নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২১
পেগাসাসের মত আরো অনেক ধরণের ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার আছে যার মাধ্যমে হ্যাকাররা প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের অনেকর মোবাইল ফোনে আড়ি পেতে যাচ্ছে। ঘটনা যদি বড় কিছু না হয় কিংবা অনেক বেশি মানুষ এক সাথে এর ধাঁরা আক্রান্ত না হয় তবে বেশির ভাগ ঘটনাই মানুষের চোখের আড়ালের থেকে যায়।
বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাততে পেগাসাস নামের স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়। পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি। সেদিক থেকে দেখলে, বেশির ভাগ মানুষের ফোনেই তা পাওয়া যাবে না। তবে আরও অনেক ধরনের ম্যালওয়্যার তৈরির উদ্দেশ্যই থাকে যত বেশি সম্ভব স্মার্টফোনে তা ছড়িয়ে দেওয়া।
তবে আপনার আমার স্মার্টফোন হোক সেটা অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইফোন কোন কিছুই বর্তমানে হ্যাকারদের থেকে নিরাপদ নয়। এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে স্পাইওয়্যারের আক্রমণ থেকে নিজেদের ফোন কে নিরাপদ রাখা যায়।
১. মুঠোফোনে যেকোনো ধরনের বার্তায় কোনো লিংক এলে দুটি জিনিস দেখুন। এক. যিনি পাঠিয়েছেন, তাঁকে আপনি বিশ্বাস করেন কি না। দুই. যে লিংক এসেছে, সেটি নির্ভরযোগ্য কোনো ওয়েবসাইটের কি না। পেগাসাস ছড়িয়েছে আই মেসেজে আসা ওয়েব লিংকের মাধ্যমে। বেশির ভাগ সাইবার অপরাধীরা কিন্তু এই পদ্ধতি ব্যবহারের চেষ্টা করেন।
২. আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম থেকে শুরু করে সব অ্যাপ সর্বশেষ সংস্করণে হালনাগাদ রাখুন। এ কথা আপনি হয়তো শতবার শুনেছেন। তবে সফটওয়্যারের সর্বশেষ হালনাগাদে নিরাপত্তার সর্বশেষ কৌশলও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৩. ম্যালওয়্যার তৈরিতে সময়, শ্রম ও অর্থের খরচ কম হয় না। এরপর সেটি ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে ছড়িয়ে দিতে পারলে তবেই নজর রাখার সুযোগ পায় হ্যাকার। এটা তো গেল ভার্চুয়াল দিক। ‘ফিজিক্যাল’ দিকটাও মাথায় রাখুন। যে কেউ যেন আপনার ফোন ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য পিন কোড, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস লকের মতো অপশন সচল রাখতে ভুলবেন না।
৪. ফ্রি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার না করাই ভালো। বিশেষ করে যখন গোপনীয় তথ্য ব্যবহার করছেন। আর ব্যবহার যদি করতেই হয়, তবে ভিপিএন একটি ভালো সমাধান হতে পারে।
৫. সম্ভব হলে স্মার্টফোনে থাকা সংবেদনশীল তথ্য এনক্রিপ্ট করে রাখুন। আর যে ক্ষেত্রে দূর থেকে তথ্য মুছে ফেলার সুবিধা রিমোট ওয়াইপ আছে, সে সব ক্ষেত্রে সেটি সচল রাখুন। এতে আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে অন্তত হাতে একটা অপশন থাকবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন