নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০২১
নেটমাধ্যমে দু’দিনের ভার্চুয়াল আলাপ থেকে রাত জেগে কথাবার্তা। তার পর ভিডিয়ো কল। সাধারণ কথার মোড়ক সরে গিয়ে জায়গা নিচ্ছে যৌন উত্তেজক আলাপ আলোচনা। অনেক সময়েই বিবস্ত্র হয়ে অথবা সামনে টিভি-ল্যাপটপে পর্ন ভিডিয়ো চালিয়ে আরও উত্তেজক মুহূর্ত তৈরির চেষ্টা। প্রতারকদের এই ফাঁদেই পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তরুণ-তরুণী আর মধ্যবয়সিরা।
এমন ঘটনা আপনার সঙ্গে ঘটলে সেই মুহূর্তে প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারবেন না। কারণ যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। যে মুহূর্তে আপনি ভিডিয়ো কলটি ধরেছেন, সে মুহূর্তেই আপনার মুখচ্ছবি ওই ব্যক্তির হাতে চলে গিয়েছে। তার পর সেই ছবিই এডিট করে পর্ন ক্লিপে বসিয়ে শুরু হবে ‘ব্ল্যাকমেল’। হুমকি ফোনে আপনাকে জানানো হবে, টাকা না দিলে ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়া হবে।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং কেরলে এই ধরনের প্রতারণার বহু অভিযোগ সামনে এসেছে। গত মার্চে কলকাতা শহরেও এই রকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সহকারির আত্মহত্যার পিছনে উঠে এসেছিল ভিডিয়ো কলে প্রতারণার তত্ত্ব।
ভিডিয়ো কল প্রতারণা চক্র নিয়ে সতর্ক করতে সাইবার বিশেষ়জ্ঞ তথা আইপিএস অফিসার মুক্তেশ চন্দার একটি টুইটে লিখেছেন, ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির ভিডিয়ো কল ধরা থেকে বিরত থাকুন। নইলে বড় প্রতারণার শিকার হতে পারেন আপনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলাদের যৌনতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন প্রতারকেরা।’ এই বিষয়ে সকলকে অবগত করতে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আপনার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে, আপনি প্রতারণার শিকার হলে সঙ্কোচ বোধ না করে সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ দায়ের করুন।’
প্রসঙ্গত, এই ধরনের প্রতারণার অভিযোগ নথিভুক্তিকরণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে। যার নাম ‘ল শিখো’।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন