নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ০৪ মে, ২০২১
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এখন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ফেসবুক ছাড়া একটা দিন কল্পণা করা এখন অনেকের জন্যই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার করা, খবর দেখা, ভিডিও দেখা, শেয়ার করা এগুলো সবই এখন ফেসবুক কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোন তথ্য বা খবর এখন খুব দ্রুত সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যমও এই ফেসবুক। তবে এই সুযোগ ব্যবহার করছে কিছু অসাধু গোষ্ঠী। যারা ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এমনকি বাজার দর বৃদ্ধি থেকে শুরু করে দঙ্গা তৈরী করতেও এই মাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে। অনেকেই আমরা না বুঝেই অনেক ভুয়া তথ্য জানছি, এমনকি নিজের অজান্তেই ছড়িয়েও দিচ্ছি। যা দিনের পর দিন হুমকি স্বরুপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এই সব ভুয়া খবর বা তথ্য সহযেই চেনা সম্ভব।
`ভুয়া খবর` বলতে আসলে কি বোঝায়?
ভুয়া খবর চেনার পূর্বে আমাদের জানতে হবে, `ভুয়া খবর` বলতে আসলে কি বোঝায়? ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর হল যেকোন প্রকার মিথ্যা, বানোয়াট খবর কিংবা খবরের বিকৃত রুপ। ভুয়া খবর আমাদের মাঝে `গুজব` হিসেবেও পরিচিত।
যেভাবে চিনবেন ভুয়া খবর
হেডলাইন
প্রথমে খবরের হেডলাইনটি ভালো করে পড়ুন। যেগুলো ভুয়া সেগুলোতে অতিমাত্রায় চমকপ্রদ শিরোনাম থাকে, যা দেখলেই সন্দেহ সৃষ্টি হবে। এমন খবর বিস্তারিত জানতে ইচ্ছা করে। তাই বাস্তবতার সঙ্গে মিল না থাকলে হেডলাইন দেখেই আকৃষ্ট হওয়া উচিত নয়।
ওয়েবসাইট
খবরটি কোন ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত হয়েছে সেদিকে ভালোভাবে নজর দিতে হবে। বেনামি নানা ওয়েবসাইট থেকে ভুয়া খবরে চমকপ্রদ ছবি দিয়ে ফেইসবুকে ভাইরাল করা হয়ে থাকে।তাই হেডলাইন দেখার পর চোখ রাখুন ওয়েবসাইটের লিংকটি সঠিক কিনা?
একাধিক সূত্রে যাচাই করুন
ফেইসবুকে কোনো খবর চোখে পড়লে ও সন্দেহ হলে তা আগে গুগলে সার্চ করুন। দেখবেন এ বিষয়ে আসলেই কোনো খবর প্রকাশ হয়েছে কিনা বা কোথায় হয়েছে।বানান বা খবরের
ফরম্যাট
ভুয়া খবর ছড়ানো ওয়েবসাইটগুলোতে বানান ভুল থাকে। খবরের ফরম্যাটে গণ্ডগোল থাকে।
খবরটি কি কৌতুক?
ফেইসবুকে কোনো খবর দেয়ার পরে এটি কি আসল নাকি কৌতুক সেটা বিবেচনা করা উচিত। যে সূত্রে খবর দেয়া হচ্ছে সেটি এ ধরণের কৌতুকপূর্ণ খবর ছড়ায় কিনা তা পরীক্ষা করা দরকার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন