নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২১
নিল আর্মস্ট্রং এর পরপরই চাঁদের বুকে নিজের পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছিলেন তিনি। মর্ত্যের বুকে নামার পর স্বাভাবিকভাবেই তার গলায় ওঠা উচিত ছিল মালা, সামনে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল বরণমালা। কিন্তু সে ভাগ্য বোধহয় তার ছিল না। বিমানবন্দরের কাস্টমসের ফর্ম পূরণ করে আর দশজন স্বাভাবিক যাত্রীর মতোই বের হতে হয়েছিল তাকে।
আনন্দবাজারের সূত্রে জানা যায়, চাঁদ থেকে ফেরার পরে সেই অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি টুইটারে শেয়ার করলেন আর্মস্ট্রংয়ের সহযাত্রী এডুইন অলড্রিন।
অভ্যর্থনা তিনি পাননি এমন নয়, তবে সাধারণ যাত্রীর মতো বিমানবন্দরের কাস্টমসের ফরম পূরণ করার পর বেরিয়েছিলেন তিনি। মহাকাশযান অ্যাপোলো ১১-এর মডিউল ইগলে করে চাঁদে গিয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী। প্রথম পা রেখেছিলেন নিল। এরপর এডুইন, টুইটারে যার নাম উল্লিখিত বাজ অলড্রিন হিসেবে।
তিনি চাঁদ থেকে ফেরার পরের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘একবার ভাবুন, আট দিন আমরা মহাকাশে কাটিয়েছি। প্রায় ২২ ঘণ্টা আমরা ছিলাম চাঁদে। পৃথিবীতে, মানে বাড়িতে ফিরেছিলাম শুধু বিমানবন্দরের কাস্টমস পেরিয়ে যেতে হবে বলে।’
এর সঙ্গেই কাস্টমসের ফরমটিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোথা থেকে এসেছেন, সেই স্থানে লেখা রয়েছে ‘চাঁদ’। স্পষ্ট তারিখটিও, ২৪ জুলাই ১৯৬৯। এই ফরমে তিনজনের নাম রয়েছে— অলড্রিন ও আর্মস্ট্রং চাঁদে নামলেও যানেই ছিলেন মাইকেল কলিন। তার নামও উল্লেখ করা হয়েছে এই ফরমে।
স্পেসডটকমের খবর অনুসারে, ২০০৯ সালে এই ফরমটি যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি সত্যি। সেই সময়ে এই ঘটনা নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন