নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪০ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০২১
বার্তা ফরোয়ার্ড করার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গত মে ও জুন মাসে ভারতে ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের নিজস্ব মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বজুড়ে প্রতি মাসে ৮০ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেন তারা।
হোয়াটসঅ্যাপের বলেছে, একজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ যতজনকে বার্তা ফরোয়ার্ড করতে পারেন, তার সীমা লঙ্ঘন করেছেন এসব অ্যাকাউন্টধারীর বেশির ভাগ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বিতর্কিত নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে প্রথমবারের মতো মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হোয়াইটসঅ্যাপ। সেখানেই ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বাতিলের তথ্য এসেছে।
হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ভারত। দেশটিতে ৪০ কোটির বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ফেসবুকের মালিকানাধীন এই মেসেজিং সেবাটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা আদান–প্রদান কমানো।
হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ভারতে অস্বাভাবিক ও উচ্চহারে বার্তা পাঠানোর অভিযোগে ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ব্যবহারকারীর অনুরোধ মেনে ভুয়া খবর ঠেকাতে এবং প্ল্যাটফর্মটির অপব্যবহার রোধে নিজস্ব প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন