টেক ইনসাইড

জোয়ার ও ভাটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২১


Thumbnail

চন্দ্র ও সূর্য ভূ-পৃষ্ঠের জল ও স্থলকে অবিরাম আকর্ষণ করছে। এ আকর্ষণের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠের পানি প্রত্যহ নিয়মিতভাবে স্থান বিশেষে ফুলে ওঠে এবং অন্যত্র নেমে যায়। পানির এ ফুলে ওঠা বা স্ফীতিকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। চন্দ্র পৃথিবীর নিকটতম উপগ্রহ। এজন্য পৃথিবীর ওপর এর আকর্ষণ সর্বাধিক। স্থলভাগ অপেক্ষা জলভাগ সহজে আকৃষ্ট হয় বলে চন্দ্রের আকর্ষণের ফলে পানি স্ফীত হয়ে ওঠে ও জোয়ারের সৃষ্টি হয়। জোয়ার ভাটা সংঘটিত হওয়ার ফলে ভূ-পৃষ্ঠের নানারকম প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটে, যা আমরা খোলা চোখে ধরতে পারি না।    

চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভৃতির প্রভাবে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে উঠে আবার নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে ফুলে উঠাকে বলা হয় জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। প্রতি ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরপর এই জোয়ার ভাটা সংঘটিত হয়। অর্থাৎ সমুদ্রে একই জায়গায় প্রতিদিন দু’বার জোয়ার ও দু’বার ভাটা হয়। সমুদ্রের মোহনা থেকে নদীগুলোর স্রোতের বিপরীতে উজানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জোয়ার ভাটা বেশি অনুভূত হয়। সমুদ্রের মধ্যভাগ থেকে উপকূলের কাছে পানির অগভীর অংশে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকে। তবে বিভিন্ন নদীপথে দেশের ভিতরে সমুদ্রের পানি যখন প্রবেশ করে এবং নেমে যায় তাকে জোয়ার ভাটা বলে না। 

জোয়ার ভাটার কারণ : জোয়ার ভাঁটা সম্পর্কে প্রাচীনকালে মানুষ নানা রকম অবাস্তব কল্পনা করত। কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন যে চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই এবং পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে জোয়ার ভাটা হয়। জোয়ার ভাটা সংঘটনের কারণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা. (১) মহাকর্ষণ শক্তির প্রভাব এবং (২) কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব।  

মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব: পৃথিবীর সকল পদার্থ একটি অপরটিকে আকর্ষণ করছে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে। মহাকর্ষের প্রভাবে পৃথিবী সর্বদা সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র সর্বদা পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। আর এই কারণেই পৃথিবীর জলরাশি কখনো বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। মহাকাশে অবস্থিত সব নক্ষত্র, গ্রহ ও উপগ্রহের এ আকর্ষণের পরিমাণ সমান না। বড় পদার্থের আকর্ষণ ক্ষমতা ছোট পদার্থ অপেক্ষা বেশি। চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ ক্ষমতা সূর্য অপেক্ষা বেশি। ফলে জোয়ার ভাটায় চন্দ্রের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। জোয়ার-ভাটার ক্ষেত্রে চন্দ্র ও সূর্য উভয়ই পৃথিবীর ওপর নিজ নিজ শক্তি প্রয়োগ করলেও চন্দ্রের শক্তির অধিকতর প্রয়োগ হয়। চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি স্থলভাগের কেন্দ্রস্থলেও ভূ-পৃষ্টের জলরাশির ওপর বেশি কার্যকর হয়। মূলত স্থলভাগের ওপরে চন্দ্র সূর্যের আকর্ষণ শক্তি প্রায় নেই বললেই চলে। আর এ কারণেই পৃথিবীর কেন্দ্র ও পানির উপরিভাগের উপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের পার্থক্য দেখা যায় এবং তার ফলাফল হিসেবে জোয়ার ভাটা সংঘটিত হয়।

কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব: মহাকর্ষ শক্তির মত ঘূর্ণনশীল পৃথিবী পৃষ্ঠে যে কেন্দ্রাতিগ শক্তি উৎপন্ন হয় সেটিও জোয়ার ভাটা উৎপত্তির কারণ। কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে গৌণ জোয়ার সৃষ্টি হয়। পৃথিবী যখন তার অক্ষের উপর ঘুরতে থাকে তখন একটি বিপরীত শক্তি এর পৃষ্ঠ থেকে বিপরীত দিকে নিয়ে যেতে চায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বৃষ্টির পানিতে পূর্ণ কোনো রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন যদি খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়, তখন চাকার প্রভাবে ঐ পানি দূরে ছিটকে পরে। অনুরূপভাবে পৃথিবী শুধু নিজ অক্ষেই ঘুরছে না। সেই সাথে অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু নিজ অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে। আবার আরেকটি শক্তি কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে যা সবকিছু বাইরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই শক্তিকেই বলা হয় কেন্দ্রাতিগ শক্তি বা বিকর্ষণ শক্তি। এই কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণেই ভূ-পৃষ্ঠের জলরাশি বাইরের দিকে প্রবাহিত হয় এবং জোয়ার ভাঁটার সৃষ্টি হয়।জোয়ার ভাঁটা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কেন্দ্রাতিগ শক্তি একটি প্রধান শক্তি পৃথিবী নিজ কক্ষ পথে ঘূর্ণনের সময় নিম্নোক্ত সূত্রানুযায়ী কেন্দ্রাতিগ শক্তি কাজ করে।

জোয়ার ভাটাকে মূলত দুইটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে শ্রেণিবিভাগ করা যায়। যথা. (ক) চন্দ্রের অবস্থান ভিত্তিতে এবং (খ) পানির উচ্চতা ভিত্তিতে।

চন্দ্রের অবস্থানের ভিত্তিতে জোয়ার ভাঁটাকে মূলত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা ১. মুখ্য জোয়ার এবং ২. গৌণ জোয়ার।

১. মুখ্য জোয়ার: চন্দ্র সর্বদা পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনশীল। চন্দ্রের এ আবর্তনকালে যে অংশ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে অবস্থান করে সেখানে চন্দ্রের আকর্ষণ সর্বাপেক্ষা বেশি থাকে। সাধারণত কঠিন স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের উপর এই প্রভাব বেশি থাকায় পৃথিবীর জলরাশি মূলত কেন্দ্রস্থলের দিকে প্রবাহিত হয়। একই সময়ে এবং একই সঙ্গে পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তি কার্যকর হয় বলেই সে সময় জোয়ার সৃষ্টি হয়। এরূপ জোয়ারকে বলা হয় মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার ।

২. গৌণ জোয়ার: চন্দ্র পৃথিবীর যে পাশে আকর্ষণ করে তার বিপরীত দিকে অর্থাৎ প্রতিপাদ স্থানে পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তি তুলনামূলক কম। পানির নিচের কঠিন স্থলভাগে চন্দ্রের আকর্ষণ কেন্দ্রস্থলের আকর্ষণের সমান। এ কারণেই বিপরীত দিকের জলরাশি থেকেও স্থলভাগ চন্দ্রের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়। এ সময় চন্দ্রের বিপরীত দিকে কেন্দ্রাতিগ শক্তির সৃষ্টি হয়। মূলত চন্দ্রের বিপরীত দিকের জলরাশির ওপর মহাকর্ষণ শক্তির প্রভাব তখন কমে যায়। এর ফলে চারদিক থেকে পানি ঐ স্থানে এসে জোয়ারের সৃষ্টি করে। চন্দ্রের বিপরীতে সৃষ্ট এই জোয়ারকে বলা হয় গৌণ বা পরোক্ষ জোয়ার।

চন্দ্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে মুখ্য ও গৌণ জোয়ার হয়। অন্যদিকে পানির উচ্চতার উপর ভিত্তি করে সংঘটিত হয় মরা কটাল এবং ভরা কটাল। মুখ্য জোয়ারকে বলা হয় প্রত্যক্ষ জোয়ার এবং চন্দ্রের বিপরীতে সৃষ্ট জোয়ারকে বলা হয় গৌণ জোয়ার। পূণির্মা ও অমাবস্যায় চন্দ্রের আকর্ষণের ভরা কটাল সংঘটিত হয়। আবার সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে মরা কটাল সংঘটিত হয়।

পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে বিভিন্ন অংশে প্রতিদিন দু’বার করে জোয়ার ও দু’বার করে ভাটা হয়ে থাকে।

পশ্চিম থেকে পূর্বে পৃথিবী ২৪ ঘণ্টায় একবার নিজ অক্ষের ওপর ঘোরে। চন্দ্রও নিজ কক্ষপথে অবস্থান করে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘোরে এবং পৃথিবীর চারদিকে পরিক্রমণ করে। চন্দ্র যদি স্থির থাকত তবে পৃথিবীর প্রত্যেক স্থান ২৪ ঘণ্টা অন্তর একবার চাঁদের সামনে আসত এবং ঐ স্থানে মুখ্য জোয়ার হত। চন্দ্র যেহেতু নিজ কক্ষপথে সাড়ে ঊনত্রিশ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, সেহেতু এটি একদিনে তার কক্ষের সাড়ে উনত্রিশ ভাগের একভাগ অগ্রসর হয়। কাজেই পৃথিবীর একবার আবর্তন সময়ে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র নিজ কক্ষের প্রায় ১ ডিগ্রী পথ অগ্রসর হয়। সম্পূর্ণ একবার ঘুরে আসার পর ভূ-পৃষ্ঠের কোণ মধ্যরেখায় পুনরায় চাঁদের ঠিক নিচে আসতে ঐ ১৩ ডিগ্রী পথ বেশি অগ্রসর হতে হয়। এই ১৩ ডিগ্রী পথ অগ্রসর হতে পৃথিবীর আরো ১৩ গুণ ৪=৫২ মিনিট সময় লাগে। তাই আজ যে জায়গায় মুখ্য জোয়ার হলো, আগামীকাল সেই জায়গায় মুখ্য জোয়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর না এসে ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট অর্থাৎ প্রায় ২৫ ঘণ্টা পরে আসে।এক মুখ্য জোয়ার চলে যাবার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট অর্থাৎ প্রায় সাড়ে বার ঘণ্টা পরে সেই জায়গায় গৌণ জোয়ার এবং ঐ স্থানের প্রত্যেক জোয়ারের প্রায় ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট অর্থাৎ প্রায় সোয়া ছয় ঘণ্টা পরে  ভাটা হয়।

উন্মুক্ত সমুদ্রে জোয়ারের পানি খুব বেশি ফুলে ওঠে না। জোয়ার ও ভাঁটার মধ্যে মাত্র কয়েক মিটারের ব্যবধান দেখতে পাওয়া যায়। উপকূলের কাছে এ অবস্থার পরিবর্তন দেখা যায়। বড় বড় সাগর, মহাসাগরে জোয়ারের পানি ১-২ মিটারের বেশি উঁচু হয় না। কিন্তু স্থানভেদে উপকূলের কাছে নদীর খাড়ি, মোহনা, পোতাশ্রয় এবং সাগরের মহীসোপানে জোয়ারের স্রোত ৩ থেকে ৪ এবং ৯ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। উন্মুক্ত উপসাগরে ভাঁটার সময় পানির গভীরতা অপেক্ষা জোয়ারের সময়ের গভীরতা ২১ মিটারের

বেশি হয়। ভূ-মধ্যসাগর, লোহিত সাগর, কৃষ্ণ সাগর ও বাল্টিক সাগর প্রায় চারদিক স্থল বেষ্টিত থাকায় সেসব জলাশয়ে মহাসাগরের জোয়ার ভাঁটার প্রভাব খুব কম দেখা যায়।

চন্দ্র পৃথিবীকে ক্রমাগত পরিক্রমণ করছে বলে জোয়ার ও ভাঁটার সময়ের পার্থক্য তৈরি হয়। প্রত্যেক মুখ্য জোয়ারের ১২ ঘণ্টা ২৩ মিনিট পর ঐ স্থানে গৌণ জোয়ার হয়। একইভাবে প্রত্যেক জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ঐ স্থানে ভাটা হয়।

বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। আর দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর। ফলে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ার ভাটা আশীর্বাদ বয়ে নিয়ে আসে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। যা দ্বারা মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকে।

এর সুফল হচ্ছে-

১. ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা: জোয়ার ভাটার ফলে সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচলে বিশেষ সুবিধা হয়। জোয়ারের সময় নদীর মোহনায় ও তার অভ্যন্তরে পানি বেশি উঁচু হয়। ফলে বড় বড় সমুদ্রগামী জাহাজগুলো আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে সহজেই নদীতে প্রবেশ করতে পারে এবং ভাটার টানে এসব জাহাজ রপ্তানিকৃত পণ্য নিয়ে সহজেই সমুদ্রে চলে যেতে পারে। এ কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে চট্টগ্রাম ও মংলা নামক দুটি সমুদ্র বন্দর গড়ে উঠেছে। এ বন্দর দুটি গড়ে উঠায় ঐসব এলাকায় বহু শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ সুগম করেছে।

২. নদীর পানি নির্মল থাকা: জোয়ার ভাঁটার ফলে নদীর পানি নির্মল থাকে। দৈনিক দু’বার করে জোয়ার ভাটা হওয়ার ফলে নদীতে সঞ্চিত সব আবর্জনা ধুয়ে মুছে যায়। ফলে পরিবেশ থাকে পরিচ্ছন্ন।

৩. নদী মুখ নৌ চলাচলযোগ্য থাকা: জোয়ার ভাঁটার জন্য পলিমাটি পড়ে নদীর মুখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। ফলে নৌ চলাচলযোগ্য থাকে। ইংল্যান্ডের টেমস নদীতে জোয়ার ভাটার ফলে পলি জমতে পারে না বলে সর্বদা নাব্য থাকে।

৪. লবণ উৎপাদন কেন্দ্র: জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে সমুদ্র উপকূলে লবণ তৈরির কারখানা গড়ে ওঠে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানি লবণ উৎপাদন কেন্দ্রের অগভীর চওড়া জলাশয়ে প্রবেশ করে। পরে ঐ আবদ্ধ পানি-রাশিকে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়।

৫. সেচ কাজে সুবিধা: উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক নদীর পাশে খাল খনন করে পানি আটকিয়ে জমিতে সেচ দেয়া হয়। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতির সম্ভাবনা তৈরি হয়।

৬. মৎস্য বন্দর ও মৎস্য ব্যবসা কেন্দ্র: জোয়ার ভাটার প্রভাবে সমুদ্রের মৎস্য বন্দর ও মৎস্য ব্যবসায় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার উপকূল রেখা রয়েছে। এসব উপকূল রেখার বিভিন্ন অংশ দিয়ে বহু নদী, অসংখ্য শাখানদীসহ বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। তাই উপকূল রেখার সর্বত্রই অসংখ্য ছোট-বড় নদীর মোহনা ও খাঁড়ি বিদ্যমান। এসব মোহনা ও খাঁড়িতে মৎস্য খাদ্যের প্রাচুর্যতা থাকায় অসংখ্য মৎস্য সে ভিড় জমায় এবং প্রচুর মৎস্য ধরা পড়ে। এ অঞ্চলের ধৃত মৎস্যের মধ্যে ভেটকি, কোরাল, চান্দা, রূপচান্দা, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, পোয়া, স্যামন এবং ছূরিমাছ প্রভৃতি প্রধান। এ সকল মৎস্য দেশ-বিদেশের বাজারে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা হয়।

৭. কর্মসংস্থান: উপকূলীয় জোয়ার ভাটার প্রভাবে মৎস্য ক্ষেত্রে বহু লোক কাজে নিয়োজিত থাকে যা তা দেশের বেকারত্ব হ্রাসে সহায়তা করে।

এর কুফল হলো-

১. কৃষি জমি উর্বরতা হ্রাস: উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি জমিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলে জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায়। এর ফলে উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়।

২. জানমালের ক্ষতি: তীব্র জোয়ারের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে।

৩. নৌযান ডুবি: তীব্র জোয়ারের ফলে ক্ষুদ্র নৌযান ডুবে যেতে পারে।

সুতরাং বলা যায় যে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জোয়ার ভাঁটার প্রভাব দেশের কৃষিক্ষেত্র, ব্যবসায়-বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যদিও এর সামান্য কিছু কুফল রয়েছে।

সূত্রঃ ইন্টারনেট, অন্যান্য



মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

আজ দিবাগত রাতে এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্‌ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্‌লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্‌লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।


ইন্টারনেট   বিএসসিপিএলসি  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট

প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৫)। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়বেন গ্রাহকরা। 

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা কামাল আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মির্জা কামাল আহম্মদ বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। 

তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে (সি-মি-উই-৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বিএসসিপিএলসি।

ইন্টারনেট সেবা   সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

আবারও হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে বিভ্রাট

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।

তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।

এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল। সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার কথা।


হোয়াটসঅ্যাপ   ইনস্টাগ্রাম   মেটা  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

সরকারি-বেসরকারি অনেক ওয়েবসাইট ডাউন

প্রকাশ: ০৩:৪৪ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট কাজ করছে না। এ কারণে সেবা গ্রহণে ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

জানা গেছে, যেসব ওয়েবসাইটের শেষে ডট গভ, ডট বিডি, ডট বাংলা বা ডট কম ডট বিডি রয়েছে সেগুলো বিটিসিএলের সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এসব সাইট খোলা যাচ্ছে না। দেশের সবকটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে বানানো। ফলে সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ, ইভ্যালি ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বহু বেসরকারি ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় সেগুলোতেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার রাত থেকেই এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত কোনো সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম (ডোমেইন) আনোয়ার পারভেজ বলেন, হঠাৎ করেই পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে আমরা জলদি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করছি। প্রস্তুত হলেই পুনরায় সচল হবে সব ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট ডাউন   বিটিসিএল  


মন্তব্য করুন


টেক ইনসাইড

১০ মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশির তথ্য হ্যাকারদের দখলে

প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে বাংলাদেশের কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) নাগরিকের ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে ‘ডাটাভেঞ্চার’ পরিচয় দেওয়া একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, তাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কেন্দ্রিক তথ্য, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ইমেইল ঠিকানাসহ আরও কিছু তথ্য রয়েছে।

তারা দাবি করছে এগুলো ১২ হাজার ডলারে বিক্রির জন্য হ্যাকারদের একটি প্ল্যাটফর্মে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে নেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, তথ্য হাতিয়ে নেওয়া বাংলাদেশি নাগরিকের প্রকৃত সংখ্যা কয়েক কোটি হতে পারে। এ ধারণা সঠিক হলে এটিই বাংলাদেশ থেকে তথ্য ফাঁসের সর্ববৃহৎ ঘটনা।

জানা গেছে, ‘ব্ল্যাক হ্যাট’ নামে পরিচিত ক্ষতিকারক হ্যাকারদের একটি প্ল্যাটফর্ম ‘ব্রিচ ফোরাম’। এরা কোন দেশ থেকে পরিচালিত হয় অথবা এর সদস্যদের পরিচয় এখনো অজানা। গত ২৬ মার্চ এই প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘ডাটাভেঞ্চার’ পরিচয় দেওয়া হ্যাকারের দাবি, তার কাছে বাংলাদেশের কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে সংগৃহীত তথ্য রয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মধ্যে ‘এসএ পরিবহন’, ‘রেডেক্স’ এবং ‘সুন্দরবন’-এর নাম উল্লেখ করে ‘অন্যান্য’ প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। পুলিশ সম্পর্কিত তথ্য থাকার বিষয়ে হ্যাকারের দাবি, ‘পুলিশ ডাটা, যেখানে সব পুলিশের তথ্য রয়েছে।’

হ্যাকারের দাবি, ১০ মিলিয়নের (১ কোটি) বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের এনআইডি সংশ্লিষ্ট তথ্য রয়েছে তার কাছে। যার মধ্যে আছে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ এবং এনআইডি নম্বর। এ ছাড়া নাগরিকদের মোবাইল নম্বর ও ইমেইল ঠিকানা, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ও শাখার নামসহ আরও বেশকিছু তথ্য রয়েছে বলেও দাবি তার। পুলিশের তথ্যসহ নাগরিকদের এসব তথ্য বিক্রির জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার চেয়েছে হ্যাকার। পাশাপাশি এনআইডির তথ্য চাইলে দিতে হবে আরও ২ হাজার ডলার। সব মিলিয়ে এসব তথ্য ১২ হাজার ডলারে বিক্রির ঘোষণা দিয়ে ‘ব্রিচ ফোরাম’-এর ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছে ‘ডাটাভেঞ্চার’।

বিপুল পরিমাণ তথ্য ফাঁসের এ ঘোষণা ইতোমধ্যেই দেশীয় হ্যাকার কমিউনিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করার আগে পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কম্পিউটার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট)।

যোগাযোগ করা হলে নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এবং সার্টের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল আলম খান কালবেলাকে পৃথকভাবে জানান, এখনো তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

তবে একাধিক সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং এথিক্যাল হ্যাকার কালবেলাকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এথিক্যাল হ্যাকার বলেন, বিক্রির জন্য উত্থাপিত তথ্যের কিছু নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় ৬ কোটি নাগরিকের তথ্য হ্যাকারের দখলে রয়েছে। এসব নমুনার কিছু তথ্য যাচাই করে সেগুলো সঠিক পেয়েছি। নমুনার সূত্র ধরে কুমিল্লার এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে কল দিলে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ এবং ঠিকানা নিশ্চিত হয়েছি। অর্থাৎ তথ্যগুলো সঠিক।’

বিষয়টি আরও যাচাই করতে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আল জাবের দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্রিচ ফোরাম হ্যাকারদের একটি গোষ্ঠী, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের হ্যাকাররা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। এখানে কেউ কারও সঠিক পরিচয় জানে না। কারও কাছে এ ধরনের তথ্য এলে বেচাকেনার জন্য এখানে যোগাযোগ করেন তারা। কোনো ভুয়া তথ্য দিয়ে এখানে পোস্ট করা কঠিন। ৬ কোটি নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়ে থাকলে এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তথ্য ফাঁসের ঘটনা।’

এ ধরনের তথ্য ফাঁসের ভয়াবহতা কী জানতে চাইলে জাবের বলেন, ‘একজন ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক হিসাবের নম্বর এসব তথ্য অন্য কারও হাতে থাকা মানে ওই ব্যক্তির সবকিছুই হ্যাকারের দখলে। খেয়াল করলে দেখবেন, সম্প্রতি আপনার আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ইংরেজিতে কথা বলে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এটা মূলত চায়নিজ হ্যাকারদের কাজ। তারা আমাদের নম্বর, নাম এবং অন্যান্য তথ্য কীভাবে পায়? এভাবেই কারও বিক্রি করা বা ফাঁস করা থেকে পায়। এ ধরনের তথ্য গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার ডলারে বেচাকেনা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল জগতে।’

তবে এক কোটির বেশি মানুষের তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে পাতা ফাঁদ উল্লেখ করে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য তাদের কাছে আছে বলে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এটা করে তারা। এটা তেমনি একটা জিনিস। আমাদের কোনো ধরনের তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রির কথা কেউ যদি বলে থাকে তাহলে সেটা মিথ্যা বলছে। ওরা প্রতারণার উদ্দেশ্যে এটা করছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের তথ্যভান্ডার থেকে বড় পরিসরে নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত থাকার খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। ভিক্টর মার্কোপোলস নামে একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের কারিগরি দুর্বলতা তুলে ধরে সেসব তথ্য খুব সহজেই উন্মুক্ত অবস্থায় পেয়েছিলেন বলে জানান।


হ্যাকার   বাংলাদেশি   ডাটাভেঞ্চার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন