নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৩ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২১
পৃথিবী থেকে ৯০ আলোকবর্ষ দূরে `TOI-1231 b` নামের একটি নতুন গ্রহ আবিষ্কার করেছেন জেনিফার বার্ট নামের নাসার (NASA) এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
তিনি ও তার দল জানান, নতুন এই গ্রহটি ঘুরছে এক ‘লাল বামন’ অবস্থাপ্রাপ্ত নক্ষত্রের চারদিকে। একবার প্রদক্ষিণ করতে লাগে মাত্র ২৪ দিন। নেপচুনের আকারের এই গ্রহটির আবহাওয়া মূলত গ্যাসীয়। সবথেকে বড় কথা গ্রহটি অনেকটাই ঠান্ডা। এর নির্দিষ্ট আবহাওয়ামণ্ডল রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আশাও জাগতে পারে প্রাণের সন্ধান মেলার।
কিন্তু আকারে পৃথিবীর প্রায় সাড়ে তিন গুণ হওয়ার কারণেই ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সম্পন্ন এই গ্রহটি শেষ পর্যন্ত নিষ্প্রাণ বলেই ধারণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সৌরমণ্ডলের বাইরে সন্ধান মেলা গ্রহদের মধ্যে এটি অন্যতম ঠান্ডা গ্রহ। এই গ্রহে মৌলগুলি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। যার ফলে কার্যত এই গ্রহটি বিজ্ঞানীদের কাছে কৌতূহলের বস্তু হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন