ইনসাইড বাংলাদেশ

কম দারিদ্র্য গুলশানে, বেশি চর রাজিবপুরে: বিবিএস

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ মে, ২০২২


Thumbnail কম দারিদ্র্য গুলশানে, বেশি চর রাজিবপুরে: বিবিএস

বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দরিদ্র মানুষের বসবাস ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে। এ এলাকায় বসবাসরত দরিদ্র মানুষ মাত্র ০ দশমিক ৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায়। এখানে দরিদ্র মানুষের ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালের দারিদ্র্যের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বের করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এসব তথ্য জানিয়েছে।

রোববার (২২ মে) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) বিবিএস ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে কার্নিভাল হলে ‘প্রভার্টি অ্যান্ড আন্ডার নিউট্রিশন ম্যাপস বেজড অন স্মল এরিয়া এস্টিমেশন টেকনিক’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।  

সেমিনারে দেশের দারিদ্র্য মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। এতে স্থানীয় সরকার পরিচালনার জন্য সারাদেশকে ৫৭৭টি উপজেলায় (মেট্রোপলিটন থানাসহ) বিভক্ত করা হয়েছে। যাতে এসব ডাটা ব্যবহার করে দারিদ্র্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

বিবিএস’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে সংস্থাটির প্রভার্টি অ্যান্ড আন্ডার নিউট্রিশন ম্যাপিংসের ফোকাল পয়েন্ট মো. আলমগীর হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর জেনি পিয়ার্সি উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে জানানো হয়, বিভাগের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার গ্রুপে অবস্থানকারী উপজেলার সংখ্যায় বৈষম্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায় চট্টগ্রাম বিভাগে। অতি নিম্ন দারিদ্র্যের হার গ্রুপে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোনো উপজেলা নেই। রংপুর বিভাগে অতি নিম্ন দারিদ্র্যের হার গ্রুপে অবস্থানকারী উপজেলা শুধু একটি। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে অতি উচ্চ দারিদ্র্যের হার গ্রুপে অবস্থানকারী উপজেলা মাত্র একটি।

ঢাকা বিভাগে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৭৭টি উপজেলা-মেট্রো থানা রয়েছে অতি নিম্ন দারিদ্র্যের হার গ্রুপে। একই সঙ্গে এ বিভাগে ১২টি উপজেলা রয়েছে অতি উচ্চ দারিদ্র্যের হার গ্রুপে।

বরিশাল বিভাগে দারিদ্রের হার ২৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এই বিভাগের ভোলার দৌলতখান উপজেলায় দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ১২ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় দারিদ্র্যের হার বেশি ৫২ দশমিক ৮ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বিভাগে গড় দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এই বিভাগে সবচেয়ে কম দারিদ্র্যের হার চট্টগ্রাম সদরে, মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি দারিদ্র্যের হার বান্দরবানের থানচি উপজেলায়, ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে গড় দারিদ্র্যের হার ১৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম দারিদ্র্যের হার গুলশানে, মাত্র ০ দশমিক ৪ শতাংশ। মিঠামইন উপজেলায় সবচেয়ে বেশি, ৬১ দশমিক ২ শতাংশ। খুলনা বিভাগে গড় দারিদ্র্যের হার ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, এই বিভাগের চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা দারিদ্র্যের হার সবেচেয়ে কম, ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। সবেচেয়ে বেশি মাগুরার মোহম্মদপুর উপজেলায়, ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে গড় দারিদ্র্যের হার ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ময়মনসিংহের ভালুকায় দারিদ্র্যের হার সবেচেয়ে কম, ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এই বিভাগে সবেচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষের বসবাস জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়, ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ।

রাজশাহী বিভাগে গড় দারিদ্র্যের হার ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এই বিভাগে কম দারিদ্র্যের হার রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলায়, মাত্র ৯ শতাংশ। সবেচেয়ে বেশি নওগাঁর পোরশায়, ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

রংপুর বিভাগে গড় দারিদ্র্যের হার ৪৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। এই ব্ভিাগে সবচেয়ে বেশি দরিদ্রপ্রবণ এলাকা কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর, ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম দারিদ্র্যের হার পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায়, ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

সিলেটে গড় দারিদ্রের হার ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। এই বিভাগে কম দরিদ্রপ্রবণ উপজেলা সিলেটের বিশ্বনাথ, ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। বেশি দারিদ্র্যের হার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা, ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশে গড় দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

সেমিনারে বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা উপজেলা ও মেট্রোপলিটন ভিত্তিক দেশে গড় দারিদ্র্যের হার বের করলাম। এটা দেরিতে করতে হয়েছে নানা কারণে। তবে সামনে আরও দ্রুত সময়ে উপজেলা ভিত্তিক দেশে গড় দারিদ্র্যের হার বের করবো। তবে দেশে গড় দারিদ্র্যের হার বের করায় অনেক সংসদ সদস্য খুশি নন। দেশে গড় দারিদ্র্যের হার বেশি দেখানোর জন্য অনেক সংসদ সদস্য আমার কাছে আসেন, যাতে করে বেশি বেশি সুবিধা ভোগ করা যায়।


কম দারিদ্র্য   গুলশানে   বেশি   কুড়িগ্রামে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:৪৮ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সপ্তদশ বারের মতো ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘ সদর দফতরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয় তুলে ধরেছেন।

এ বছরের ইউএনজিএর মূল প্রতিপাদ্য, 'আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছেন।

তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর শেষ করে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করবেন এবং অবশেষে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।


প্রধানমন্ত্রী   জাতিসংঘ   বাংলায় ভাষণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিসা নিষেধাজ্ঞার সংখ্যাটি বড় নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন ‍যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় যারা পড়বেন এমন সংখ্যা বড় নয়, খুবই অল্প বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ভিসানীতির বিষয়টিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কথাও বলা আছে। দুদিন আগেই সরকারকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের বিষয়টি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সরকারের কতজন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তবে সংখ্যাটা বড় নয়, ছোট সংখ্যা।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে গতকালও খুব ভালো বৈঠক হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে। যারা নিকট অতীতে বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং পুরো বিষয়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বিস্তারিত বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ভিসানীতির ক্ষেত্রে আমরা আগে যে রিঅ্যাকশনটি দিয়েছিলাম যে, আমরা দেখব  এটা জুডিশিয়াসলি হয়, আরবিটরি যেন না হয়। এখানেও প্রত্যাশা যে, যে কয়জনের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে সেটাও যথেষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এটা তারা করবেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা মনে করি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অতীতে যেভাবে বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে তাদেরও কিছুটা কৌশলগত পরিবর্তন ভিসানীতি ঘোষণার পরে দেখেছি। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি কোনো কর্মকর্তা যদি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন, এটা যদি আমাদের কাজের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সৃষ্টি করে তাহলে আমরা সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিষয়গুলো নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 


পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী   মো. শাহরিয়ার আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এলেন যারা

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঘোষিত ভিসা নীতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজনের ওপর। আজ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে কাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের নাম ম্যাথিউ মিলার প্রকাশ্যে বলেননি। যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদেরকে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

মার্কিন দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে তাদেরকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবহিত করা হবে। এদের মধ্যে যাদের ভিসা বাতিল হয়েছে তাদের ভিসা বাতিলের তথ্য জানানো হবে। আর যাদের ভিসা নেই তারা পরবর্তীতে মার্কিন ভিসার জন্য আবেদন করলে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হবেন। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ৩ জন বিচার বিভাগের বর্তমান এবং সাবেক বিচারপতি, ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৫ জন রাজনৈতিক নেতার ওপর প্রথম পর্যায়ের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ৩ জন বিচারপতির মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন আপিল বিভাগের বিচারপতি। আর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। অবসরের আগে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা এবং ঢাকা মহানগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন বলে জানা গেছে। 

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ৩ জন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা রয়েছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের ২ জন রয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। আর অন্যদিকে বিএনপির একজনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো বলছে, ২৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছিল তার আওতায় প্রথম পর্যায়ে এই ১৩ জনকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েকজনকে পর্যায়ক্রমে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ভিসা নীতি   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নির্বাচন: ভারত কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ক্রমশ অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দানা বেঁধে উঠছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে আগামী ৭ অক্টোবর। এই পর্যবেক্ষক দলের ওপর নির্ভর করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের অনেক কিছু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তারা পর্যবেক্ষণ করবে না। যদিও তারা বাজেটের কথা বলেছে কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে যে, গত জুলাই মাসে তাদের যে প্রাক পর্যবেক্ষক দল এসেছিল তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করছে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক নাও হতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। ফলে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা অর্থহীন। কূটনীতিকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানো পরোক্ষভাবে নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিতে অনীহারই নামান্তর। এরকম একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ  সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা কিভাবে রক্ষা করবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলা করে দেশে কিভাবে একটা নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেটি এখন বড় চ্যালেঞ্জ এবং দেখার বিষয়। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে ভারতের একটি ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূল রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সকল দলের অংশগ্রহণ না হলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। অর্থাৎ সুস্পষ্ট ভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুঝাতে চাইছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। বিএনপির নাম না বললেও বোঝা যায় যে বিএনপি ছাড়া এই নির্বাচন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনে করছে, নির্বাচনে যদি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোটার উপস্থিতি থাকে তাহলে সেটি অংশগ্রহণমূলক  নির্বাচন বলে বিবেচিত হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের এমন অবস্থানের পক্ষে ভারত। ইতিমধ্যে ভারত বাংলাদেশে নির্বাচন ইস্যু নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু সেই কথাবার্তা কতটা সফল হয়েছে সেটি এখন দেখার বিষয়। 

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে চীন বা রাশিয়ার অবস্থান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বরং এই অবস্থান বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে নেতিবাচক দিকে নিয়ে যেতে পারে। চীন এবং রাশিয়া যত বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিবে বা বর্তমান সরকারকে সমর্থন করবে ততই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করতে পারে এমনটি মনে করছেন কূটনীতিকরা। আর এখানে এখন একটাই উপায় তা হল ভারত যদি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সফল হয় এবং নির্বাচন নিয়ে একটি মেরুকরণ করতে চায়। 

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান এখন প্রকাশ্য। ভারত বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এই নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করলো না করলো সেটি বড় কথা নয়। বরং ভারত মনে করে, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে তাদের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক নির্বাচন হলেই সেটি সঠিক নির্বাচন হিসেবে বিচিত হবে। এই যুক্তি নিয়ে ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছে। এখন দেখার বিষয় যে, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে কিনা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রকাশ্য বিরোধ তৈরি হয়
ভারতের। 

তবে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে ভারত প্রকাশ্য অবস্থা নেবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিকরা। ভারতের স্বার্থেই এই অবস্থান নেবে। কারণ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যাহত হলে বা অন্য কোনো অপশক্তি ক্ষমতায় এলে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বিশেষ করে কানাডার সঙ্গে যখন ভারত একটা বিরোধে জড়িয়ে আছে তখন বাংলাদেশে আবার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্য হোক এটা ভারত কখনোই চাইবে না। আর এ কারণেই ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আরও আগ্রাসী ভূমিকায় সামনের দিনগুলোতে আসবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে তারা কতটা সফল হবে সেটাই দেখার বিষয়।

বাংলাদেশের নির্বাচন   ভারত   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগ শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:৪২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।

বিবৃতিতে ম্যাথু মিলার বলেছেন, আজ শুক্রবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ব্যক্তিরা হতে পারেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা্, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য বিবেচিত না হতে পারেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত ব্যক্তিরা ভবিষ্যতে এই ভিসানীতির আওতায় মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পড়তে পারেন।

শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশেরযে লক্ষ্য তাকে সমর্থন করতেই আজকের এসব পদক্ষেপ। এ ছাড়া যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করতেই এসব পদক্ষেপ।

 মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঘোষণা দেখুন এই লিংকে


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন