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ডের গতিতে অবশ্য শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানেই আছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন