ইনসাইড বাংলাদেশ

বাজুস উইমেনস এওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ৩ নারী উদ্যোক্তা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২২


Thumbnail বাজুস উইমেনস এওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ৩ নারী উদ্যোক্তা

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন- বাজুস জুয়েলারী শিল্পে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৩ নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দিয়েছে। সংগঠনটি প্রথমবারের মতো বাজুস উইমেন এওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করেছে, যা পেয়েছেন দি আমিন জুয়েলার্সের কর্ণধার কাজী নাজনীন ইসলাম নিপা, বাংলাদেশ পার্ল হাউসের কর্ণধার কৃঞ্চা কর্মকার ও পালস প্যারাডাইসের কর্ণধার তাহমিনা এনায়েত।

রোববার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ণিল অনুষ্ঠানে এই উইমেন এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ফরিদা হোসেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্সের সদস্য সুলতানা রাজিয়া ও তাসনিম নাজ।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন   বাজুস   বসুন্ধরা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিমানে ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিনিময়

প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানের প্রতিটি কোনায় ঘোরাফেরা করেন। ফ্লাইটের ভেতর যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। 



বুধবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০৮ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।



প্রধানমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে বেশকিছু সময় কাটান। এ সময় কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। কয়েকজন নারী যাত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন।এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে যাত্রীর বাচ্চাকে কোলে নিতে দেখা গেছে।

এর আগে বিমানটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (লন্ডন সময়) যাত্রা করে।



তার আগে প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।

নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৭-২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন এবং এর ফাঁকে অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।



ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সত্যি কি অবস্থান বদলেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কথার বাইরে যাবে না তার এরকম বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তার এই বক্তব্য আরও পূর্ণতা পায় আজ হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রথমবারের মতো স্বীকার করা হয় যে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এর সৌজন্য বৈঠক হয়েছে। হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ বিষয়ক সমন্বয় জন কিরবি জ্যাক সুুলিভানের সাথে বৈঠকের তথ্যটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেন। এর ফলে রাজনীতিতে নানামুখী গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। 

যেকোনো বিচারে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এবং বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থ দেখভাল করেন। যেকোনো বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক এই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে? তার ইঙ্গিত কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার, মত প্রকাশের অধিকার যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত ইস্যু। 

বাংলাদেশ এবং ভারত অভিন্ন ভাবে গত এক বছরে বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ইস্যুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে বা গণতন্ত্রের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বার বার আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের উত্থান ইত্যাদির প্রসঙ্গত তৈরি করা হচ্ছে। ভারত সুস্পষ্টভাবে বলছে, বাংলাদেশে যদি সরকারের ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন হয় বা অন্য কোনো সরকার আসে তাহলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে মদদ দেওয়া হবে, পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যদি মদদ এবং পৃষ্ঠপোষকতা পায় সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলের সন্ত্রাসবাদের নতুন করে উত্থান ঘটবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হচ্ছে যে, এই সরকার জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাই যদি শেষ পর্যন্ত এই সরকারের কোনো রকম পরিবর্তন হয় তাহলে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে পারে। বাংলাদেশ আরেকটি আফগানিস্তান হতে পারে এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই বার্তাটি বিভিন্ন সময় দেওয়া হচ্ছে।

আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখানে তালেবানদের হাত থেকে রক্ষা পেতে গিয়ে মার্কিনদেরকে রীতিমতো পালাতে হয়েছে। কাজেই এই উপমহাদেশের যদি বাংলাদেশেও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে তাহলে এই উপমহাদেশটি আরও ভয়ঙ্কর অবস্থায় যেতে পারে এবং কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তারও হুমকিতে পড়তে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানা যায়নি। তবে গণতন্ত্র এবং বিশ্ব নিরাপত্তা এই দুটির মধ্যে যদি সমঝোতা করতে হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুটিকে প্রাধান্য দেবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিষয়ে বারবার অঙ্গীকার করা হচ্ছে যে, আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জ্যাক সুলিভানকে এই বিষয়টি আশ্বস্ত করেছেন। তবে এই বৈঠকের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে সরে না এলেও যে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে একটা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে এটা অনেকেই মনে করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   শেখ হাসিনা   জ্যাক সুলিভান   মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা   বাংলাদেশের নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এক শতাংশ ভোট পড়লেও নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক: সিইসি

প্রকাশ: ০৬:০৮ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

আমাদের দেশে যদি এক শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে তবুও ওই নির্বাচন আইনগতভাবে সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

সিইসি বলেন, ‘আমরা লেজিটিমেসি (বৈধতা) নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমরা দেখবো ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। এক শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসছিলেন, তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যদি এক শতাংশ ভোট পড়ে, ৯৯ শতাংশ না পড়ে লিগ্যালি দ্যাট ইজ রাইট (আইনগতভাবে এটা সঠিক)। কোশ্চেইন অব লেজিটিমেসি মে অ্যারাইজ। বাট দ্য কোশ্চেইন অব লিগ্যালিটি উইল নট অ্যারাইজ। সো দেয়ার ইজ এ কনফ্লিক্ট বিটুইন লিগ্যালিটি অ্যান্ড লেজিটিমেসি। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাবো না। আমরা দেখবো ভোটটা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ হয়েছে কি না। এক শতাংশ লোক মাত্র ভোট দিয়েছে। তারপরও যদি দেখি ভোটার যারা এসছিলেন, তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এবং তারা নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনগত দিক থেকে লিগ্যালিটি আর লেজিটিমেসি। লিগ্যালি একটা জিনিস হলে লিগ্যালি ভ্যালিড। বাট লেজিটিমেসি (বৈধতা) একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যেখানে পারসেপশন তৈরি হয়। আমি ওই বিরোধে যেতে চাচ্ছি না। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে একটি ল’ফুল নির্বাচন করতে। আর রাজনৈতিক সমাজ লেজিটিমেসি নিয়ে ফাইট করবে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয় নিয়ে ফাইট করবে না।’


নির্বাচন   সিইসি   কাজী হাবিবুল আউয়াল   নির্বাচন ভবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা নদীর বাঁধ, পাঁচ জেলায় আকস্মিক বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

উজান থেকে তিস্তা নদী হয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে আকস্মিক বন্যা। এদিকে ভয়াবহ ঢলের আগাম পূর্বাভাসে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর ও গ্রামের বসতীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি।

 

ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ০৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ২টায় একই পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।'

 

ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের বরাত দিয়ে সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বাড়ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।'

 

এদিকে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে নজরদারী করা হচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকযোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকা দিয়ে মানুষজনকে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, তিস্তা নদীতে উজান থেকে হড়পা বান ধেয়ে আসছে এমন আগাম খবরে সতর্কবার্তা গ্রহণ করা হয়েছে। নীলফামারীর কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাই প্রথম ধাক্কা এ জেলার উপর দিয়ে আসতে পারে। এ জন্য এলাকায় মাইকিংসহ মানুষজনকে সর্তক করে তিস্তা চর ও গ্রাম এলাকা ও বাঁধে বসবাস কারীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, ভারতের উত্তর সিকিমে লোনক হ্রদে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানি প্রবল বেগে ভয়ঙ্করভাবে ঢল নেমে আসছে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হড়পা বান (আকস্মিক বন্যা) বলা হচ্ছে এটিকে।


তিনি বলেন, 'ভারত উজানের জলপাইগুড়ি ও তিস্তা নদীতে সর্তকতা জারী করেছে। সেই পানি তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বলে ভারতের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে। আজ দুপুরের পর সেই পানি প্রবেশ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এ জন্য আমরা সকল প্রকার সতর্কাবস্থান নিয়েছি। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস দিয়ে মানুষজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


নীলফামারী   তিস্তা   নদী   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেলকুচিতে প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বুধবার (৫ অক্টোবর') সকালে বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের নিশিবয়ড়া গ্রামে অবস্থিত  প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভাটি নিশিবয়ড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য আবুজার আলী সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন সমবায় মানে সকলের মনের সাথে সমম্বয়, একটি সমাজ পরিবর্তন করতে হলে সমবায়ের ভুমিকা অপরিসীম। সমবায়ের মাধ্যমে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় ঠিক তেমনি ভাবে সমাজকেও এগিয়ে নেওয়া যায়। যে কাজটি প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতি করে যাচ্ছে। আপনাদের সুন্দর এমন উদ্যোগের জন্য শুভ কামনা রইলো।

 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ শুরু করেছিলাম। আমাদের সকল পরিচালক ও সদস্যদের মনমানসিকতার কারনেই আমরা এগিয়ে যেতে পারছি। আমরা আমাদের গ্রামের সকল উন্নয়ন মূল ক, সামাজিক মূলক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছি না। সামাজিক উন্নয়ন নিয়েও কাজ করছি যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক বিরোধী, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, নিরক্ষন দূর করেন বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা, এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নসহ নানা ধরনের কাজ করে যাচ্ছি।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেলকুচি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না বেগম, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ তামাই সাব জোনাল অফিসের এজিএম কাজী মো: জসিম উদ্দিন, প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তড়িৎ, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুস সবুর তালুকদার, পরিচালক শিউলি আক্তার, সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়া, ফজলার রহমান খাঁন, সোহেল তালুকদার প্রমূখ'।

 

এ সময় বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। উপস্থিত সদস্যবৃন্দও তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।


সামাজিক সংগঠন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন