নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ফেসুবুকের স্বাধীন পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওভারসাইট বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পোস্ট করা কনটেন্টের পর্যালোচনা কোন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় সে ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছে।
ওভারসাইট বোর্ড গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জানায়, এর আগেও ফেসবুকের কাছে ক্রস-চেক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে ফেসবুক তখন পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি।
ফেসবুকের কনটেন্ট পুনঃপর্যালোচনা প্রক্রিয়াটি প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ‘ক্রস-চেক’ হিসেবে পরিচিত। ফেসবুকের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আসন্ন দিনগুলোর কোনো এক সময় এই ক্রস-চেক প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওভারসাইট বোর্ডকে জানানো হবে।
প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের গত সপ্তাহের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ফেসবুকের নিয়ম ভাঙলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এতে ক্ষতিকর কনটেন্টের ব্যাপারে ফেসবুকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওয়াল স্ট্রিটের জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ফেসবুকের কিছু অ্যাকাউন্ট ‘সাদা তালিকাভুক্ত’। সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকের যে নিয়ম, সেই নিয়ম তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
গত বছর ওভারসাইট বোর্ড গঠন করে ফেসবুক। বোর্ডটির কাজ হলো ফেসবুকের সমস্যাপূর্ণ কনটেন্টের বিষয়ে স্বাধীন পর্যালোচনা শেষে সিদ্ধান্ত জানানো। চাইলে কোনো ব্যবহারকারী বোর্ডের কাছে আবেদন জানাতে পারেন, আবার বোর্ডও স্বতঃপ্রণোদিত কোনো ব্যাপারে রায় জানাতে পারে।a
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন