হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতাগ্রহণ করলে সেটির পরিণাম যে নির্মম হয় সেটার উৎকৃষ্ট উদাহরণ স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। পঁচাত্তরে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ড, এরপর ৩রা নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের প্রধান সুবিধাভোগী জেনারেল জিয়াউর রহমান একের পর এক ক্যূ-পাল্টা-ক্যূ, হত্যাকাণ্ড, মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসি, চাকরিচ্যুতি ইত্যাদির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার যে চেষ্টা করেছেন তার পথ ধরেই নিজেও নির্মমভাবে নিহত হন। আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী
জিয়া প্রথমে জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করেন এবং তারপর একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেন। জিয়া পরে একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অনেক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। জিয়াউর রহমান যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন, তারাও জানেন না, তাদের দোষ কী ছিল। জিয়া শুধু সামরিক কর্মকর্তাদেরই হত্যা করেননি, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছেন।
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নানা সময় বিভিন্নভাবে সেনা-অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছিল। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন বিরোধী গোষ্ঠীর একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ সেই সময়ে ঘটে চলেছিল নিয়মিতভাবেই।
বলা যায়, এমন পরিস্থিতির ধারাবাহিকতায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সামরিক বাহিনীর একদল অফিসারের হামলায় নিহত হন দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান। ছয় বছর আগে ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে সামরিক বাহিনীতে আরেকটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই তিনি দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন। এর পরের বছরগুলিতে তাকে উৎখাতের জন্য বিভিন্ন সময় সামরিক বাহিনীতে চেষ্টা করা হলেও তাঁর অনুগত সেনা অফিসার এবং সদস্যরা সেই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাগুলি দমন করেন।
কিন্তু ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান নিহত হন সেনা অফিসারদের হামলাতেই। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে তখন যে সেনা অফিসাররা ছিলেন তাদের অনেকেই জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তা সত্বেও ঘটে যায় এই হত্যাকাণ্ড। প্রশ্ন ওঠে, অনুগত অফিসাররাই কি জিয়াকে হত্যা করেছিলেন? নাকি তার অনুরাগী অফিসারদের ব্যবহার করে অন্য কোনো গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থের জন্য হত্যা করেছিল তাকে?
এই হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রভাবশালী অফিসাররা কয়েকদিন চট্টগ্রামে কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখলেও ঢাকা সেনা সদর এবং দেশের অন্যান্য সেনানিবাস তাদের সঙ্গে নেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেতেই তাদের ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের তৎকালীন জিওসি বা ডিভিশনাল কমান্ডার জেনারেল আবুল মঞ্জুর তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দ্রুতই ধরা পড়ে যান এবং তাকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরিয়ে এনেই হত্যা করা হয়। বলা হয়, উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্যরা তাঁকে হত্যা করেছে।
জেনারেল মঞ্জুরকে বিচারের সম্মুখীন না করে এভাবে হত্যা করা অনেক প্রশ্ন আর সন্দেহের জন্ম দেয় স্বাভাবিকভাবেই। জিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় যে সেনা অফিসারদের তাদের অনেকেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগারে গোপনে এবং খুব তাড়াহুড়ো করে বিচারের পর ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসি দেওয়া হয়, অনেককে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয় আরও বেশ কিছু অফিসারকে।
সত্তরের দশকের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অফিসাররা একাধিকবার জিয়াকে উৎখাতের চেষ্টা করেন। ১৯৮০ সালে দুই মুক্তিযোদ্ধা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল দিদারুল আলম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুন্নবী খানের মাধ্যমেও এই অফিসাররা জিয়ার বিরুদ্ধে সেনা-অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করেন। নুরুন্নবী খান মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়ার নেতৃত্বাধীন জেড ফোর্সের একটি বাহিনীতে থেকেই যুদ্ধ করেছিলেন। জিয়ার বিরুদ্ধে সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানসমূহের কোনোটাই অবশ্য সফল হয়নি।
এমন জটিল এক পরিস্থিতিতেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সফরের সময় শেষ রাতে এক সামরিক হামলায় প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে মঞ্জুরের অধীনস্থ সেনা অফিসাররা এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাই হত্যাকাণ্ডের পর মেজর জেনারেল মঞ্জুরকেই এই পরিস্থিতির দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়।
৩০ মে গভীর রাতে সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ওপর আক্রমণ চালানো হবে তা কি জেনারেল মঞ্জুর জানতেন? সেই সময় চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার ছিলেন জিয়াউদ্দিন এম চৌধুরী। তাঁর বর্ণনা থেকে জানা যায়, যেদিন রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রাম পৌঁছান তখন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য জেনারেল মঞ্জুর বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। মঞ্জুর কেন আসেননি সে ব্যাপারে জিয়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসের অন্য একজন উর্দ্ধতন সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেসও করেন (এই প্রসঙ্গে আবার অন্য বর্ণনায় জানা যায়, রাষ্ট্রপতি জিয়াই নাকি জেনারেল মঞ্জুর যেন বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে না আসেন সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন)।
মন্তব্য করুন
পাবনা
অঞ্চলে মানব কল্যানে যারা
কাজ করে গেছেন তাদের
মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি
তার কাজের মাধ্যমে এক কিংবদন্তী ইতিহাস
তৈরী করেছেন। তিনি ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে
২৫ শে সেপ্টম্বর গোপালগঞ্জের
ওড়াকান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে চাঁদপুরের একটি মিশন স্কুলে
তিনি তার পড়াশুনা শুরু
করেন। তার বাবা ছিলেন
ডা: ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী ও মায়ের নাম
লতিকা চৌধুরী। তিনি ছিলেন তার
বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী তার ছেলের নাম
দিয়েছিলেন শিমশোন। হয়তো তিনি ভেবেছিলেন তার
সন্তান বাইবেলের সেই শিমশোনের মতই
শক্তিশালি হবে। বাস্তবিক ঞ্জানে
ও বুদ্ধিতে তিনি সেই শক্তিরই
অধিকারী হয়েছিলেন। তার বাবার ছিল
বদলির চাকরি। চাঁদপুরের পর ১৯৩২ খ্রীষ্টাব্দে
ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী পাবনার আতাইকুলাতে আসেন। তারপর স্যামসন এইচ চৌধুরী এখানের
গ্রামের স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৩ খ্রীষ্টাব্দে
তার বাবা তাকে ময়মনসিংহে
পাঠান এবং সেখানে তিনি
ভিক্টোরিয়া মিশন স্কুলে চতুর্থ
শ্রেণীতে ভর্তি হন। এরপর ১৯৩৫
খ্রীষ্টাব্দে তার বাবা পশ্চিম
বাংলায় পাঠান এবং সেখানে তিনি
বিঞ্চুপুরের বোডিং শিক্ষা সংঘ হাই স্কুলে
ভর্তি হন।
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ খ্রীষ্টাব্দে
তিনি পাবনায় ফিরে আসেন। ১৯৪৩
খ্রীষ্টাব্দে তিনি আতাইকুলা স্কুল
থেকে মেট্রিক পাশ করেন। জানা
যায় তিনি স্কটিশ চার্চ
কলেজ কলকাতায় পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড
ইউনিভার্সিটি স্কুল থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে
ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর
তিনি মা বাবার অজান্তে
ভারতীয় নেভিতে যোগদান করেন। ১৯৪৬ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশ
শাসকদের বিরুদ্ধে নৌ বিদ্রোহে অংশগ্রহন
করেন এবং অবশেষে গ্রেপ্তার
হন। ৫ দিন জেলে
থাকার পর তাকে কনসেনট্রেশন
ক্যাম্পে এক মাসের জন্য
পাঠানো হয়। এরপর তাকে
মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি দেবার
সময় তাকে ক্লিন সার্টিফিকেট
দেয়া হয় যেন যেকোন
সরকারী প্রশাসন বিভাগে চাকরী পেতে তার কোন
অসুবিধা না হয়।
১৯৪৭
খ্রীষ্টাব্দে তিনি সরকারী চাকুরীজীবি
হিসাবে ডাকবিভাগে যোগ দেন। এই
সময়ে তার জীবনে আসে
১৫ বয়সী কিশোরী অনিতা বিশ্বাস। ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের ৬
ই আগষ্ট স্যামসন এইচ চৌধুরী বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দে
তিনি ডাক বিভাগে চাকুরী
ছেড়ে আতাইকুলাতে ফিরে আসেন এবং
বাবার ঔষধের দোকান হোসেন ফার্মেসীতে কাজ শুরু করেন।
১৯৫৬ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তার বাবার
কাছ থেকে টাকা ধার
করে একটি ছোট ফার্মাসিউটিক্যাল
কম্পানি চালু করেন। এবং
এর নাম দেন
“এসন” (“E sons”)। পরবর্তিতে তিনি
নামটি পরিবর্তন করে “ ইয়াকুব এণ্ড সনস” রাখেন।
১৯৫৮
খ্রীষ্টাব্দে তিনি ও তার
তিন জন বন্ধু মিলে
“স্কয়ার” নামক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি চালু
করেন। তার এই তিন
বন্ধুর নাম ছিল ডা:
কাজী হারুন আর রশিদ, ডা:
পি কে সাহা ও
রাধা বিনোদ রায়। তাদের প্রথম মুলধন ছিল ১৭,০০০
রূপি। ১২ জন শ্রমিক,
কাঁচাপাকা ভবনে ফ্যাক্টরি, কয়েকটি
মেশিন ও সল্পপুজি অথচ
আকাশসম স্বপ্ন ও উদ্দম নিয়ে
স্কয়ারের যাত্রা শুরু। তিনি দেখেন ম্যালেরিয়া
রোগীদের ভারতে উৎপাদিত কুইনাইন চড়া দামে কিনতে
হয়। অথচ কুইনাইন তৈরির
কাঁচামাল দর্শনার কেরু এন্ড কোম্পানীর
চিনিকলে পাওয়া যায়। ১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দে তারা
ঢাকার হাটখোলাতে একটি শাখা উদ্বোধন
করেন। পরবর্তিতে স্কয়ার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং এই
সময় তাদের মূলধন ছিল ৪০,০০০
রূপি। গুনগত মানের দিক দিয়ে স্কয়ার
এর সকল প্রোডাক্ট ছিল
অতুলনীয়। সেজন্য আর পিছনে ফিরে
তাকাতে হয়নি। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের
সমস্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করে এবং
আজ পর্যন্ত এক নম্বর অবস্থানেই
আছে। স্কয়ারই প্রথম দেশীয় কোম্পনি যা বিদেশে ঔষধ
রফতানির জন্য অনুমদিত হয়।
১৯৮৮
সালে আলাদা আরো একটি বিভাগের
যাত্রা শুরু হয় যার
নাম স্কয়ার ট্রয়লেট্রিজ। স্কয়ার গ্রুপ এখন ফার্মাসিউটিক্যালস, টেস্ক্রটাইল, রেডিমেট
গার্মেন্স, ট্রয়লেট্রিজ, ইনফরমেটিকস, খাদ্য শিল্প, মিডিয়া (মাছরাঙা টেলিভিশন), স্কয়ার হাসপাতাল ইত্যাদি বিভিন্ন দিকে তাদের পদচারনা
সফলভাবে করে যাচ্ছে।
স্যামসন
এইচ চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনে ভীষন বন্ধুসুলভ ছিলেন।
তিনি স্কয়ারে একটি দক্ষ—কমীর্বাহিনি
ও বিশ্বমানের পেশাদার ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। সব
কর্মীদের সাথে তার ছিল
পিতৃসুলভ আচরন। তিনি ও তার
স্ত্রী অনিতা চৌধুরী তাদের সমস্ত কর্মীকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতেন।
ব্যক্তিগত জীবনে স্যামসন এইচ চৌধুরীর তিনজন
ছেলে ও একজন মেয়ে
আছেন। তারা হলেন : স্যামুয়েল
স্বপন চৌধুরী, তপন চৌধুরী, অঞ্জন
চৌধুরী ও মেয়ে রত্না
চৌধুরী।
স্যামসন
এইচ চৌধুরী কোনদিন মানের (Quality) সাথে আপোষ করেননি।
অত্যন্ত স্বচ্ছ, সততা ও দক্ষতার
সাথে গড়ে তুলেছেন বিশাল
সামাজ্য। তিনি তার জীবনে
অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন।
২০১০ সালে অর্থনীতিতে বিশেষ
আবদান রাখার জন্য সরকার থেকে
বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন। ২০০০
সালে দ্যা ডেইলি স্টার
ও ডি এইচ এল
প্রদত্ত বিজনেস ম্যান অব দ্যা ইয়ার,
১৯৯৮ সালে আমেরিকান চেম্বার
অব কমার্সের বিজনেস এক্সিকিউটিভ অব দ্যা ইয়ার
এবং ২০১৩ সালে একুশে
পদক লাভ করেন। স্কয়ার
গ্রুপ ২০০৯—১০ অর্থবৎসরে
জাতীয় রাজস্ব বোড কর্তৃক সেরা
করদাতা নির্বাচিত হয়েছিল। স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন
স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান, সভাপতি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এবং
আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত
পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তিনি
যে শুধু তার কর্ম
জীবনে সফলভাবে অবদান রেখেছেন তা নয়। ধর্মীয়
ও সামাজিক জীবনেও তার অবদান ছিল
অপরিসীম। তিনি সক্রিয়ভাবে চার্চের
কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি ৪২ বছর
ধরে বিবিসিএফ এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি ১৩ বছর বিবিসিএফ
এর সম্পাদক (১৯৫৬ — ১৯৬৯) এবং সভাপতির (১৯৮৩
— ১৯৮৫) ও (১৯৯০ — ১৯৯৩)
দায়িত্ব পালন করেন। তিনি
সভাপতি থাকা অবস্থায় সিন্ধান্ত
হয়েছিল ১৭ টি মন্ডলী
থেকে ১০ বছরে মন্ডলীর
সংখ্যা ২০০ টি করতে
হবে। তার নেতৃত্বে এবং
ঈম্বরের আশীর্বাদে তাদের এই অভিযান সফল
হয়েছিল। এছাড়া তিনি ব্যাপ্টিষ্ট ওয়াল্ড
এলায়েন্সের সহ সভাপতি (১৯৮৫
— ১৯৯০) ছিলেন। তিনি ও তার
পরিবার বিভিন্ন ভাবে বহু সামাজিক
কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। আমাদের
পাবনা বয়েজ হোস্টেল ও আতাইকুলা বয়েজ
হোস্টেলের আর্থিক অনুদান এই চৌধুরী পরিবার
থেকে আসে। এরকম আরো
হাজার হাজার উদাহরন রয়েছে যা উল্লেখ করলে
লেখা শেষ করা কঠিন।
তিনি এত বড় মাপের
মানুষ হলেও তার জীবনে
প্রার্থনা ও বাইবেল পড়াকে
সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন।
১৯৮৩ সালের সম্মিলনীর ৬৩ তম সাধারন
সভায় মি: স্যামসন এইচ
চৌধুরী বলেন “প্রার্থনাই হলো ভক্তদের জীবনে
সবচাইতে বড় শক্তি ।
প্রার্থনা শুধু ব্যক্তিগত জীবনেই
শক্তি যোগায় না বরং প্রার্থনা
সমগ্র মন্ডলীকে উদ্দীপ্ত করতে সক্ষম। প্রার্থনা
শুধু চাওয়া না, প্রার্থনা প্রভু
যীশুর চরনে নতজানু হয়ে
ধন্যবাদ এবং কৃতঞ্জতা স্বীকারই
ভক্তদের জীবনে প্রভুর আশীর্বাদ বয়ে আনে”।
অতএব আমরা বুঝতে পারি
তিনি জীবনে যীশুর উপর কতটা নির্ভর
করতেন এবং প্রতিনিয়ত প্রার্থনাশীল
জীবন কাটাতেন। কর্মক্ষেত্রে ও ব্যক্তিগত ভাবে
এই মহান ব্যক্তির সানিদ্ধ
লাভ করার সুযোগ আমার
হয়েছে।
তার
বাড়িতে তার নিয়ম ছিল
“No Bible, No Breakfast”
সুতরাং আমরা বুঝতে পারি
তিনি তার জীবনে বাইবেল
ও প্রার্থনাকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।
তিনি ২০১২ খ্রীষ্টাব্দের ৫
ই জানুয়ারী ৮৭ বৎসর বয়সে
সিংগাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরন
করেন। পাবনার কাশিপুরস্থ খামার বাড়ি এষ্ট্রাসে স্যামসন এইচ চৌধুরীকে সমাহিত
করা হয়। আমরা এই
মহান ব্যক্তির জীবনের জন্য পিতা ঈশ্বরকে
ধন্যবাদ জানাই।
লেখক: রিপন
ধিমান বিশ্বাস
মন্তব্য করুন
আমরা অনেকেই বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করতে ভালোবাসি। এই চাষ গুলো বাণিজ্যিকভাবে না করলেও এগুলো দ্বারা পরিবারিক চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে অনেকের চাষ বাস করার ইচ্ছা থাকলেও জায়গার অভাবে তা করা হয় না।
আলু ছাড়া বাঙালির রান্নাই জমে না! তাই পারিবারিক চাহিদা মিটাতে এখন বাড়িতেই চাষ করে ফেলুন আলু। খুব সহজ পদ্ধতি আর তেমন পরিশ্রম নেই। শুধু বেশি চিন্তা না করে এবার শুরু করে দিন নিজের বাড়িতেই আলুর চাষ।
আলু চাষের সময়: আলু সারা বছরের সবজি হলেও সবচেয়ে ভাল আলু চাষ করার সময় হল নভেম্বর মাস। এই সময়ে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রীর কাছাকাছি থাকে। শীত পড়তে শুরু করে অল্প অল্প। সেই সময়ে আলু কিন্তু খুব ভাল হয়। তবে আপনারা চাইলে অক্টোবর মাসেও কিন্তু চাষ শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ফলন পেয়ে যাবেন।
চাষের মাটি: আলু চাষের জন্য উপযুক্ত হল দোআঁশ মাটি বা বেলে-দোআঁশ মাটি। এর মধ্যে অবশ্যই মেশাতে হবে উপযুক্ত পরিমাণে জৈব সার। আপনি যে কোনও ভাল নার্সারিতে জৈব সার পেয়ে যাবেন। এতে আলু খুব ভাল হয়। ৪০ শতাংশ জৈব সার আর ৬০ শতাংশ মাটি মিশিয়ে আলু চাষের উপযুক্ত মাটি তৈরি করতে হবে। মাটি কিন্তু ঝুরঝুরে থাকা আবশ্যক।
আলু কীভাবে রোপণ করবেন: অনেক সময়ে আলুর থেকে মূল বেরিয়ে থাকে। সেই আলুগুলি আলাদা করে রেখে দেবেন আলু চাষের জন্য। একটা লম্বাটে বড় পাত্রে মাটি ভাল করে বিছিয়ে নিন। এবার লম্বা করে দুটো দাগ কেটে নিন আঙুল দিয়ে। ওই দাগ বরাবর আপনি রোপণ করবেন আলু। দুটি দাগের মধ্যে তিন ইঞ্চি মতো ফাঁক রাখবেন। এবার ওই দাগের মধ্যে মধ্যে আলু পুঁতে দিন। আলুর থেকে বেরোনো মূলটা উপরের দিকে রাখবেন।
একটা লাইনে পাঁচটা করে আলু বসাতে পারেন। এবার উপর দিয়ে মাটি দিয়ে দিন যাতে আলুগুলি চাপা পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই জল দেওয়ার দরকার নেই। রোদের থেকে দূরে ছায়ায় তিন দিনের জন্য রেখে দিন। তিন দিন পর অল্প স্প্রে করে দিন জল। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখবেন চারা গজাচ্ছে।
গাছে সার: সার হল গাছের খাদ্য। নিয়ম করে মাসে একবার সার গাছে দিতেই হবে। আর বাজার থেকে না এনে বাড়িতেই জৈব সার বানালে কেমন হয়! তেমন কিন্তু কোনও খাটনি নেই। আপনার বাড়ির গাছের শুকনো পাতা সিমেন্টের বস্তার মধ্যে ভরে রেখে দিন। এমন জায়গায় রাখুন যেন বৃষ্টি পড়লে বস্তায় জল পড়ে।
গরমের সময় মাঝে মাঝে ওই বস্তায় জল দিন অল্প অল্প। প্রায় ছয় থেকে সাত মাস পর দেখবেন পাতা পচে গেছে। এবার ওই পচা পাতা শুকিয়ে বালি চালার চালনিতে নিয়ে চেলে নিন। চালার সময়ে দেখবেন নিচে ঝুরঝুরে হয়ে পড়ছে।
এটিই হল আপনার সহজ পাতা সার। এর মধ্যে যদি কেঁচো তৈরি হয় তাহলে তো কথাই নেই। মাসে একবার করে এই সার আপনার আলুর টবের চারদিক দিয়ে দিয়ে দিন। আলু রোপণের মাটি করার সময়েও এই সার দেওয়া যায়।
আলু তোলার সময়: প্রায় দুই থেকে আড়াই মাসের পর আলু তোলা যায়। আপনারা দেখবেন এই সময়ে আলুর চারা একদম নুইয়ে গেছে। পাতা একদম শুকিয়ে গেছে। আর তার মধ্যে প্রাণ নেই বললেই চলে। এবার বুঝবেন আলু হয়ে গেছে আর তা বাইরে আসার জন্য তৈরি। তখন আলুর টব উলটে নিয়ে মাটি থেকে আলু বের করে নিন।
এইভাবে নিয়ম মেনে আলু চাষ করলে কিন্তু বাজারে আর আলু কিনতে যেতে হবে না। বাড়ির ছাদ থেকেই আলু নেবেন আর রান্নায় দেবেন।
মন্তব্য করুন
যেকোনো প্রথমই খুব স্পেশাল। সহজে ভুলে যাওয়া
যায় না। আর সেটা যদি হয় প্রথম ভালো লাগা বা প্রথম প্রেম, তাহলে সারাজীবনই তা মনে গেঁথে
থাকে। প্রথম প্রেমে কোনো রকম অপরাধবোধ থাকেনা। প্রথম প্রেম হয় সতেজ, নির্মোহ। নির্ভেজাল
অনুভূতির এই সম্পর্ক তাই মানুষ মনে রাখে আজীবন। প্রথম প্রেমে এমন এক অন্যরকম অনুভূতি
থাকে, যা কখনোই আপনি কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ‘প্রথম প্রেম দিবস’। ২০১৫
সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি।
এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ছুটি পালন করে। যদিও এ দিবসের উৎপত্তি কীভাবে তা
কারও জানা নেই।
এমন এক সুন্দর দিবসে নিজের প্রথম প্রেমের
স্মৃতি রোমন্থন করে নিতে পারেন আজ। আর সৌভাগ্যবশত যদি প্রথম প্রেমের মানুষটিই আপনার
জীবনে এখনও বর্তমান হয়ে থাকে তবে তো কথাই নেই। দুজনে মিলেই নাহয় চমৎকার দিবসটি উদযাপন
করে ফেলুন আজ। আজকের এই বিশেষ দিনটি আপনার জন্যেও হয়ে উঠুক বিশেষ।
তবে কেউ কেউ আবার কেউ খুব যত্ন করে গড়ে তোলা প্রথম প্রেম ভুলেও যায় বড় অবহেলায়। বহমান জীবনে জায়গা করে নেয় নতুন মানুষ। তাদের জন্য অবশ্য দিনটি মনে না করাই শ্রেয়। কারণ, কথায় আছে না “হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে কে ভালবাসে!” এমন মানুষদের জন্য দিবসটি এক প্রকার যন্ত্রণারও বটে।
মন্তব্য করুন
আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার স্ত্রীর প্রশংসা দিবস বা ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। সচারচর ব্যস্ততা আর কাজের চাপে অনেক স্বামীই স্ত্রীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না, সেক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আজ হতে পারে চমৎকার একটি দিন। একটু প্রশংসা করার মাধ্যমে স্ত্রীকে খুশি করে দিয়ে যেকোনো স্বামীর জন্যেই দিনটি হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়। কারণ, কথায় আছে “ঘর শান্তি তো দুনিয়া শান্তি”!
প্রশংসা পেলে যেকোনো মানুষই একটু খুশি হয় কিন্তু একজন স্ত্রীর কাছে স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসার মূল্য অন্যরকম। কারণ আমাদের দেশে ঘরের বউ বা স্ত্রীর কদর হয় খুব কম। একজন স্ত্রী একটা সংসারের জন্য যে পরিশ্রম করে থাকে সেসব ‘তারা করবেই’ বা এটাই ‘তাদের কাজ’ এমনটাই ধরে নেয়া হয়। কাজের স্বীকৃতি তো দূর খানিক প্রশংসাও অনেক স্ত্রী পান না।
অপরদিকে, একজন স্বামীর
সর্বাত্মক উন্নতিতে সর্বদা পাশে থেকে তার সকল কাজে অনুপ্রেরণা যোগান দেন একজন স্ত্রী।
দিনের হাজারো ব্যস্ততার পর সুন্দর একটা ঘরে ফিরে ক্লান্তি দূর করতে, খাবার টেবিলে বসলেই
পরম মমতার সাথে খাবার পেতে, সুঘ্রাণযুক্ত পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে কার না ভালো লাগে!
কিন্তু না চাইতেই এসব দাবী কিভাবে পূরণ হয়ে যায় একজন স্বামীর সেসব উপলব্ধি করা
প্রয়োজন। কিন্তু খুব স্বামীই এসব উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখেন।
তাই, স্ত্রীর যেকোনো কাজের প্রশংসা করার জন্য যেকোনো স্বামীই লুফে নিতে পারেন আজকের দিনটি। কারো প্রশংসা করা কিন্তু খারাপ নয়, বরং খুবই ইতিবাচক একটি গুণ। এছাড়া, কাউকে প্রশংসা করা হলে তিনি উজ্জীবিত হন।
সুতরাং, স্ত্রীর
সাথে সাথে যদি কোনো কারণে মনোমালিন্য থেকে থাকে সে সমস্যা সমাধানে আজকের দিনটি কিন্তু ভালো উপলক্ষ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই দিবসটির কীভাবে প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে, ২০০৬ সাল থেকে এটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং উদযাপিত হয়ে আসছে।
তবে স্বামীদের আফসোসের কিছু নেই। প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার স্বামীর প্রশংসা দিবস বা ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। এ বছর অনেকেই এ দিবস উদযাপন করেছে। যদি কেউ না করে থাকে তবে আগামী বছর স্বামীরা কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে কড়ায়-গণ্ডায় প্রশংসার হিসাব বুঝে নেবেন। তবে আজ আপনার স্ত্রীর সাথে একটি সুন্দর তারিখের সাথে দিনটি উদযাপন করুন। আজ তারই দিন!
মন্তব্য করুন
মোবাইলের প্রতি শিশুদের আসক্তি বরাবরই ছিল। এখন তা আরও বাড়ছে। কখনও পড়াশোনা কিংবা গেম খেলার জন্য আবার কখনও ইউটিউব দেখার জন্য তারা ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। ফলে এর কুপ্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।
এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু।
বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন সেসব-
কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ শিশুর হাতে যে ডিভাইস দিচ্ছেন তাতে কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এতে আপনি ছাড়া সে মোবাইল ফোন বা ডিভাইসের লক খুলতে পারবে না। ফলে যখন তখন আপনার অজান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারও করতে পারবে না।
ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুনঃ শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।
সময় বেঁধে দিনঃ এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা—শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।
শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুনঃ ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।
শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুনঃ শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।
উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়ঃ অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
মন্তব্য করুন
পাবনা অঞ্চলে মানব কল্যানে যারা কাজ করে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। তিনি তার কাজের মাধ্যমে এক কিংবদন্তী ইতিহাস তৈরী করেছেন। তিনি ১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে ২৫ শে সেপ্টম্বর গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দি গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দে চাঁদপুরের একটি মিশন স্কুলে তিনি তার পড়াশুনা শুরু করেন।
যেকোনো প্রথমই খুব স্পেশাল। সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। আর সেটা যদি হয় প্রথম ভালো লাগা বা প্রথম প্রেম, তাহলে সারাজীবনই তা মনে গেঁথে থাকে। প্রথম প্রেমে কোনো রকম অপরাধবোধ থাকেনা। প্রথম প্রেম হয় সতেজ, নির্মোহ। নির্ভেজাল অনুভূতির এই সম্পর্ক তাই মানুষ মনে রাখে আজীবন। প্রথম প্রেমে এমন এক অন্যরকম অনুভূতি থাকে, যা কখনোই আপনি কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না।
আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার স্ত্রীর প্রশংসা দিবস বা ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়। সচারচর ব্যস্ততা আর কাজের চাপে অনেক স্বামীই স্ত্রীকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না, সেক্ষেত্রে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আজ হতে পারে চমৎকার একটি দিন। একটু প্রশংসা করার মাধ্যমে স্ত্রীকে খুশি করে দিয়ে যেকোনো স্বামীর জন্যেই দিনটি হয়ে উঠতে পারে আনন্দময়। কারণ, কথায় আছে “ঘর শান্তি তো দুনিয়া শান্তি”!