নিজ শহর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের শেষ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার পরে আলিয়া মাঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। রবিবার (১ মে) বেলা ২টা ১৮ মিনিটে অনুষ্ঠিত জানাজার নামাজে ইমামতি করেন আল্লামা মুহিবুল হক গাছবাড়ি।
জানাজার আগে মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় বক্তারা মুহিতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে রবিবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল আর চোখের জলে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের সিলেটবাসী। মরদেহ দুপুর ১২টার দিকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রথমে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) একটি চৌকস দল ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। পরে প্রয়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদসহ আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয় ৮৮ বছর।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মুহিতের মরদেহ সিলেট এসে পৌঁছে। সড়কপথে সিলেটে আসে লাশ। পরে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে। তবে লাশ আসার আগে থেকেই সেখানে দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হন। লাশ আসার পর সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের তৈরি হয়। রাতে হাফিজ কমপ্লেক্সেই রাখা হয় মরদেহ। সিলেটের মানুষ তাকে একনজর দেখে নেন শেষ দেখা।