ইনসাইড বাংলাদেশ

একজন জাফর ইকবাল স্যার

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail একজন জাফর ইকবাল স্যার

একজন শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কি হওয়া উচিত, তা হাতেনাতে দেখালেন অধ্যাপক মোঃ জাফর ইকবাল। অধ্যাপক মোঃ জাফর ইকবাল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নিয়েছেন বেশ কিছু দিন আগে। এখন তিনি একরকম অবসর জীবন যাপনই করছেন। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যে তার আত্মার সম্পর্ক, তার হৃদয়ের সম্পর্ক, তিনি তা আরেকবার প্রমাণ করলেন। ড. জাফর ইকবাল একজন মেধাবী এবং একজন উদ্ভাবনী চিন্তার মানুষ। তিনি চাইলেই বিদেশে অনেক দামী দামী, অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি বেতনে চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং মানুষ গড়ার কারিগর এই মানুষটি অর্থলোভে বিদেশে বিত্তশালী হওয়ার মোহে সেখানে অবস্থান করেননি। তিনি দেশে এসেছেন। দেশে এসেও মোঃ জাফর ইকবালের সামনে অনেকগুলো পথ খোলা ছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে পারতেন। তিনি যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেতনে চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু এসব না করে, তিনি চলে গেলেন হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তখন কেবল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একেবারেই নতুন আনকোড়া। সেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে তিনি যেন সন্তানের মতো লালন করলেন। আজকে যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেজ, সেই ইমেজের পেছনে অনেকখানি অবদান আছে এই অসামান্য মানুষটির। তিনি শিক্ষক হিসেবে নয়, ছাত্রদের একজন অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছেন। আর এ কারণেই তিনি সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্বাস করতো এবং তার উপর আস্থা রাখতো। 

প্রশ্ন হলো, মোঃ জাফর ইকবালের কি অভিনবত্ব আছে? কেন তিনি শিক্ষার্থীদের এত আপন করে নিতে পেরেছিলেন? এর উত্তর খুব সহজ। মোঃ জাফর ইকবাল শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে দেখেছেন। শিক্ষার্থীদের তিনি অভিভাবক হিসেবে দেখেছেন। তিনি এবং তার স্ত্রী দুইজন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে শিক্ষকদের ভূমিকা কি হওয়া উচিত, সেটি বারবার দেখিয়েছেন। একারণেই শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্বাস করে এবং তাকে অভিভাবক হিসেবে মনে করে। আসলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক এটাই হওয়া উচিত। জাফর ইকবাল অবশ্যই একটি রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনাকে ধারণ করেন, লালন করেন এবং তিনি তার বিশ্বাস প্রকাশে কোনো রকম কার্পণ্য করেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে, তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। এজন্য তার জীবনের উপর হুমকিও এসেছে। তাকে বিভিন্ন সময় হত্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি তার আদর্শ থেকে দূরে থাকেননি। 

একদিকে তিনি যেমন আদর্শে অটল ছিলেন, অন্যদিকে শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন সবকিছুর ঊর্ধ্বে কেবল একজন শিক্ষক। তিনি শিক্ষকদের দলাদলি, কোন্দল ইত্যাদিতে কখনোই মনোযোগী হননি। সবসময় তিনি চেয়েছেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি পবিত্রভূমি, এখানে শিক্ষকদের একমাত্র কাজ হলো তার সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষিত করে তোলা। এই কাজটি নিষ্ঠার সাথে পালন করলেই যে একজন শিক্ষক শ্রদ্ধার পাত্র হন, একজন শিক্ষকের কথায় শিক্ষার্থীরা সবকিছু করতে পারেন, তার প্রমাণ হলো আজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন বা অন্যান্য রাজনৈতিকপ্রবণ লেজুড় শিক্ষকরা কি মোঃ জাফর ইকবালের কাছ থেকে কিছু শিখবেন? যারা দলকানা হয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেন, যারা দলকানা হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অমানবিক আচরণ করেন, যারা চাটুকারিতা করে শিক্ষার মান মর্যাদাকে ভুলন্ঠিত করেন, তাদের জন্য ড. জাফর ইকবাল একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। জাফর ইকবাল যে নতুন কিছু করছেন এটি না, যেকোনো শিক্ষকেরই এই কাজটি করা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো আমাদের শিক্ষকেরা অধিকাংশই এই কাজের সাথে যুক্ত না। সেই কারণেই শিক্ষার্থীরা তাদের পদত্যাগ দাবি করে, তাদের কুশপুত্তলিকা জ্বালায়। যদি সত্যিকারের শিক্ষকের মতো কেউ শিক্ষক হন, তবে তিনি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা পাবেনই। একজন জাফর ইকবাল সেটি আবার প্রমাণ করলেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়   ছাত্র আন্দোলন   শাবিপ্রবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়ক-রেল-লঞ্চে যাত্রী চাপের মধ্যেই রাজধানীতে ফিরছে মানুষ

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষের ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তাই আজ ট্রেন, বাস ও লঞ্চে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এই ভিড়ের মধ্যেই রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলোতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং ট্রেন স্টেশন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেল স্টেশনে আসা ট্রেনগুলো থেকে নামছে অসংখ্য মানুষ। প্রতিটি ট্রেনেই ছিল যাত্রীদের ভিড়। এ ছাড়া মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চ ঘাটেও ছিল একই অবস্থা।

অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপের কারণে বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তারা জানান, বাসগুলোতে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের ছয়দিনে এসেও এমন ভাড়া অপ্রত্যাশিত। কেউ প্রতিবাদ করলে বাস শ্রমিকদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত গিয়াস বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি বরিশালে গিয়েছিলাম। আজ ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ থাকলেও তা খুব বেশি নয়। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে লঞ্চের যাত্রী কমেছে। তারপরও অতিরিক্ত চাপ থাকায় আমাদের সকাল সাড়ে ৫টায় টার্মিনালে রেখে লঞ্চটি পুনরায় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

লঞ্চে করে ঢাকায় ফেরা মো. আল-আমিন বলেন, আজকে লঞ্চে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আমি ভেবেছিলাম, ঈদের কয়েকদিন পরে ঢাকা যাচ্ছি, লঞ্চে হয়তো ভিড় কম থাকবে। কিন্তু লঞ্চে উঠে দেখলাম ভিন্ন চিত্র।

ট্রেনে করে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা সেলিনা আক্তার বলেন, ট্রেনগুলোতে আজকে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় ছিল। ঈদের চারদিনের মাথায় এত ভিড় হবে ভাবিনি। মনে করেছিলাম, একটু স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরতে পারব কিন্তু তা আর হলো না।

এদিকে ঈদের ছুটির পর অফিস শুরু হলেও রাজধানী এখনও ফাঁকা। সড়কে নেই যানজট। স্কুল-কলেজও খোলেনি। এ কারণে এক প্রকার নীরব রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ খুললে ঢাকা চিরচেনারূপ পাবে আগামী সপ্তাহ থেকে।

ঈদুল ফিতর   বাংলা নববর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাঁকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়নি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নাসির বেপারী ও তার সমর্থকরা। পরে গত শনিবার রাতে ওই বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দ সাব্বির নামে একজন জাজিরা থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ আব্দুর রহমান খা নামে একজনকে আটক করলেও বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ অন্যান্যরা পালাতক ছিল। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার গভীর রাতে বিলাশপুরের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি থেকে নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।




ককটেল বিস্ফোরণ   ইউপি সদস্য   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিএনপির সাবেক নেতাকে প্রার্থী ঘোষণা করলেন আওয়ামী লীগের এমপি

প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি আসাদুজ্জামান ওরফে নয়নকে নিজের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহমদ হোসেন। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
 
শনিবার সরিস্তলা এলাকায় একটি ওরস মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তিনি তার পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি ওই প্রার্থীকে ডেকে এনে তার পাশে দাঁড় করিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে শোনা গেছে, ওই সভায় এমপি মো. আহমদ হোসেনে বলেন, আমি নয়নকে এনেছি। এ সময় তিনি নয়নকে ডেকে বলেন- নয়ন এদিকে আসো। চেয়ারম্যানদের কাছে গেলে বলেন- আমাকে ১০ হাজার টাকা দাও, ১০ হাজার টাকা দাও। আমি তোমাকে টিউবওয়েল দেব এটা দেব সেটা দেব। পরে টাকারও খবর নাই আর কোনোকিছুরই খবর নাই। আমরা কি চেয়ারম্যান চাই তখন উপস্থিত লোকজন বললেন হ্যাঁ। আহমদ হোসেন বললেন, কোন চেয়ারম্যান চাই আমরা; পাবলিকরে মাইরা টাকা মাইরা খায়, প্রতারণা করে বেইমানি করে এমন চেয়ারম্যান চাই না।

এ সময় নয়নের হাত ধরে হাত উঁচু করে মো. আহমদ হোসেন বললেন, এই নয়ন আসবে টাকা নেবে না, সে টাকা দেবে। আমাকে এমপি বানাইছেন আপনারা! আমার একটা সহযোগী লাগবে না? কী? মেসি কি একা একা গোল করতে পারে? টিম লাগে না? কাজেই চেয়ারম্যানটাও আমার টিমের নয়ন। তারে আমি চাই। উপস্থিত লোকজন বলেন, নয়নকে আগে আপনারা চিনেন। চেয়ারম্যানটা আমার টিমের হইতে নয়নরে দিয়া কাজ হবে। আমি এমপি থাকলে, নয়ন ভালো চেয়ারম্যান হবে।

তিন মিনিট ১৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়- আমি এমপি, আমি জেলা পরিষদের অ্যাডভাইজার; সব কমিটিরই আমি প্রধান। সবকিছু আমার অ্যাডভাইসে চলবে। এ সময় তিনি ডান হাত দিয়ে বুক থাপড়িয়ে বলেন, সবকিছু আমার নিয়ন্ত্রণে চলবে। আমাকে কাজ করতে দেবেন? তাহলে নয়ন যে মার্কা নিয়ে আসবে তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানাতে হবে। আমি এমপি আমি নয়নকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আমার একজন নয়নের দরকার...।

এদিকে আসাদুজ্জামান নয়নকে এমপির সমর্থন দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।


বিএনপি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মানুষের শাসক নয়, সেবক হতে চায় লক্ষ্মীপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর


Thumbnail

সদর উপজেলা ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় ভোটাদের সমর্থন ও ভালবাসা পেতে সমাজের বিভিন্ন জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছেন। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তার মোড়ে, চায়ের দোকানে ইউপি নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চশমা প্রতীক নিয়ে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। শুরু করেছেন উঠান বৈঠক এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মতবিনিময় সভা।

এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে দোয়া প্রার্থী ব্যানার লাগিয়ে শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচারণা। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলা ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়ন থেকে চশমা মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী, সৎ সাহসী নীতি ও আদর্শবান বঙ্গবন্ধুর এক লড়াকু সৈনিক, ধার্মিক, সদা হাস্যউজ্জ্বল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন ও আধুনিক, শান্তি - সিমৃদ্ধির আবাসস্থল হিসাবে গড়ে তুলতে তার রয়েছে দৃঢ় অঙ্গীকার ।

এই তরুণ উদীয়মান চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মানুষের শাসক নয়, সেবক হতে চায়। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতেও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা করে ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়ন অব্যাহত রাখতে চাই এবং সকলের প্রতি যতটুকু সম্ভব সাহায্যে সহযোগিতা করার জন্য আমার প্রচেষ্টার কোন কমতি থাকবে না, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া  আরো বলেন, ব্যাক্তি উদ্যেগে মানুষের কল্যাণ সবসময়  জনপ্রতিনিধি না হয়েও কাজ করে যাচ্ছি । আমার ইউনিয়ন বাসীর চেষ্টায়  সর্বাত্মকভাবে সমাজের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিকল্প নাই। বিশেষ করে সরকারী অনুদান তৃণমূলের সর্বস্তরের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন করতে চায়।

তাই আসন্ন ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে আমি এলাকায় কাজ করছি। আমার ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডকে, চাঁদাবাজ,মাদক, কিশোর গ্যাং, ভূমিদস্যু, সালিশ বানিজ্য, যৌতুক, বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং মুক্ত, সমাজ গঠনের লক্ষে, ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নকে একটি দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে চাই সকলের সহযোগিতা। ৬ নং ভাঙ্গা খাঁ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন ও দোয়া চাই।


লক্ষ্মীপুর   মিজানুর রহমান ভূঁইয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিলাইছড়িতে বিশেষ সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ৮

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপানিছড়া পাড়া থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ বেঙ্গল কর্তৃক ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়। পরে সেনা সদস্যদের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে  ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক সন্ত্রাসীদের বিলাইছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হবে। 

রাঙামাটি   বিলাইছড়ি   সেনা অভিযান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন