ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষামন্ত্রী বনাম জেলা প্রশাসক: কে সত্যি?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail শিক্ষামন্ত্রী বনাম জেলা প্রশাসক: কে সত্যি?

প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিতর্ক নতুন রূপ নিয়েছে। সম্প্রতি চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূমিগ্রহণ নিয়ে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের অবস্থান এখন মুখোমুখি। এ নিয়ে আজ একটি জাতীয় দৈনিকে খবরও বেরিয়েছে যার শিরোনাম মন্ত্রী ঘনিষ্ঠজনদের দুর্নীতির জাল। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ সম্প্রতি একটি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আগে কিছু ব্যক্তি পরস্পরের যোগসাজশে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে জমি ক্রয় করে এবং অস্বাভাবিক মূল্য দেখানো হয়। আর এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন এবং এই কমিটি নির্ধারিত মৌজায় জমি বেচাকেনার দলিল পর্যালোচনা করে ১৩৯টি দলিল পায় অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে। এটিতে ২০ গুণ বেশি দামে কেনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। আর এসব দলিল হয়েছে ২০২০ সালের ১৮ মে থেকে ২০২১ সালের ১৫ মে'র মধ্যে অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরুর পর ওই সমস্ত জমি কেনাবেচা হয়েছে বলেও জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। আর এই অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর দিকে। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনরাই এ সমস্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় করেছে।

অভিযোগ উঠেছে যে, জমি ক্রয়-বিক্রয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ভাই জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫.৬৮ একর জমি দলিল করেছেন। তার মামাতো ভাই এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলামের নামে ১৬১ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়েছে। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চাঁদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর নামেও কেনা হয়েছে ৯৩ শতাংশ জমি। আর চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত এই জমি ক্রয়ের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা বলেছে যে, ওই এলাকায় প্রকৃত মৌজার দর ধরে জমির অধিগ্রহণের দাম নির্ধারণ করলে ৬২ একরের দাম হয় ১৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু হঠাৎ উচ্চমূল্য দেখিয়ে এসব দলিল করা হয়েছে, যেটা আমলে নিলে সরকারকে ৫৫৩ কোটি টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ সরকারকে ৩৫৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হবে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য। বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠান গত ১৬ নভেম্বর। তাতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছর ৬ এপ্রিল চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সদর উপজেলার ১১৫ নম্বর লক্ষ্মীপুর মৌজার ৬২.৫৪৯০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল জমির দাগসূচি চূড়ান্ত করে অধিগ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব পায় জেলা প্রশাসন। কোন জমি অধিগ্রহণ করা হবে সেটা নির্বাচন করছে প্রত্যাশী সংস্থা অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মৌজায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নির্ধারিত বাজারমূল্য অনুযায়ী নামশ্রেণী প্রতি শতাংশ জমির দাম ১৩ হাজার ৮০২ টাকা। বিভিন্ন শ্রেণীর ভূমির জন্য সাব-রেজিস্ট্রি সংরক্ষিত সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্ধারিত মৌজার দরের তুলনায় অধিগ্রহণের জন্য সংগ্রহ মূল্যহার চরম অস্বাভাবিক বেশি, যা ২০.৪ গুণ দেখা যায়। এটা বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর। এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় চরম অস্বাভাবিক দলিলগুলো বিবেচনায় নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের প্রাক্কলন তৈরি করলে সরকারের ৩৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা ক্ষতি হত। একই সঙ্গে মানুষ ভূমি হস্তান্তরসহ এই সংক্রান্ত নানা অসুবিধার মধ্যে সম্মুখীন হতো। তাই অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যের সম্পদের দলিল ছাড়া ওই মৌজায় অন্যান্য সাব-কাবলা বিবেচনায় নিয়ে ওই জমি অধিগ্রহণের প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের এই প্রতিবেদনকে শিক্ষামন্ত্রী অস্বীকার করেছেন এবং শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে, এই ভূমিগ্রহণ বা অধিগ্রহণের সঙ্গে তিনি বা তার পরিবারের কেউ জড়িত নয়। আমরা আসুন নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করে দেখি আসলে কে সত্যি।

যেকোনো জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমির মূল্য নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক বা ডিসট্রিক্ট কালেক্টর। এখানে জমির মালিকের জমির মূল্য নির্ধারণ করার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে অস্বাভাবিক মূল্য ধরলো কে, এই প্রশ্নটি আসে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি, ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০০৭ এর ৯ (১) অনুযায়ী প্রাক্কলন প্রস্তুত করতে হবে। আইন অনুযায়ী, চার ধারার নোটিশ জারির পূর্ববর্তী ১২ মাসের গড় মূল্য নির্ধারিত নিয়মে হিসাব করা হয়। তাহলে প্রশ্ন উঠলো যে, ভূমির মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি ভূমির মালিকদের কোনো ভূমিকা না থাকে, তাহলে ভূমির মূল্য যদি কৃত্রিমভাবে কেউ বাড়ায় তাহলে জেলা প্রশাসন কেন সেটি করলো না। আর এ থেকেই একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, একটি অশুভ চক্র নির্বাচনের আগে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যাচার এবং পরিকল্পিত অপপ্রচারের ভূমিকা নিচ্ছে, সেখানে প্রশাসনের ভূমিকাটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়টি স্পর্শকাতর একটি বিষয় এবং যেটিকে এখন একটি রাজনৈতিক আবরণ দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজেই এই বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত হওয়া দরকার বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

শিক্ষামন্ত্রী   ডা. দীপু মনি   জেলা প্রশাসক   চাঁদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৩:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail শেরপুর প্রিমিয়ারি ক্রিকেট লীগের উদ্ভোধনী ম্যাচে খেলোয়ারদের সঙ্গে করমর্দন করছেন জেলা প্রশাশক

শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন করেন।

 

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, জেলা ক্রীড়া অফিসার ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

 

উদ্বোধনী খেলায় সবুজসেনা স্পোর্টিং ক্লাব সাইকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।  ক্রিকেট লীগে মোট ৫ টি দল অংশগ্রহণ করছে। 


শেরপুর প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ   শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র গরমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে পৃথকভাবে জানানো হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানোর জন্য আমরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে।

তিনি জানান, শিক্ষার্থী সুরক্ষা ও অভিভাবকদের দাবির কথা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপদাহে শিশু কিশোরদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক স্কুলের ছুটি ২১ এপ্রিলের পরিবর্তে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকবে। ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে। এ সময় সরকারি স্কুল, শিশুকল্যাণ ও টাস্ট্রের স্কুলগুলো ও উপানুষ্ঠাানিক শিক্ষা ব্যুরো স্কুল ছুটি থাকবে।

এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে আপাতত অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এতে জানানো হয়, দেশজুড়ে বহমান দাবদাহের দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটি বলছে, দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই দেশের সব স্কুল-কলেজ- মাদরাসা আগামী ৭ দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাচ্ছি।


তাপদাহ   গরম   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে নিহত নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত করলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নিহত দুই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়িতে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। এসময় নিহতের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ঘটনায় জরিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ফরিদপুরের  জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক,  সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ,  মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক,  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এলাকার গণ্যমান্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে আগুন দেয়া সন্দেহে বিদ্যালয়ের নির্মাণ শ্রমিকদের ওপরে হামলা চালায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় তাদের গণপিটুনিতে দুই ভাই নিহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ সদস্যসহ আহত হন ৭ জন। পরে ফরিদপুর জেলা পুলিশ এবং রাজবাড়ি জেলার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একটানা এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন যে উপায়ে

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ব্যবহার করে থাকেন এয়ার কন্ডিশনিং (এসি)। কিন্তু এসি চালানোর কারণে বিদ্যুতের বিলও অনেকটাই বেড়ে যায়। যার কারণে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। আজ জেনে নিন এমন কিছু উপায় যাতে এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন অনেকটাই।

অনেকেই মনে করেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এসি চালালে ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে। কিন্তু বিষয়টি কিন্তু একেবারেই তা নয়। এর ফলে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাতে পারে বিদ্যুৎ বিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি চালানোর ক্ষেত্রে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে অনেকটাই।

এসিতে ফিল্টার থাকে যা ধুলাবালি প্রতিরোধ করে। যদি এই ফিল্টারটি নোংরা হয়ে যায় তবে এসিকে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করতে অনেকটাই বেশি পরিশ্রম করতে হয়, যার ফলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই প্রতি মাসে ফিল্টার পরিষ্কার করুন এবং বছরে অন্তত ১-২ বার এসি সার্ভিসিং করুন। এর ফলে বাঁচবে আপনার বিদ্যুতের বিল।

এসি ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন ঘর থেকে যেন ঠান্ডা বাতাস বের না হয়। এ জন্য ঘরের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। আপনি দরজায় একটি ক্লোজার ইনস্টলও করতে পারেন যাতে দরজা খোলার পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যাতে আপনার ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকে। এতে আপনাকে একটানা এসি চালাতে হবে না এবং আপনার বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।

ফ্যান রুমে বাতাসের সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে ঘরের সর্বত্র শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। এসি চালুর আগে টেবিল ফ্যান চালিয়ে কিছু সময় ঘর ঠান্ডা করুন এরপর আপনি এসি চালু করতে পারেন। এর ফলে এসি সহজেই কম সময়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দেয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে, আপনি রাতে ঘুমানোর সময় টাইমার সেট করতে পারেন, যার ফলে ১.২ ঘণ্টা পরে এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সারা রাত এসি চলবে না এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এছাড়াও, সারাদিন একটানা এসি চালাবেন না, বরং একটি টাইমার সেট করুন।


এসি   বিদ্যুৎ   বিল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে মেলায় চলছে জুয়ার আসর

প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে মেলায় প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর

জয়পুরহাটের তেঘর গ্রামে সনাতন ধর্মের নীলকন্ঠ শিব পূজা উপলক্ষে চলা শত বছরের পুরাতন শিব মেলায় চলছে জুয়ার আসর। জেলার মোহাম্মদাবাদ ইউপি সংলগ্ন মন্দির এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেলাতে হরেক রকম পণ্য ও খেলনা-পাতির সাথে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর।

 

মেলা কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এই মেলা কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়া চলে সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে প্রশাসনের কেউই এই দায় নিতে নারাজ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘জুয়ার বিষয় জানা ছিল না। যেহেতু আমার নজর এসেছে এখনই বন্ধ করা হবে।’


জুয়ার আসর   নীলকন্ঠ শিব পূজা   মাদক বিক্রি ও সেবন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন