ইনসাইড আর্টিকেল

নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারের মৃত্যু যেভাবে ঘটেছিল

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাগ্রহণ করলে সেটির পরিণাম যে নির্মম হয় সেটার উৎকৃষ্ট উদাহরণ স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। পঁচাত্তরে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, এরপর ৩রা নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের প্রধান সুবিধাভোগী জেনারেল জিয়াউর রহমান একের পর এক ক্যূ-পাল্টা-ক্যূ, হত্যাকাণ্ড, মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসি, চাকরিচ্যুতি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার যে চেষ্টা করেছেন তার পথ ধরেই নিজেও নির্মমভাবে নিহত হন। আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী

জিয়া প্রথমে জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করেন এবং তারপর একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেন। জিয়া পরে একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অনেক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। জিয়াউর রহমান যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন, তারাও জানেন না, তাদের দোষ কী ছিল। জিয়া শুধু সামরিক কর্মকর্তাদেরই হত্যা করেননি, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছেন। 

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নানা সময় বিভিন্নভাবে সেনা-অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছিল। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ সেই সময়ে ঘটে চলেছিল নিয়মিতভাবেই।

বলা যায়, এমন পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সামরিক বাহিনীর একদল অফিসারের হামলায় নিহত হন দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান। ছয় বছর আগে ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে সামরিক বাহিনীতে আরেকটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই তিনি দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। এর পরের বছরগুলিতে তাকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন সময় সামরিক বাহিনীতে চেষ্টা করা হলেও তাঁর অনুগত সেনা অফিসার এবং সদস্যরা সেই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাগুলি দমন করেন।

কিন্তু ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান নিহত হন সেনা অফিসারদের হামলাতেই। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে তখন যে সেনা অফিসাররা ছিলেন তাদের অনেকেই জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তা সত্বেও ঘটে যায় এই হত্যাকাণ্ড। প্রশ্ন ওঠে, অনুগত অফিসাররাই কি জিয়াকে হত্যা করেছিলেন? নাকি তার অনুরাগী অফিসারদের ব্যবহার করে অন্য কোনো গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থের জন্য হত্যা করেছিল তাকে?

এই হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রভাবশালী অফিসাররা কয়েকদিন চট্টগ্রামে কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখলেও ঢাকা সেনা সদর এবং দেশের অন্যান্য সেনানিবাস তাদের সঙ্গে নেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেতেই তাদের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের তৎকালীন জিওসি বা ডিভিশনাল কমান্ডার জেনারেল আবুল মঞ্জুর তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দ্রুতই ধরা পড়ে যান এবং তাকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরিয়ে এনেই হত্যা করা হয়। বলা হয়, উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্যরা তাঁকে হত্যা করেছে।

জেনারেল মঞ্জুরকে বিচারের সম্মুখীন না করে এভাবে হত্যা করা অনেক প্রশ্ন আর সন্দেহের জন্ম দেয় স্বাভাবিকভাবেই। জিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় যে সেনা অফিসারদের তাদের অনেকেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগারে গোপনে এবং খুব তাড়াহুড়ো করে বিচারের পর ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসি দেওয়া হয়, অনেককে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয় আরও বেশ কিছু অফিসারকে।

সত্তরের দশকের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অফিসাররা একাধিকবার জিয়াকে উৎখাতের চেষ্টা করেন। ১৯৮০ সালে দুই মুক্তিযোদ্ধা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদারুল আলম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুন্নবী খানের মাধ্যমেও এই অফিসাররা জিয়ার বিরুদ্ধে সেনা-অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন। নুরুন্নবী খান মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়ার নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্সের একটি বাহিনীতে থেকেই যুদ্ধ করেছিলেন। জিয়ার বিরুদ্ধে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানসমূহের কোনোটাই অবশ্য সফল হয়নি।

এমন জটিল এক পরিস্থিতিতেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সফরের সময় শেষ রাতে এক সামরিক হামলায় প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে মঞ্জুরের অধীনস্থ সেনা অফিসাররা এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাই হত্যাকাণ্ডের পর মেজর জেনারেল মঞ্জুরকেই এই পরিস্থিতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়।

৩০ মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ওপর আক্রমণ চালানো হবে তা কি জেনারেল মঞ্জুর জানতেন? সেই সময় চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার ছিলেন জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরী। তাঁর বর্ণনা থেকে জানা যায়, যেদিন রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রাম পৌঁছান তখন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য জেনারেল মঞ্জুর বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। মঞ্জুর কেন আসেননি সে ব্যাপারে জিয়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসের অন্য একজন উর্দ্ধতন সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেসও করেন (এই প্রসঙ্গে আবার অন্য বর্ণনায় জানা যায়, রাষ্ট্রপতি জিয়াই নাকি জেনারেল মঞ্জুর যেন বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে না আসেন সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন)।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

‘প্রথম প্রেম’ মনে করার দিন আজ

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

যেকোনো প্রথমই খুব স্পেশাল। সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। আর সেটা যদি হয় প্রথম ভালো লাগা বা প্রথম প্রেম, তাহলে সারাজীবনই তা মনে গেঁথে থাকে। প্রথম প্রেমে কোনো রকম অপরাধবোধ থাকেনা। প্রথম প্রেম হয় সতেজ, নির্মোহ। নির্ভেজাল অনুভূতির এই সম্পর্ক তাই মানুষ মনে রাখে আজীবন। প্রথম প্রেমে এমন এক অন্যরকম অনুভূতি থাকে, যা কখনোই আপনি কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না।

আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ‘প্রথম প্রেম দিবস’। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিবসটি। এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ছুটি পালন করে। যদিও এ দিবসের উৎপত্তি কীভাবে তা কারও জানা নেই।

এমন এক সুন্দর দিবসে নিজের প্রথম প্রেমের স্মৃতি রোমন্থন করে নিতে পারেন আজ। আর সৌভাগ্যবশত যদি প্রথম প্রেমের মানুষটিই আপনার জীবনে এখনও বর্তমান হয়ে থাকে তবে তো কথাই নেই। দুজনে মিলেই নাহয় চমৎকার দিবসটি উদযাপন করে ফেলুন আজ। আজকের এই বিশেষ দিনটি আপনার জন্যেও হয়ে উঠুক বিশেষ।

তবে কেউ কেউ আবার কেউ খুব যত্ন করে গড়ে তোলা প্রথম প্রেম ভুলেও যায় বড় অবহেলায়। বহমান জীবনে জায়গা করে নেয় নতুন মানুষ। তাদের জন্য অবশ্য দিনটি মনে না করাই শ্রেয়। কারণ, কথায় আছে না “হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে কে ভালবাসে!” এমন মানুষদের জন্য দিবসটি এক প্রকার যন্ত্রণারও বটে।


প্রথম প্রেম   দিবস   ভালবাসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

আজ স্ত্রীর প্রশংসা করার দিবস

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail আজ স্ত্রীর প্রশংসা করার দিবস।

আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার স্ত্রীর প্রশংসা দিবস বা ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। সচারচর ব্যস্ততা আর কাজের চাপে অনেক স্বামীই স্ত্রীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না, সেক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আজ হতে পারে চমৎকার একটি দিন। একটু প্রশংসা করার মাধ্যমে স্ত্রীকে খুশি করে দিয়ে যেকোনো স্বামীর জন্যেই দিনটি হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়। কারণ, কথায় আছে “ঘর শান্তি তো দুনিয়া শান্তি”!

প্রশংসা পেলে যেকোনো মানুষই একটু খুশি হয় কিন্তু একজন স্ত্রীর কাছে স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসার মূল্য অন্যরকম। কারণ আমাদের দেশে ঘরের বউ বা স্ত্রীর কদর হয় খুব কম। একজন স্ত্রী একটা সংসারের জন্য যে পরিশ্রম করে থাকে সেসব ‘তারা করবেই’ বা এটাই ‘তাদের কাজ’ এমনটাই ধরে নেয়া হয়। কাজের স্বীকৃতি তো দূর খানিক প্রশংসাও অনেক স্ত্রী পান না।


অপরদিকে, একজন স্বামীর সর্বাত্মক উন্নতিতে সর্বদা পাশে থেকে তার সকল কাজে অনুপ্রেরণা যোগান দেন একজন স্ত্রী। দিনের হাজারো ব্যস্ততার পর সুন্দর একটা ঘরে ফিরে ক্লান্তি দূর করতে, খাবার টেবিলে বসলেই পরম মমতার সাথে খাবার পেতে, সুঘ্রাণযুক্ত পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু না চাইতেই এসব দাবী কিভাবে পূরণ হয়ে যায় একজন স্বামীর সেসব উপলব্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু খুব স্বামীই এসব উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখেন।

তাই, স্ত্রীর যেকোনো কাজের প্রশংসা করার জন্য যেকোনো স্বামীই লুফে নিতে পারেন আজকের দিনটি। কারো প্রশংসা করা কিন্তু খারাপ নয়, বরং খুবই ইতিবাচক একটি গুণ। এছাড়া, কাউকে প্রশংসা করা হলে তিনি উজ্জীবিত হন।


সুতরাং, স্ত্রীর সাথে সাথে যদি কোনো কারণে মনোমালিন্য থেকে থাকে সে সমস্যা সমাধানে আজকের দিনটি কিন্তু ভালো উপলক্ষ হতে পারে।

প্রসঙ্গত, এই দিবসটির কীভাবে প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে, ২০০৬ সাল থেকে এটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং উদযাপিত হয়ে আসছে।

তবে স্বামীদের আফসোসের কিছু নেই। প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার স্বামীর প্রশংসা দিবস বা ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। এ বছর অনেকেই এ দিবস উদযাপন করেছে। যদি কেউ না করে থাকে তবে আগামী বছর স্বামীরা কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে কড়ায়-গণ্ডায় প্রশংসার হিসাব বুঝে নেবেন। তবে আজ আপনার স্ত্রীর সাথে একটি সুন্দর তারিখের সাথে দিনটি উদযাপন করুন। আজ তারই দিন!


স্ত্রী   প্রশংসা   ‍স্বামী   দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

যেভাবে কমাবেন শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি

প্রকাশ: ০৮:০৬ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

মোবাইলের প্রতি শিশুদের আসক্তি বরাবরই ছিল। এখন তা আরও বাড়ছে। কখনও পড়াশোনা কিংবা গেম খেলার জন্য আবার কখনও ইউটিউব দেখার জন্য তারা ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। ফলে এর কুপ্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।

এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু।

বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন সেসব-

কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ শিশুর হাতে যে ডিভাইস দিচ্ছেন তাতে কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এতে আপনি ছাড়া সে মোবাইল ফোন বা ডিভাইসের লক খুলতে পারবে না। ফলে যখন তখন আপনার অজান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারও করতে পারবে না।

ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুনঃ শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।

সময় বেঁধে দিনঃ এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা—শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।

শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুনঃ ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।

শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুনঃ শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়ঃ অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


শিশু   মোবাইল ফোন   আসক্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন তোফায়েল আহমেদ?

প্রকাশ: ০৮:০৪ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিলো প্রশ্নবোধক। তারা সব কিছু জানতো। সব জানার পরও খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। আগস্ট ট্রাজেডি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউজিন বোস্টারের তারবার্তায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর ঢাকার মার্কিন দূতাবাসকে ঘিরে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া প্রশ্নে একটি অস্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ ‘আশ্রয় প্রার্থনার অনুরোধ’ শিরোনামে বোস্টার যে তারবার্তাটি পাঠান তা হুবহু এরকম:

১। আমরা মুজিবের ভাগনে প্রয়াত শেখ ফজলুল হক মনির পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আজ সকালের অভ্যুত্থানের পর তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ পেয়েছি। তাঁরা এখন আমাদের পলিটিক্যাল কাউন্সিলরের বাসায় রয়েছেন। তাঁর বাসাটি শেখ মনির বুলেটে ঝাঁঝরা হওয়া বাড়িটির মাত্র তিনটি বাড়ি পরই। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শেখ মুজিবের মা, বাবা, এক বোন, এক ভাইয়ের স্ত্রী, দুই সন্তান ও কাজের লোক।

২। যেহেতু তাঁরা গুরুতর সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন, আমরা মনে করি, তাঁরা আমাদের কাছ থেকে এফএএ ২২৮.৩ [সম্ভবত রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদানসংক্রান্ত সরকারি আদেশ] অনুসারে অস্থায়ী আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য। আজ রাতটা কীভাবে কাটবে এটা ভেবে তারা খুবই চিন্তিত, খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁরা বলেছেন, কারফিউ প্রত্যাহার হলে তাঁরা চলে যাবেন । আশা করা যায়, কাল কারফিউ প্রত্যাহার হতে পারে, তখন তাঁরা তাঁদের পুরান ঢাকার বাড়িতে চলে যাবেন। তাঁরা যখন যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করবেন, আমরা তখন তাঁদের যেতে দেব। এবং পুনরায় বার্তা পাঠাব যদি তাঁরা কোনো কারণে আরও বেশি সময় ধরে থাকতে চান।

১৬ আগষ্ট ১৯৭৫ বোষ্টার পৃথক এক তারবার্তার উল্লেখ করেন যে, শেখ মনির পরিবারের সদস্যরা আজ সকালে দূতাবাস-কর্মকর্তার বাসভবন ত্যাগ করেছেন। তাঁদের অনুরোধে ঢাকার অন্যত্র তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

১৮ আগস্ট ১৯৭৫ বোস্টার যে তারবার্তাটি (১৯৭৫ঢাকা০৩৯৭৮) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠান তার শিরোনাম ‘আশ্রয়ের অনুরোধ করেছেন তোফায়েল আহমেদ’। বোস্টারের এই তারবার্তা হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো:

১। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবর রহমানের বিশেষ সহকারী তোফায়েল আহমেদ জন এডামসের মাধ্যমে কোনো একটি দূতাবাস ভবনে আশ্রয় লাভের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। জন এডামস হলেন বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন সরকারের সেন্সাস ব্যুরো স্পেশালিষ্ট। মি. এডামস তোফায়েল আহমেদের নিকটতম প্রতিবেশী।

২। এডামসের মতে, তোফায়েল উর্দিধারী ব্যক্তিদের দ্বারা ১৫ আগস্ট ভোর সাড়ে পাঁচটায় অবরুদ্ধ হন। তবে এডামস স্পষ্ট করতে পারেননি যে তারা সেনাবাহিনীর লোক কি না। কিন্তু আমরা অনুমান করি, তারা অবশ্যই সেনাবাহিনীর লোক। ১৬ আগস্ট আড়াইটায় তোফায়েল তাঁর বাড়িতেই ফিরে আসেন। সেখানে তাঁকে প্রহরায় রাখা হয়। ১৬ আগস্ট রাত ১০টায় তোফায়েল এডামসকে তাঁর বাড়িতে যেতে অনুরোধ জানান। তিনি তাঁকে বলেন যে তিনি নিজেকে ‘সংকটাপন্ন ও অনিরাপদ’ মনে করছেন । তাই তিনি কোনো একটি দূতাবাস ভবনে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এডামস বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তোফায়েলকে আশ্বস্ত করেন এবং এডামস তোফায়েলের অনুরোধ আমাদের জানাতে ১৮ আগস্ট দূতাবাসে আসেন।

৩। আমরা যেহেতু তোফায়েলের সঙ্গে কথা বলিনি, তাই তাঁর ভয়ের কারণ সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। তবে যেহেতু তাঁকে একবার আটক করে নতুন সরকার (যাঁদের অবশ্যই এ কথা জানা আছে যে, শেখ মনির নেতৃত্বাধীন তৎপরতার কারণে তোফায়েল ক্রমশ মুজিবের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন) আবার ছেড়ে দিয়েছে, তাই আমরা মনে করি, অনিশ্চয়তাপূর্ণ এই সময়ে তোফায়েলের নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁকে অন্তরীণ করে রাখা হচ্ছে। আমাদের উপসংহার হচ্ছে এই যে তোফায়েল তাঁর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রক্ষীদের সাহস ও নিষ্ঠার ওপর খুব বেশি ভরসা রাখতে পারছেন না। তিনি সন্দেহ করছেন যে এ সময় কেউ যদি তার সঙ্গে পুরোনো শত্রুতার হিসাব চুকাতে চায়, তাহলে তার রক্ষীরা তাঁকে আগলে রাখার পরিবর্তে দ্রুত পালিয়ে যাবে।

৪। শেখ মনির পরিবার-পরিজনদের আশ্রয় প্রার্থনার চেয়ে তোফায়েলের আশ্রয় চাওয়ার বিষয়টি লক্ষণীয়ভাবে ভিন্ন। তোফায়েলের বেলায় :

ক. তাঁর পরিবারের এমনটা ভাবার সংগত কারণ রয়েছে যে নতুন সরকারের দিক থেকে তাঁরা এই মুহূর্তে জীবনের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি বোধ করছেন।

খ. তারা যখন আমাদের কাছে অনুরোধ করে, তার আগেই তাঁরা দূতাবাস ভবনে প্রবেশের সুযোগ লাভ করেছেন। এবং

গ. তাঁরা দূতাবাস ভবনে আশ্রয় লাভের সময় আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে পরবর্তী সান্ধ্য আইন প্রত্যাহারের আগেই তাঁরা দূতাবাস ভবন ত্যাগ করবেন (তাঁরা সেটা রক্ষা করেছিলেন)।

তাই বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে—

ক.  তোফায়েলের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর সময় ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে বলে মনে হয়। এবং

খ.  প্রহরীবেষ্টিত অবস্থায় তোফায়েল এখনো তাঁর বাসভবনে রয়েছেন। এই প্রহরীদের দায়িত্ব কেবল তাঁকে অন্তরীণ রাখাই নয়, বরং তাঁকে সুরক্ষা প্রদান করাও বলে মনে হচ্ছে।

এই অবস্থায় আমরা তোফায়েলকে এটা জানিয়ে দিচ্ছি যে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাঁকে কীভাবে সহায়তা   করতে পারি তা বুঝতে পারছি না।’ 


মার্কিন   দূতাবাসে. রাজনৈতিক   আশ্রয়   চেয়েছিলেন   তোফায়েল আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড আর্টিকেল

আগস্ট ট্রাজেডি: গোয়েন্দা ব্যর্থতা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিলো নজিরবিহীন। সেনা অভ্যুত্থান সম্পর্কে আগাম কোন তথ্যই দিতে পারেনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। গোয়েন্দা ব্যর্থতার স্বরূপ উন্মোচন করেছেন মনজুরুল আহসান বুলবুল ‘পনেরো আগস্টের নেপথ্য কুশীলব’ গ্রন্থে। পাঠকের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে এর কিছু অংশ প্রকাশ করা হলো]

আগস্ট হত্যাকাণ্ডে সামরিক ও বেসামরিক ব্যর্থতা ছিল সীমাহীন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা মূল পরিকল্পনায় ছিল বলে সেনা গোয়েন্দাদের কথাই বেশি আসে কিন্তু তখন তো বেসামরিক প্রশাসনও চলছিল। বেসামরিক গোয়েন্দারাই কি যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিল?

সে সময় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিএফআইয়ের কী ভূমিকা ছিল— প্রথমে এ প্রশ্ন জাগে। সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রউফ জানান: বাকশাল গঠনের পর বঙ্গবন্ধু তার জীবনে শেষ জনসভা করার সময়ই সে সময়কার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের কাছ থেকে ট্যাংক রেজিমেন্টের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে অবহিতও করেছিলেন। উল্লেখ্য, রউফ ১৯৭৫ সনের জুন মাসে প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশে যান, দেশে ফেরেন আগস্টের ১৩ তারিখে। এর মধ্যেই ডিএফআইয়ের শীর্ষপদে রদবদল হয়। এ সময় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর নানা কাজে সমন্বয়হীনতার চিত্রটি খুবই স্পষ্ট। ডিএফআইয়ের বিদায়ি প্রধান নতুন প্রধানকে দায়িত্ব দিতে দেরি করছিলেন, এমন অভিযোগও পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র ছিল কি না তাও দেখার বিষয়।

১৯৭৫ সনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রউফ ছিলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিএফআই (বর্তমান ডিজিএফআই) প্রধান। কর্নেল জামিল আহমেদ (মরণোত্তর পদোন্নতি পাওয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) ডিএফআইয়ের নতুন প্রধান হলেও তিনি [রউফ] যথাসময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। ফলে আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ওই সময়ে ডিএফআইয়ের কোনো তৎপরতাই দৃশ্যমান ছিলো না।

পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে রউফের সখ্য দৃশ্যমান হয় স্পষ্টভাবে। ডিএফআই যখন ডিজিএফআই হয়, পরিচালক পদে নিয়োগ পান কে এম আমিনুল ইসলাম। এর পরপরই অভিযোগ এনে তাকে সেখান থেকে সরানো হলে আব্দুর রউক আবার পরিচালকের দায়িত্ব পান জিয়ার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে।

জে. সফিউল্লাহ জানান, সেই সময় সেনাবাহিনীর কোনো সুসংগঠিত ইন্টেলিজেন্স উইং ছিল না। আর্মি দিয়ে গঠিত ডিএফআই (দ্য ডিরেক্টরেট অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স)—এর সরাসরি তিন বাহিনীর প্রধানদের কাছে রিপোর্ট করার নিয়ম ছিল। কিন্তু ১৯৭৪ সালে হঠাৎ করে এই নিয়ম পরিবর্তন করে ডিএফআইকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়। এতে সেনাপ্রধানের সঙ্গে ডিএফআইয়ের তথ্য আদান—প্রদানের ব্যাপারে একটি শূন্যতার সৃষ্টি হয়।

যে বিষয়টি নিয়ে খুব আলোচনা হয়নি তা হচ্ছে, পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা বা বেসামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল। তবে পুলিশ বাহিনীর তৎপরতার কিছু জানা যায় ব্রিগেডিয়ার রউফের বয়ানে। রউফ জানাচ্ছেন: ১৪ই আগস্ট দিনের কোনো একভাগে সে সময়কার আইজিপি নুরুল ইসলাম তাকে ফোন করে বলেন, তাকে (আইজিপিকে) জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাইন পুঁতে রাখা হয়েছে বা হবে। কাল রাষ্ট্রপতি ক্যাম্পাসে গেলে একটা বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে। মাইন অনুসন্ধান বা অপসারণ কাজে তিনি সেনাবাহিনীর সহায়তা চান, কারণ তখন পুলিশের এই প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ছিল না। আইজিপি কোন সূত্র থেকে এটা জানতে পেরেছিলেন, তা জানা যায়নি। গণবাহিনীর ডোমা ফাটানোর আগে এই ফোন করা হয়েছিল কি না, তাও জানা যায়নি। যা—ই হোক, আইজিপির এই ফোন পেয়ে রউফ জানান, তিনি আর ডিএফআই প্রধানের দায়িত্বে নেই। তবে আইজিপির অনুরোধে তিনি বিষয়টি সেনাপ্রধান সফিউল্লাহকে জানিয়েছিলেন।

আইজিপি এ সময় জানান: পুলিশের একটি দল ১৪ই আগস্ট রাত ১২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে একটি বৈঠক করবে। সেখানে ১১টা টিম হবে, সেই টিমে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন, পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ছাড়াও তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি থাকবেন। এই টিম পরদিন ১৫ই আগস্ট রাষ্ট্রপতির বিশ্ববিদ্যালয়ের সফর নিরাপদ করতে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা নেবে। নানা সূত্রে জানা যায়, এই বৈঠকটি হয়েছিল।

বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, যখন এই বৈঠকটি চলছিল সম্ভবত তার কাছাকাছি সময়ে ঘাতকদল সেনানিবাসের বালুরঘাটে ব্রিফিং শেষে ধানমন্ডির উদ্দেশে ট্যাংক নিয়ে রওনা হয়েছে। একদিকে পরদিন রাষ্ট্রপতির বিশ্ববিদ্যালয় সফর নিশ্ছিদ্র নিরাপদ করতে গোয়েন্দা বৈঠক চলছে; অন্যদিকে রাষ্ট্রপতিকে হত্যার জন্য ঘাতক দল মাঠে নেমে পড়েছে। কিন্তু এই বৈঠকে উপস্থিত দায়িত্বশীলরা কিছুই জানে না!



আগস্ট মাস   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন