নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ১১ জুন, ২০২১
বিশ্বের বৃহত্তম ভিডিও গেম নির্মাতা ইলেক্ট্রনিকস আর্টসে (ইএ) হানা দিয়েছে হ্যাকাররা। সম্প্রতি হামলা চালিয়ে তারা বেশ কিছু জনপ্রিয় গেমে ব্যবহৃত সোর্স কোড চুরি করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র।
হ্যাকাররা গত ৬ জুন ইলেক্ট্রনিকস আর্টসের ৭৮০ গিগাবাইট ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফিফা, ম্যাডেন, ব্যাটেলফিল্ড সিরিজের মতো গেমগুলোতে ব্যবহৃত ফ্রস্টবাইট সোর্স কোড। এর ফলে ইএ’র সব ধরনের পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
এমনকি তারা ফিফা ২১-এর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টুল এবং ফিফা ২২-এর প্লেয়ার ম্যাচমেকিংয়ের সার্ভার কোডও হাতিয়ে নেয়ার দাবি করেছে হ্যাকাররা। তারা বলছে, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রেট ক্যালোর মতে, সোর্স কোডের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানো ইএ’র ব্যবসার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি জানান, সোর্স কোড অন্য ডেভেলপাররা কপি (অনুলিপি) করে নিতে পারে বা গেমসের হ্যাক তৈরি করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
ইএ’র এক মুখপাত্র হ্যাকিংয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আমাদের নেটওয়ার্কে সাম্প্রতিক অনুপ্রবেশের একটি ঘটনার তদন্ত করছি, যেখানে সীমিত পরিমাণে গেম সোর্স কোড এবং সংশ্লিষ্ট টুলস চুরি হয়েছে।
তবে কোনো প্লেয়ার ডেটা চুরি হয়নি দাবি করে এ কর্মকর্তা বলেন, খেলোয়াড়দের গোপনীয়তার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে মনে করার কোনো কারণ নেই। আমরা ইতোমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি এবং এ ঘটনায় আমাদের গেমস বা ব্যবসার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তে আমরা আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তা এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন