ইনসাইড বাংলাদেশ

চিকিৎসা সহায়তাসহ সংবাদপত্র হকারদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail চিকিৎসা সহায়তাসহ সংবাদপত্র হকারদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা

প্রচন্ড শীত কিংবা ঝড়-বৃষ্টি যা-ই থাকুক, প্রতিদিন সূর্যের আলো ফোটার আগেই জনগণের হাতে পৌঁছে যায় দেশের খবর। কিন্তু প্রতিনিয়ত যারা এই কাজ করেন তাদের খবর রাখে না কেউ। হাজারো কষ্টে কাউকে পাশে পান না তারা। বলছি পত্রিকার সেই নেপথ্যের নায়ক হকারদের কথা। বরাবরের মতো গণমাধ্যমের অন্তরালের এই নায়কদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। দুর্ঘটনা-অসুস্থতাসহ যেকোনো বিপদে সারাদেশের ১৫ হাজারের বেশি হকারের পাশে থাকবে বসুন্ধরা। এছাড়াও কোনো হকারের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে নগদ ১ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের এই ঘোষণাকে যুগান্তকারী বলে মন্তব্য করেছেন সংবাদপত্র হকার্স, এজেন্ট ও সংবাদপত্র পরিবহন সমিতির নেতারা।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব ঘোষণা দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।

এর আগে সংবাদপত্র হকার্স, এজেন্ট ও পরিবহন সমিতির নেতারা তাদের বিভিন্ন সমস্যা-বঞ্চনা ও দাবির কথা বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের কাছে তুলে ধরেন। এসময় ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমূখী সমবায় সমিতি লিমিটেড, সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতি লিমিটেড, পত্র-পত্রিকা বিতরণকারী বহুমূখী সমবায় সমিতি লিমিটেড, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিবহন সমিতির নেতাদের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। সংবাদপত্রের এজেন্ট এবং হকারসহ পত্রিকার সেবাকর্মীদের পাশে থাকার অঙ্গিকার করে বসুন্ধরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোনো প্রয়োজনে সংবাদপত্রসেবী ও হকারদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ। এছাড়া কোনো পত্রিকাসেবী হকারের মৃত্যু হলে ওই পরিবারকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যতদিন বসুন্ধরা গ্রুপ থাকবে ততোদিন এই অনুদান চলবে।

হকারদের উদ্দেশ্য বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, ‘আপনারা প্রত্যেকেই আমার পরিবারের সদস্যের মতো। হাজারো সমস্যা মোকাবেলা করে আপনারা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মানুষের হাতে পত্রিকা তুলে দেন। তাই যেকোনো প্রয়োজনে আপনাদের পাশে পাবেন আমাকেও।’

বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের এই ঘোষণা শুনে আবেগাপ্লুত রাজধানীতে পত্রিকা বিক্রি করে জীবন চালানো আব্দুস সালাম, হানিফ মিয়া, মোহাম্মদ রফিক ও আবেদ আলী।

তারা বলেন, এতোদিন মনে হতো আমাদের কথা কেউ ভাবে না। এখন মনে হচ্ছে আমাদের জন্য কেউ একজন আছেন। আমাদের চিকিৎসা সহয়তাসহ বিপদে আপদে আমাদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি ও তার পরিবারকে ভালো রাখুক। বসুন্ধরার এই উদ্যোগে হকাররা সবাই খুবই আনন্দিত।

বসুন্ধরা এমডির এই ঘোষণাকে যুগান্তকারী মন্তব্য করে ঢাকা সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘দেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে এর আগে কেউ এভাবে হকারদের পাশে দাঁড়ায়নি। সায়েম সোবহান আনভীরের এই ঘোষণায় আজ ১৫ হাজারেরও বেশি হকারের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সংবাদপত্র এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ‘এজেন্ট-হকারদের কাজের কোনো মূল্যায়ন নেই। কাজের সময় কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে, কিংবা অসুস্থ হলেও হকাররা কোনো সহায়তা পান না। শুধু তাই নয়, কর্মরত অবস্থায় কোনো হকার মারা গেলেও অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় না কেউ। তাই বসুন্ধরা গ্রপের এই ঘোষণায় সারাদেশের হকাররা খুবই আনন্দিত। এখন নিজেদের কাজ আরও ভালোভাবে করার সাহস ও প্রেরণা পাবেন হকাররা। তারা জেনে গেছেন কোনো বিপদ হলে তার পাশে থাকবে বসুন্ধরা।’

এসময় বসুন্ধরা গ্রুপের পাশের থাকার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিবহন সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন রিন্টু বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে হকারদের বিপদের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা যেমন হকারদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তেমনি ভবিৎষতে হকাররাও বসুন্ধরার পাশে থাকবে সবসময়।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইষ্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ গোলাম ও সার্কুলেশন বিভাগের প্রধান বিল্লাল হোসেন মন্টু প্রমুখ।


বসুন্ধারা   সায়েম সোবহান আনভীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন


Thumbnail উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় এডিবির অর্থায়নে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। 

 

এর মধ্যদিয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উৎপাদনে আসার ফলে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, প্রকল্পে প্রতিদিন সাড়ে ১১ টন বর্জ্য ব্যবহার হচ্ছে। বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৪০-৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, ১২’শ লিটার ডিস্ট্রিল্ড ওয়াটার এবং ১৫০০ কেজি অ্যাস (ছাই)।

 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ধরনের প্রকল্প চালু থাকলে পরিবেশ দূষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

 

প্রকল্পটি একটি পাইলট প্রকল্প জানিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো প্রকল্পটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তাবয়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এর সুফলতা পেয়েছি। দাতা সংস্থা এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয়ে আছে প্রায় সাড়ে তেরো  লাখ রোহিঙ্গা। তাদের জন্য ধ্বংস করা হয় প্রায় ১২ হাজার  একর বনভূমি। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর পয়ঃজৈব এবং রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশের। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করতে জরুরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ওমনি প্রসেসর) বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।

 

এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তায় ২০২১ সালে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত বর্জ্যের কারণে পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আমি ‘ওমনি প্রসেসর’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছি। এ প্রকল্পটি ছিল আমার স্বপ্নের প্রকল্প। এখানে ক্যালোরোফিক ভ্যালু ও আর্দ্রতার বিষয়টিও জড়িত থাকায় শুরুতে প্লান্টটির ইনপুট ম্যাটেরিয়াল সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হয়।

 

তিনি বলেন, এই প্লান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু রাখতে হলে প্রতিদিন ৬ টন ফেকাল স্লাজ, ৫ টন জৈব বর্জ্য ও ৫০০ কেজি সিঙ্গেল লেয়ার প্লাস্টিক প্রয়োজন। যেহেতু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে সেহেতু প্রকল্পটিতে মাত্র ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করা সম্ভব হয়। ৬০-৭০ কিলোওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও এখন প্রতিদিন ৪০-৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, এক হাজার থেকে ১২শ লিটার পানি এবং ১২শ থেকে ১৫শ কেজি অ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। যদি পুরোপুরি প্রকল্পটি চালু করা যায় তবে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাইরে সরবরাহ করার পাশাপাশি উৎপাদিত পানি বিক্রি করেই মাসিক ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। একই সাথে পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বর্তমানে এখানে প্রায় এক লাখ মানুষ সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে উপকার পাবেন বলে জানান এ প্রকৌশলী।

 

ওমনি প্রসেসর প্রকল্পের প্লান্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীউল হক বলেন, এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মানুষের পয়ঃবর্জ্য এবং পচনশীল ও অপচনশীন ময়লা আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ, ডিসট্রিল্ড ওয়াটার এবং অ্যাশ উৎপাদন করা হয়। প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক কার্বন ও গ্যাস পরিবেশসহ আমাদের সবার জন্য হুমকি। কিন্তু ওমনি প্রসেসরের মাধ্যমে প্লাস্টিক থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায়।

 

তিনি বলেন, সেনেগাল এবং ভারতের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থাপন করা হয় এ প্রকল্প। এই প্লান্টটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক হওয়ায় ম্যান পাওয়ার খুবই কম লাগে। এছাড়া এই প্লান্টটি চালাতে বাইরের কোনো বিদ্যুৎ লাগে না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকেই এটি চালানো হয়। এটিকে বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করা গেলে এ খাত থেকে আয় করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন তিনি।

 

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) কক্সবাজারের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, প্রায় ১৪ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয়দের ব্যবহৃত প্লাস্টিক থেকে শুরু করে জৈব, অজৈব, পয়ঃবর্জ্য পরিবেশ ও প্রতিবেশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ প্রকল্পে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য ব্যবহার হচ্ছে তাতে পরিবেশের ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পাবে। এ ধরনের একাধিক  প্রকল্প আরো নেয়া যেতে পারে।

 

প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মুক্তাদির বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবির সহযোগিতায় জরুরি সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় ‘ওমনি প্রসেসর’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এটি সরাসরি পরিবেশবান্ধব প্রকল্প। অন্য প্রকল্পে যে পরিমাণ জমির প্রয়োজন হয় ‘ওমনি প্রসেসর’ প্রয়োজনের চেয়ে ৭৫-৮০ শতাংশ কম জমিতে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এখান থেকে যা নির্গত হবে তার প্রতিটি জিনিসই পরিবেশবান্ধব। সমসাময়িক যত পদ্ধতি রয়েছে এটি সর্বাধুনিক  পদ্ধতি। তবে চ্যালেঞ্জ হবে প্রকল্পটি অপারেশনের জন্য দক্ষ লোকবলের। তারপরও আমরা এর ফল দেখতেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে পরবর্তী প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব করা হবে। 

 

স্থানীয় একাধিক পরিবেশবাদী সংগঠন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।


বর্জ্য বিদ্যুৎ   রোহিঙ্গা ক্যাম্প   বিদ্যুৎ উৎপাদন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার রাজধানী বনশ্রীতে আগুন

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১ টা ১৫ মিনিটে ভবনটির আগুন নির্বাপণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করে।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভবনটিতে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নির্বাপণ হয়।


আগুন   বনশ্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জিয়াউর রহমান ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের মতোই ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ পরিতাপের বিষয়, সেই বিএনপি মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস ১৭ এপ্রিল পালন করে না।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ এপ্রিল) গ্রিসের এ‌থে‌ন্সে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তি‌নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের যে ভাষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই ৭ মার্চও বিএনপি পালন করে না। এ থেকেই স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি কতটুকু বিশ্বাস করে তা প্রমাণ হয়।

মুজিবনগর দিবস স্মরণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলা অর্থাৎ বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের আগের মধ্যরাতে দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের কলকাতা প্রেস ক্লাবে সমবেত হতে বলা হয়। গোপনীয়তার মধ্যে তাদেরকে পরদিন সকালে মুজিবনগরে পৌঁছানো হয় যেখান থেকে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।

এ সময় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনানুগ ও পরিশ্রমী জীবনের জন্য নিজের ও গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসার কথা জানিয়ে এই সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং সবাইকে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে আহ্বান জানান মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ জানান, গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাথে বৈঠকে জানিয়েছেন, গ্রিস আরও ৬টি দেশে দূতাবাস খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   জিয়াউর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে ভিডিওটি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে পুরো উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সেই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান রাজ্জাক হাওলাদার ওই নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন।

জানা গেছে, এর আগেও উপজেলার কয়েকজন নেতার সঙ্গে ওই নারীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়। এ নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয় ক্ষোভ।

অপরদিকে ওই নারীর বিরুদ্ধে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া থানায় গত ১২ এপ্রিল পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি যদি তার নিজের লোভ লালসা ধরে রাখতে না পারে তাহলে পুরো এলাকার মানুষ কার ওপরে ভরসা করবে। তার এমন কর্মকাণ্ডে আমরা লজ্জিত। তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা’।

এ বিষয়ে উপজেলার পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

এর আগে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ওই নেতার নাম মিনহাজুল আবেদীন মিঠু। তিনি তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর সঙ্গে ওই নারীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এক মিনিট চার সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে মিঠু ওই নারীর সঙ্গে বেশ অন্তরঙ্গ অবস্থায় সময় কাটাচ্ছেন।

এ ঘটনায় তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ হয়নি। এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সরোয়ার হোসাইন স্বপন জমাদ্দার বলেন, ভিডিওর কথা আমিও লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু সত্য-মিথ্যা বলতে পারব না।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, ভিডিওর সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটিকে সুপারিশ করা হবে।


আওয়ামী লীগ   আপত্তিকর ভিডিও   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্চে সড়কেই এক-তৃতীয়াংশ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ মোটরসাইকেলের আরোহী। মার্চ মাসের সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে দুর্ঘটনার প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ মাসে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০৩ জনই মোটরসাইকেলের আরোহী ছিলেন, যা সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহত ব্যক্তির ৩৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৪ জন নারী ও ৬৩ জন শিশু। এ ছাড়া ৭৮ জন পথচারীর পাশাপাশি ১৩০ জন বিভিন্ন যানবাহনের চালক নিহত হয়েছেন। নিহত অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে পরিবহন শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ২২৮ জন। এ ছাড়া গত মাসে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং নৌপথের সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।


মোটরসাইকেল আরোহী   সড়ক দুর্ঘটনা   যাত্রী কল্যাণ সমিতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন