ইনসাইড আর্টিকেল

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের তাৎপর্য

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসটি এদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। সশস্ত্রবাহিনী থেকে এ অবধি ১,৮৩,৩৭৮ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত হয়েছেন।শান্তি রক্ষায় কাজ করার সময় নিহত হয়েছেন ১৩৯ জন,আহত হয়েছেন ২৪০ জন।২০২২ সালে এসে আমরা সশস্ত্রবাহিনী থেকে ৬৩২৪ জন সদস্যকে শান্তি রক্ষার কাজে নিয়োজিত দেখতে পাচ্ছি। এ ভেতর নারী সদস্য রয়েছেন ৩৭১জন। বর্তমানে ৯টি মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্য কাজ করছেন।উল্লেখ্য, সশস্ত্রবাহিনী থেকে ৪৩টি দেশে এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।এসব তথ্যই বলে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসটি কতটা গুরুত্ববহ। 

২. শান্তিরক্ষীদের সীমাহীন আত্মত্যাগকে স্মরণ করে ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে। বর্তমানে রাশিয়ার আক্রমণের শিকার ইউক্রেনের শান্তিরক্ষী সংস্থা এবং ইউক্রেন সরকারের যৌথ প্রস্তাবনায় ১১ ডিসেম্বর, ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত ৫৭/১২৯ প্রস্তাব অনুযায়ী এ দিবসের রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত আরব-ইসরাইল যুদ্ধকালীন যুদ্ধবিরতী পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘ ট্রুস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো) দিনকে উপজীব্য করে ২৯ মে তারিখটি স্থির করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ট্রুপস সুপারভিশন অর্গ্যানাইজেশন (আন্টসো)-ই হচ্ছে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী। এই হিসেবে(১৯৪৮ সাল থেকে) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ৭৫ বছর পূর্ণ করল। এদিনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল পুরুষ-নারীকে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারী মনোভাব বজায়, কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হয়। ২০০৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় নারীদের অবদান ও ভূমিকার উপর সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে। শান্তিরক্ষায় নারীর ভূমিকা ও লিঙ্গ-বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যেই ওই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

আগেই উল্লেখ করেছি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী পূর্ণ করেছে ৭৫ বছর। পক্ষান্তরে জাতিসংঘের অধীনে চলতি বছর বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী ৩৫ বছর পূর্ণ করল(১৯৮৮-২০২৩)। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে যুদ্ধরত সিরিয়াতে একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়ে শান্তি রক্ষায় মুসলিম দেশগুলোর সাথে তাঁর সরকারের বন্ধুত্ব স্থাপনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দেয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা প্রশংসিত হয়েছেন দেশ-বিদেশে। যেমন, নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা কোভিড-১৯(২০২০-২০২১)মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরও  বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের ‘নারী, শান্তি ও সুরক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি।এর আগে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, মানবাধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সেনাদের ভূমিকা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মহিলা পুলিশ দল সোচ্চার রয়েছেন সামাজিক-সম্প্রীতি সুসংহত করতে। আমি কোনো মিশনে গেলেই উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের সেনাদের কথা বলি।’ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা অর্জন আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থেই গৌরবের। এ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সেসময় বলেছিলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্রবাহিনীর অংশগ্রহণের ব্যাপক সুযোগ করে দেয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অঙ্গীকার। তাঁর মতে, ‘বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি আর সমৃদ্ধি ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। সে দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সবাই বিশ্বশান্তি বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। সে আলোকেই বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।’ প্রকৃতপক্ষে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে বিভিন্ন দেশের জাতিগত সংঘাত মোকাবেলা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বিচিত্র দেশের রাস্তাঘাট, অবকাঠামো নির্মাণ ও চিকিৎসা সেবায় আমাদের শান্তিরক্ষীরা অনুকরণীয় দায়িত্ব পালন করায় বিশ্বব্যাপী প্রসংশিত হচ্ছেন।

অর্থাৎ বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর বড় অংশ এবং পুলিশ ও অন্যান্য সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। ‘দেশের প্রতিরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ আর জনগণের জন্য ভালোবাসা’- এই দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর দেশপ্রেম। এখন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী একটি পরিচিত ও আস্থার প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্যোগময় পরিবেশে শান্তি স্থাপন করে অপরিচিত দেশের অচেনা মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শান্তি রক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা তাঁদের অভিজ্ঞতা নিয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। যেমন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বায়েজিদ সরোয়ার লিখেছেন ‘কম্বোডিয়া’, ‘কুর্দিস্তানের দিনগুলি’ লিখেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামস। আরো অনেকের গ্রন্থ রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ নিয়ে। ফলে শান্তি মিশনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এদেশে ‘সামরিক সাহিত্যে’র একটি ভিন্ন ধারা সৃষ্টি হয়েছে।   

জাতিসংঘ সনদের ষষ্ঠ অধ্যায়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা এবং সপ্তম অধ্যায়ে শান্তি প্রয়োগের বিধান রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংঘর্ষে লিপ্ত দুপক্ষের সম্মতি এবং মতৈক্যের উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। শান্তিরক্ষা বাহিনীকে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ কর্তৃক অনুমোদিত একটি শান্তি চুক্তি বা শান্তি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মোতায়েন করা হয়। এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ৬৮টি মিশনের মধ্যে ৪৩টিতে দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী সদস্য



মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

নক্ষত্রের নাম : স্যামসন এইচ চৌধুরী

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

পাবনা অঞ্চলে মানব কল্যানে যারা কাজ করে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি তার কাজের মাধ্যমে এক কিংবদন্তী ইতিহাস তৈরী করেছেন। তিনি ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে ২৫ শে সেপ্টম্বর গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে চাঁদপুরের একটি মিশন স্কুলে তিনি তার পড়াশুনা শুরু করেন। তার বাবা ছিলেন ডা: ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী ও মায়ের নাম লতিকা চৌধুরী। তিনি ছিলেন তার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী তার ছেলের নাম দিয়েছিলেন শিমশোন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন তার সন্তান বাইবেলের সেই শিমশোনের মতই শক্তিশালি হবে। বাস্তবিক ঞ্জানে ও বুদ্ধিতে তিনি সেই শক্তিরই অধিকারী হয়েছিলেন। তার বাবার ছিল বদলির চাকরি। চাঁদপুরের পর ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দে ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী পাবনার আতাইকুলাতে আসেন। তারপর স্যামসন এইচ চৌধুরী এখানের গ্রামের স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দে তার বাবা তাকে ময়মনসিংহে পাঠান এবং সেখানে তিনি ভিক্টোরিয়া মিশন স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন। এরপর ১৯৩৫ খ্রীষ্টাব্দে তার বাবা পশ্চিম বাংলায় পাঠান এবং সেখানে তিনি বিঞ্চুপুরের বোডিং শিক্ষা সংঘ হাই স্কুলে ভর্তি হন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ খ্রীষ্টাব্দে তিনি পাবনায় ফিরে আসেন। ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে তিনি আতাইকুলা স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। জানা যায় তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ কলকাতায় পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি মা বাবার অজান্তে ভারতীয় নেভিতে যোগদান করেন। ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে নৌ বিদ্রোহে অংশগ্রহন করেন এবং অবশেষে গ্রেপ্তার হন। ৫ দিন জেলে থাকার পর তাকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে এক মাসের জন্য পাঠানো হয়। এরপর তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি দেবার সময় তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট দেয়া হয় যেন যেকোন সরকারী প্রশাসন বিভাগে চাকরী পেতে তার কোন অসুবিধা না হয়।

১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি সরকারী চাকুরীজীবি হিসাবে ডাকবিভাগে যোগ দেন। এই সময়ে তার জীবনে আসে ১৫ বয়সী কিশোরী অনিতা বিশ্বাস। ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ৬ ই আগষ্ট স্যামসন এইচ চৌধুরী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ডাক বিভাগে চাকুরী ছেড়ে আতাইকুলাতে ফিরে আসেন এবং বাবার ঔষধের দোকান হোসেন ফার্মেসীতে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৬ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তার বাবার কাছ থেকে টাকা ধার করে একটি ছোট ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানি চালু করেন। এবং এর নাম  দেন “এসন” (“E sons”)। পরবর্তিতে তিনি নামটি পরিবর্তন করে “ ইয়াকুব এণ্ড সনস” রাখেন।

১৯৫৮ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ও তার তিন জন বন্ধু মিলে “স্কয়ার” নামক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি চালু করেন। তার এই তিন বন্ধুর নাম ছিল ডা: কাজী হারুন আর রশিদ, ডা: পি কে সাহা ও রাধা বিনোদ রায়। তাদের প্রথম মুলধন ছিল ১৭,০০০ রূপি। ১২ জন শ্রমিক, কাঁচাপাকা ভবনে ফ্যাক্টরি, কয়েকটি মেশিন ও সল্পপুজি অথচ আকাশসম স্বপ্ন ও উদ্দম নিয়ে স্কয়ারের যাত্রা শুরু। তিনি দেখেন ম্যালেরিয়া রোগীদের ভারতে উৎপাদিত কুইনাইন চড়া দামে কিনতে হয়। অথচ কুইনাইন তৈরির কাঁচামাল দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানীর চিনিকলে পাওয়া যায়। ১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দে তারা ঢাকার হাটখোলাতে একটি শাখা উদ্বোধন করেন। পরবর্তিতে স্কয়ার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং এই সময় তাদের মূলধন ছিল ৪০,০০০ রূপি। গুনগত মানের দিক দিয়ে স্কয়ার এর সকল প্রোডাক্ট ছিল অতুলনীয়। সেজন্য আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের সমস্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করে এবং আজ পর্যন্ত এক নম্বর অবস্থানেই আছে। স্কয়ারই প্রথম দেশীয় কোম্পনি যা বিদেশে ঔষধ রফতানির জন্য অনুমদিত হয়।

১৯৮৮ সালে আলাদা আরো একটি বিভাগের যাত্রা শুরু হয় যার নাম স্কয়ার ট্রয়লেট্রিজ। স্কয়ার গ্রুপ এখন ফার্মাসিউটিক্যালস, টেস্ক্রটাইল, রেডিমেট গার্মেন্স, ট্রয়লেট্রিজ, ইনফরমেটিকস, খাদ্য শিল্প, মিডিয়া (মাছরাঙা টেলিভিশন), স্কয়ার হাসপাতাল ইত্যাদি বিভিন্ন দিকে তাদের পদচারনা সফলভাবে করে যাচ্ছে।

স্যামসন এইচ চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনে ভীষন বন্ধুসুলভ ছিলেন। তিনি স্কয়ারে একটি দক্ষ—কমীর্বাহিনি ও বিশ্বমানের পেশাদার ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। সব কর্মীদের সাথে তার ছিল পিতৃসুলভ আচরন। তিনি ও তার স্ত্রী অনিতা চৌধুরী তাদের সমস্ত কর্মীকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্যামসন এইচ চৌধুরীর তিনজন ছেলে ও একজন মেয়ে আছেন। তারা হলেন : স্যামুয়েল স্বপন চৌধুরী, তপন চৌধুরী, অঞ্জন চৌধুরী ও মেয়ে রত্না চৌধুরী।

স্যামসন এইচ চৌধুরী কোনদিন মানের (Quality) সাথে আপোষ করেননি। অত্যন্ত স্বচ্ছ, সততা ও দক্ষতার সাথে গড়ে তুলেছেন বিশাল সামাজ্য। তিনি তার জীবনে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। ২০১০ সালে অর্থনীতিতে বিশেষ আবদান রাখার জন্য সরকার থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন। ২০০০ সালে দ্যা ডেইলি স্টার ও ডি এইচ এল প্রদত্ত বিজনেস ম্যান অব দ্যা ইয়ার, ১৯৯৮ সালে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্যা ইয়ার এবং ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন। স্কয়ার গ্রুপ ২০০৯—১০ অর্থবৎসরে জাতীয় রাজস্ব বোড কর্তৃক সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিল। স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান, সভাপতি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এবং আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

তিনি যে শুধু তার কর্ম জীবনে সফলভাবে অবদান রেখেছেন তা নয়। ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনেও তার অবদান ছিল অপরিসীম। তিনি সক্রিয়ভাবে চার্চের কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি ৪২ বছর ধরে বিবিসিএফ এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৩ বছর বিবিসিএফ এর সম্পাদক (১৯৫৬ — ১৯৬৯) এবং সভাপতির (১৯৮৩ — ১৯৮৫) ও (১৯৯০ — ১৯৯৩) দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সভাপতি থাকা অবস্থায় সিন্ধান্ত হয়েছিল ১৭ টি মন্ডলী থেকে ১০ বছরে মন্ডলীর সংখ্যা ২০০ টি করতে হবে। তার নেতৃত্বে এবং ঈম্বরের আশীর্বাদে তাদের এই অভিযান সফল হয়েছিল। এছাড়া তিনি ব্যাপ্টিষ্ট ওয়াল্ড এলায়েন্সের সহ সভাপতি (১৯৮৫ — ১৯৯০) ছিলেন। তিনি ও তার পরিবার বিভিন্ন ভাবে বহু সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। আমাদের পাবনা বয়েজ হোস্টেল ও আতাইকুলা বয়েজ হোস্টেলের আর্থিক অনুদান এই চৌধুরী পরিবার থেকে আসে। এরকম আরো হাজার হাজার উদাহরন রয়েছে যা উল্লেখ করলে লেখা শেষ করা কঠিন। তিনি এত বড় মাপের মানুষ হলেও তার জীবনে প্রার্থনা ও বাইবেল পড়াকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। ১৯৮৩ সালের সম্মিলনীর ৬৩ তম সাধারন সভায় মি: স্যামসন এইচ চৌধুরী বলেন “প্রার্থনাই হলো ভক্তদের জীবনে সবচাইতে বড় শক্তি । প্রার্থনা শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই শক্তি যোগায় না বরং প্রার্থনা সমগ্র মন্ডলীকে উদ্দীপ্ত করতে সক্ষম। প্রার্থনা শুধু চাওয়া না, প্রার্থনা প্রভু যীশুর চরনে নতজানু হয়ে ধন্যবাদ এবং কৃতঞ্জতা স্বীকারই ভক্তদের জীবনে প্রভুর আশীর্বাদ বয়ে আনে”। অতএব আমরা বুঝতে পারি তিনি জীবনে যীশুর উপর কতটা নির্ভর করতেন এবং প্রতিনিয়ত প্রার্থনাশীল জীবন কাটাতেন। কর্মক্ষেত্রে ও ব্যক্তিগত ভাবে এই মহান ব্যক্তির সানিদ্ধ লাভ করার সুযোগ আমার হয়েছে।

তার বাড়িতে তার নিয়ম ছিল “No Bible, No Breakfast” সুতরাং আমরা বুঝতে পারি তিনি তার জীবনে বাইবেল ও প্রার্থনাকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ২০১২ খ্রীষ্টাব্দের ৫ ই জানুয়ারী ৮৭ বৎসর বয়সে সিংগাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন। পাবনার কাশিপুরস্থ খামার বাড়ি এষ্ট্রাসে স্যামসন এইচ চৌধুরীকে সমাহিত করা হয়। আমরা এই মহান ব্যক্তির জীবনের জন্য পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।

 

লেখক: রিপন ধিমান বিশ্বাস 


স্যামসন এইচ চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

বাড়ির ছাদেই আলুর চাষ!

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আমরা অনেকেই বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে ভালোবাসি। এই চাষ গুলো বাণিজ্যিকভাবে না করলেও এগুলো দ্বারা পরিবারিক চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে অনেকের চাষ বাস করার ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে তা করা হয় না।

আলু ছাড়া বাঙালির রান্নাই জমে না! তাই পারিবারিক চাহিদা মিটাতে এখন বাড়িতেই চাষ করে ফেলুন আলু। খুব সহজ পদ্ধতি আর তেমন পরিশ্রম নেই। শুধু বেশি চিন্তা না করে এবার শুরু করে দিন নিজের বাড়িতেই আলুর চাষ।

আলু চাষের সময়: আলু সারা বছরের সবজি হলেও সবচেয়ে ভাল আলু চাষ করার সময় হল নভেম্বর মাস। এই সময়ে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রীর কাছাকাছি থাকে। শীত পড়তে শুরু করে অল্প অল্প। সেই সময়ে আলু কিন্তু খুব ভাল হয়। তবে আপনারা চাইলে অক্টোবর মাসেও কিন্তু চাষ শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ফলন পেয়ে যাবেন।

চাষের মাটি: আলু চাষের জন্য উপযুক্ত হল দোআঁশ মাটি বা বেলে-দোআঁশ মাটি। এর মধ্যে অবশ্যই মেশাতে হবে উপযুক্ত পরিমাণে জৈব সার। আপনি যে কোনও ভাল নার্সারিতে জৈব সার পেয়ে যাবেন। এতে আলু খুব ভাল হয়। ৪০ শতাংশ জৈব সার আর ৬০ শতাংশ মাটি মিশিয়ে আলু চাষের উপযুক্ত মাটি তৈরি করতে হবে। মাটি কিন্তু ঝুরঝুরে থাকা আবশ্যক।

আলু কীভাবে রোপণ করবেন: অনেক সময়ে আলুর থেকে মূল বেরিয়ে থাকে। সেই আলুগুলি আলাদা করে রেখে দেবেন আলু চাষের জন্য। একটা লম্বাটে বড় পাত্রে মাটি ভাল করে বিছিয়ে নিন। এবার লম্বা করে দুটো দাগ কেটে নিন আঙুল দিয়ে। ওই দাগ বরাবর আপনি রোপণ করবেন আলু। দুটি দাগের মধ্যে তিন ইঞ্চি মতো ফাঁক রাখবেন। এবার ওই দাগের মধ্যে মধ্যে আলু পুঁতে দিন। আলুর থেকে বেরোনো মূলটা উপরের দিকে রাখবেন।

একটা লাইনে পাঁচটা করে আলু বসাতে পারেন। এবার উপর দিয়ে মাটি দিয়ে দিন যাতে আলুগুলি চাপা পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই জল দেওয়ার দরকার নেই। রোদের থেকে দূরে ছায়ায় তিন দিনের জন্য রেখে দিন। তিন দিন পর অল্প স্প্রে করে দিন জল। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখবেন চারা গজাচ্ছে।

গাছে সার: সার হল গাছের খাদ্য। নিয়ম করে মাসে একবার সার গাছে দিতেই হবে। আর বাজার থেকে না এনে বাড়িতেই জৈব সার বানালে কেমন হয়! তেমন কিন্তু কোনও খাটনি নেই। আপনার বাড়ির গাছের শুকনো পাতা সিমেন্টের বস্তার মধ্যে ভরে রেখে দিন। এমন জায়গায় রাখুন যেন বৃষ্টি পড়লে বস্তায় জল পড়ে।

গরমের সময় মাঝে মাঝে ওই বস্তায় জল দিন অল্প অল্প। প্রায় ছয় থেকে সাত মাস পর দেখবেন পাতা পচে গেছে। এবার ওই পচা পাতা শুকিয়ে বালি চালার চালনিতে নিয়ে চেলে নিন। চালার সময়ে দেখবেন নিচে ঝুরঝুরে হয়ে পড়ছে।

এটিই হল আপনার সহজ পাতা সার। এর মধ্যে যদি কেঁচো তৈরি হয় তাহলে তো কথাই নেই। মাসে একবার করে এই সার আপনার আলুর টবের চারদিক দিয়ে দিয়ে দিন। আলু রোপণের মাটি করার সময়েও এই সার দেওয়া যায়।

আলু তোলার সময়: প্রায় দুই থেকে আড়াই মাসের পর আলু তোলা যায়। আপনারা দেখবেন এই সময়ে আলুর চারা একদম নুইয়ে গেছে। পাতা একদম শুকিয়ে গেছে। আর তার মধ্যে প্রাণ নেই বললেই চলে। এবার বুঝবেন আলু হয়ে গেছে আর তা বাইরে আসার জন্য তৈরি। তখন আলুর টব উলটে নিয়ে মাটি থেকে আলু বের করে নিন।

এইভাবে নিয়ম মেনে আলু চাষ করলে কিন্তু বাজারে আর আলু কিনতে যেতে হবে না। বাড়ির ছাদ থেকেই আলু নেবেন আর রান্নায় দেবেন।


বাড়ির ছাদ   আলু   চাষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

‘প্রথম প্রেম’ মনে করার দিন আজ

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যেকোনো প্রথমই খুব স্পেশাল। সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। আর সেটা যদি হয় প্রথম ভালো লাগা বা প্রথম প্রেম, তাহলে সারাজীবনই তা মনে গেঁথে থাকে। প্রথম প্রেমে কোনো রকম অপরাধবোধ থাকেনা। প্রথম প্রেম হয় সতেজ, নির্মোহ। নির্ভেজাল অনুভূতির এই সম্পর্ক তাই মানুষ মনে রাখে আজীবন। প্রথম প্রেমে এমন এক অন্যরকম অনুভূতি থাকে, যা কখনোই আপনি কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না।

আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ‘প্রথম প্রেম দিবস’। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিবসটি। এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ছুটি পালন করে। যদিও এ দিবসের উৎপত্তি কীভাবে তা কারও জানা নেই।

এমন এক সুন্দর দিবসে নিজের প্রথম প্রেমের স্মৃতি রোমন্থন করে নিতে পারেন আজ। আর সৌভাগ্যবশত যদি প্রথম প্রেমের মানুষটিই আপনার জীবনে এখনও বর্তমান হয়ে থাকে তবে তো কথাই নেই। দুজনে মিলেই নাহয় চমৎকার দিবসটি উদযাপন করে ফেলুন আজ। আজকের এই বিশেষ দিনটি আপনার জন্যেও হয়ে উঠুক বিশেষ।

তবে কেউ কেউ আবার কেউ খুব যত্ন করে গড়ে তোলা প্রথম প্রেম ভুলেও যায় বড় অবহেলায়। বহমান জীবনে জায়গা করে নেয় নতুন মানুষ। তাদের জন্য অবশ্য দিনটি মনে না করাই শ্রেয়। কারণ, কথায় আছে না “হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে কে ভালবাসে!” এমন মানুষদের জন্য দিবসটি এক প্রকার যন্ত্রণারও বটে।


প্রথম প্রেম   দিবস   ভালবাসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

আজ স্ত্রীর প্রশংসা করার দিবস

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail আজ স্ত্রীর প্রশংসা করার দিবস।

আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার স্ত্রীর প্রশংসা দিবস বা ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। সচারচর ব্যস্ততা আর কাজের চাপে অনেক স্বামীই স্ত্রীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না, সেক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আজ হতে পারে চমৎকার একটি দিন। একটু প্রশংসা করার মাধ্যমে স্ত্রীকে খুশি করে দিয়ে যেকোনো স্বামীর জন্যেই দিনটি হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়। কারণ, কথায় আছে “ঘর শান্তি তো দুনিয়া শান্তি”!

প্রশংসা পেলে যেকোনো মানুষই একটু খুশি হয় কিন্তু একজন স্ত্রীর কাছে স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসার মূল্য অন্যরকম। কারণ আমাদের দেশে ঘরের বউ বা স্ত্রীর কদর হয় খুব কম। একজন স্ত্রী একটা সংসারের জন্য যে পরিশ্রম করে থাকে সেসব ‘তারা করবেই’ বা এটাই ‘তাদের কাজ’ এমনটাই ধরে নেয়া হয়। কাজের স্বীকৃতি তো দূর খানিক প্রশংসাও অনেক স্ত্রী পান না।


অপরদিকে, একজন স্বামীর সর্বাত্মক উন্নতিতে সর্বদা পাশে থেকে তার সকল কাজে অনুপ্রেরণা যোগান দেন একজন স্ত্রী। দিনের হাজারো ব্যস্ততার পর সুন্দর একটা ঘরে ফিরে ক্লান্তি দূর করতে, খাবার টেবিলে বসলেই পরম মমতার সাথে খাবার পেতে, সুঘ্রাণযুক্ত পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু না চাইতেই এসব দাবী কিভাবে পূরণ হয়ে যায় একজন স্বামীর সেসব উপলব্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু খুব স্বামীই এসব উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখেন।

তাই, স্ত্রীর যেকোনো কাজের প্রশংসা করার জন্য যেকোনো স্বামীই লুফে নিতে পারেন আজকের দিনটি। কারো প্রশংসা করা কিন্তু খারাপ নয়, বরং খুবই ইতিবাচক একটি গুণ। এছাড়া, কাউকে প্রশংসা করা হলে তিনি উজ্জীবিত হন।


সুতরাং, স্ত্রীর সাথে সাথে যদি কোনো কারণে মনোমালিন্য থেকে থাকে সে সমস্যা সমাধানে আজকের দিনটি কিন্তু ভালো উপলক্ষ হতে পারে।

প্রসঙ্গত, এই দিবসটির কীভাবে প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে, ২০০৬ সাল থেকে এটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং উদযাপিত হয়ে আসছে।

তবে স্বামীদের আফসোসের কিছু নেই। প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার স্বামীর প্রশংসা দিবস বা ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। এ বছর অনেকেই এ দিবস উদযাপন করেছে। যদি কেউ না করে থাকে তবে আগামী বছর স্বামীরা কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে কড়ায়-গণ্ডায় প্রশংসার হিসাব বুঝে নেবেন। তবে আজ আপনার স্ত্রীর সাথে একটি সুন্দর তারিখের সাথে দিনটি উদযাপন করুন। আজ তারই দিন!


স্ত্রী   প্রশংসা   ‍স্বামী   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

যেভাবে কমাবেন শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

মোবাইলের প্রতি শিশুদের আসক্তি বরাবরই ছিল। এখন তা আরও বাড়ছে। কখনও পড়াশোনা কিংবা গেম খেলার জন্য আবার কখনও ইউটিউব দেখার জন্য তারা ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। ফলে এর কুপ্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।

এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু।

বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন সেসব-

কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ শিশুর হাতে যে ডিভাইস দিচ্ছেন তাতে কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এতে আপনি ছাড়া সে মোবাইল ফোন বা ডিভাইসের লক খুলতে পারবে না। ফলে যখন তখন আপনার অজান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারও করতে পারবে না।

ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুনঃ শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।

সময় বেঁধে দিনঃ এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা—শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।

শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুনঃ ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।

শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুনঃ শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়ঃ অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


শিশু   মোবাইল ফোন   আসক্তি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন