ইনসাইড বাংলাদেশ

ফের মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ফের মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন

তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার তিন বছর পূর্ণ করেছে গত ৭ জানুয়ারি। তিন বছরের মধ্যে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল হয়নি। প্রথম দুই দফায় তিন বছর মেয়াদী মন্ত্রিসভায় অন্তত দুবার করে বড় ধরনের রদবদল হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কোনো রদবদল হয়নি। বিভিন্ন সময়ে রদবদলের গুঞ্জন শোনা গেল সেই গুঞ্জন শেষ পর্যন্ত সত্যিতে পরিণত হয়নি। তবে সরকারের একাধিক সূত্র বলছে যে, সরকার সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রীসভার রদবদলের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীসভার রদবদল প্রধানমন্ত্রীর একক এখতিয়ারের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অভিপ্রায় অনুযায়ী মন্ত্রীসভা গঠন করেন এবং যেকোনো সময় যেকোনো মন্ত্রী কে বাদ দিতে পারেন বা নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর একক সাংবিধানিক ক্ষমতা। আর এ কারণেই মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে কিনা, কবে হবে ইত্যাদি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। তবে অনেকেই মনে করছেন যে বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলনের চেষ্টা এবং দু'বছরের মধ্যে একটি নির্বাচন এরকম একটি বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার রদবদল করতে পারেন। কারণ মন্ত্রীসভার একটি রাজনৈতিক অবয়ায়ব এখন জরুরি বলেও সরকারের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন। তারা মনে করছেন যে, সামনের দিনগুলোতে সরকারকে দেশে এবং বিদেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি চাপের মধ্যে রয়েছে এই তৃতীয় মেয়াদে। বিশেষ করে এই সময়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক নীতিতে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। 

গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোটা বাংলাদেশের জন্য মর্যাদাহানিকর হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৭ জন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখানেই থেমে নেই, সম্প্রতি জো বাইডেন দুর্নীতির বিরোধী একটি নীতি ঘোষণা করেছেন। যেই নীতিতে বলা হয়েছে যারা নগদ অর্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। এটি সারা বিশ্বের দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য হলেও বাংলাদেশ এর ফলে আক্রান্ত হবে বলে বিভিন্ন মহল প্রচার করছে। সামনের দিনগুলোতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও বাংলাদেশের মানবাধিকারের বিষয় নিয়ে কথা বলবে বলে জানা গেছে। এমনকি যুক্তরাজ্য বাংলাদেশর গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতে শুরু করেছে। এরকম বাস্তবতায় বিদেশে পলাতক বিভিন্ন ব্যক্তিরা বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা কে আরো জোরালো করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বশেষ ঘোষণায় বলা হয়েছে যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার করছে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে। কিন্তু যে সমস্ত ব্যক্তিরা এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত তাদের অধিকাংশই রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিদেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর মেয়াদ বহু আগেই শেষ হয়েছে। এই কারণে এ ধরনের পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে বা যৌক্তিক হবে এ নিয়েও বিভিন্ন মহলের মধ্যে সংশয় রয়েছে। 

অনেকেই মনে করেন যে, এখন বিদেশে এসব ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি দেশেও বিএনপি একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে গত নভেম্বর মাস থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবিতে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের সভা সমাবেশ করছে, এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা নানা কর্মসূচি নিয়ে এগুচ্ছে। এরকম বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের ভেতর যারা রাজনৈতিক ব্যক্তি তাদের সামনে নিয়ে আসা এবং নির্বাচনের দুই বছর আগে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে জন্য কাজকর্মে গতি সঞ্চারের একটি বিষয় আলোচিত হচ্ছে। এই আলোচনা থেকেই মন্ত্রীসভার রদবদলের কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন পর হয়ত প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার একটি রদবদল করতে পারেন। মন্ত্রিসভায় কয়েকজন রাজনৈতিক মুখকে আনার কথাও শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় মন্ত্রীসভার রদবদলের গুঞ্জন হলেও শেষ পর্যন্ত রদবদল হয়নি। তাছাড়া অনেকেই বলছেন, এখন করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, এরকম পরিস্থিতিতে মন্ত্রীসভার হটাত করে রদবদল নাও হতে পারে। তবে সরকারকে এখন সামনের দিনগুলোতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আর এই কারণেই মন্ত্রীসভার আরো গতিশীল হওয়া দরকার বলে কেও কেও মনে করছেন।

সরকার   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটে বৈশাখী মেলায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে শাওন (১৮) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ৭ জন।

নিহত শাওন সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের কচি মিয়ার ছেলে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে পিয়াস নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সেবারহাট বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মেলা বসানো নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে শাওনসহ ৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে শাওন ও পিয়াস নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পিয়াসকে চট্টগ্রামে পাঠান।

সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি পুলিশের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


কিশোর গ্যাং   দুই গ্রুপের সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার ফেসবুকে পিস্তলের ছবি দিয়ে হুমকির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশাল নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার নিজের ও ভুয়া ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি পিস্তলের ছবি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে তোলপাড়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন ওই পিস্তলের ছবি আপলোড দিয়ে তারিক সুলাইমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মিল্টনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী তারিক সুলাইমান।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মিল্টন তার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পিস্তলের ছবি আপলোড করেন। এর কিছু সময় পর তারিক সুলাইমান নামে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে একই পিস্তলের ছবিসহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পোস্ট করেন মিল্টন। এছাড়া তারিকের মোবাইল ফোনে অপরিচিতি নম্বর থেকে কল করে হত্যার হুমকি দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত মিল্টন।

নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর যুগ্মআহ্বায়ক রিয়াজ মাহমুদ খান মিল্টন বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা। তিনি (তারিক) রাজনৈতিক কারণে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, একজন নেতার ফেসবুক আইডি থেকে পিস্তলের ছবি আপলোডের ঘটনায় অবাক হয়েছি। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমান উল্লাহ বারী।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


ফেসবুক   পিস্তল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৪ গুদাম

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের টঙ্গী বাজারের আলুপট্টিতে লাগা আগুনে চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চারটি গুদাম পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উত্তরা জোনের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী বাজারের আলুপট্টির সোনাভান মার্কেটের পাশের গুদামে এ আগুন লাগে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের ব্যাপকতায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে চারটি গুদামের মালামাল পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশের কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদামগুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ করা ছিল। ব্যবসায়ীরা গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, আগুনে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় পাঁচ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছার পর জানতে পারি দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।


আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি

প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানাকে চাকরিচ্যুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এটি প্রকাশ করা হয়েছে। গেল ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে ১০ অক্টোবর কারণ দর্শানোর জবাব দিয়ে ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিকালে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, লিখিত জবাব, উভয়পক্ষের বক্তব্য ও উপস্থাপিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি পর্যালোচনায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা বিধিমতে সাক্ষ্য, সাক্ষীদের জেরা, উপস্থাপিত ভিডিওসহ সব দলিলপত্রাদি পর্যালোচনা ও সরেজমিনে তদন্ত অন্তে গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে আনিত ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অভিযোগ, লিখিত জবাব, শুনানিকালে উভয়পক্ষের বক্তব্য, তদন্ত প্রতিবেদন ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি পর্যালোচনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ প্রমাণিত হওয়ায় কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অন্য কোনো গুরুদণ্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৩ জুন দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়। ২০ জুলাই দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেন ওই পলিশ সুপার। অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তার দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি পুনরায় পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খণ্ডনের মতো কোনো যুক্তি তিনি উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি।

পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়। পরে ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে তাকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’র প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গেল ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তকরণে পরামর্শ প্রদান করে।

ফেসবুকে লাইভ   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৫৬৫

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন ৫৬৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২২৮ জন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। 

সড়ক দুর্ঘটনা   যাত্রী কল্যাণ সমিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন