নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১০ জুন, ২০২১
টিকটক, উইচ্যাট নিষিদ্ধ করার আদেশ প্রত্যাহার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন মুলুকে টিকটক এবং উইচ্যাট বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। তবে ট্রাম্পের সেই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় এই দুই সংস্থা। শেষমেশ আদালতের হস্তক্ষেপে মার্কিন প্রশাসনের সেই আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। এবার টিকটক, উইচ্যাট-কে কিছুটা স্বস্তি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টিকটক, উইচ্যাট নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার বাইডেনের।
তবে এখনও পুরোপুরি স্বস্তি মেলেনি টিকটক ও উইচ্যাটের। এই দুই চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে চলা তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে আমেরিকায়। এ বিষয়েই এবার নতুন একটি চুক্তি সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই নির্দেশনায় টিকটক ও উইচ্যাটের ব্যাপারে নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেনের বিষয়েও পৃথক সরকারি প্যানেলের পর্যালোচনার মুখোমুখি হতে হবে টিকটক-কে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনা সংস্থা টিকটক ও উইচ্যাটের কার্যপ্রণালী নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। টিকটক চিনের সরকারকে মার্কিনীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমেরিকার তাবড় ব্যক্তিত্বের যাবতীয় ডেটা টিকটকের মাধ্যমেই চিন সরকারের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
যদিও সে ব্যাপারে ভিন্নমতও রয়েছে। ট্রাম্পের সমালোচকরা জানিয়েছিলেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি কর্মসূচি টিকটক ব্যবহারকারীদের দ্বারা ভণ্ডুল হতে বসেছিল। সেই সময় থেকেই ট্রাম্পের বিষ নজরে পড়ে গিয়েছিল এই সোশ্যাল মাধ্যম। তারপর থেকেই টিকটকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ভাবনা আসে ট্রাম্পের মাথায়। মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার কথা বলেন ট্রাম্প। টিকটক ও উইচ্যাটকে কাঠগড়ায় তুলে তাদের নিষিদ্ধ করার তৎপরতা নেন ট্রাম্প।
যদিও এরপরেই আইনি পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মোকাবিলায় নামে এই দুই সংস্থা। একদিকে দুটি সংস্থার বিরুদ্ধেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের সারবত্তা কতটা? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে মার্কিন আদালত আগেই টিকটক, উইচ্যাট নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই দুই সংস্থাকে আরও স্বস্তি দিলেন। চিনের এই দুই সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার আদেশ তুলে নিলেন তিনি। তবে এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত জারি থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন