ইনসাইড বাংলাদেশ

ইচ্ছেমতো পোশাক পরে নরসিংদী রেলস্টেশনে নারী হেনস্তার প্রতিবাদ

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ২৭ মে, ২০২২


Thumbnail ইচ্ছেমতো পোশাক পরে নরসিংদী রেলস্টেশনে নারী হেনস্তার প্রতিবাদ

‘অশালীন’ পোশাক পরার অজুহাতে এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী ও তার দুই বন্ধুকে হেনস্তার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকা থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ করেছেন ‘অহিংস অগ্নিযাত্রা’ নামে ২০ সদস্যের একদল নারী। তারা রাজধানীর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী। অগ্নিযাত্রায় এই নারীরা তাদের পছন্দমতো আধুনিক পোশাক পরিধান করে ছিলেন। 

শুক্রবার (২৭ মে) সকালে একটি ট্রেনে করে তারা নরসিংদী স্টেশনে আসেন বলে নিশ্চিত করেন নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. মুসা।


এর আগে গত ১৮ মে ভোরে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক পোশাক পড়া এক তরুণী দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে এসে স্থানীয় মাঝবয়সী এক নারী ও কয়েকজন বখাটের হাতে হেনস্তার শিকার হন। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পরে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ঘটনার সপ্তাহ পেরুলেও মূলহোতা মাঝবয়সী ওই নারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

নারী দলের সদস্যরা জানান, আমাদের ইচ্ছামতো পোশাক পরে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ করেছি আমরা। এটা নীরব প্রতিবাদ আমাদের। আমরা স্টেশনে এসে এখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি, সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। মূলত তাদের সঙ্গে একটা মানবিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি।


তারা বলেন, স্টেশনে তরুণী হেনস্তার বিষয়টি লজ্জার। আমরা এই হেনস্তার প্রতিবাদে নিজেদের ইচ্ছামতো পোশাক পরে আজ নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ করেছি। 

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. মুসা জানান, তারা একদল সংগঠক আজ সকালে স্টেশনে আসেন এবং বেশ কয়েকটি উপদলে ভাগ হয়ে স্টেশনের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেন, ছবি তোলেন। এ সময় তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং আমার কক্ষে এসে সেদিনের ঘটনা নিয়েও আলাপ করেন। 


পোশাক পরে   নরসিংদী   রেলস্টেশন   হেনস্তার   প্রতিবাদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় ৮ এপ্রিলের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট মিলছে আজ

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ঈদযাত্রায় ষষ্ঠ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার মধ্যে আজ পাওয়া যাচ্ছে আগামী ৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। অনলাইনে এই টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। এবার স্পেশালসহ আন্তঃনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে বহির্গামী টিকিট সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০টি।

জানা গেছে, এর আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই সাত দিনের টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট এবার অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

এর আগে ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৭ মার্চ এবং ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে ২৮ মার্চ। এ ছাড়া ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ।


বাংলাদেশ   ঈদযাত্রা   বাংলাদেশ রেলওয়ে   ট্রেন টিকিট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়ার চেয়ে বেশি

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও ভারতের চেয়ে বেশি খাবার অপচয় করেন বাংলাদেশে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি। যা গড়ে বছরে ৮২ কেজি খাবার। বিশ্বে ২০২২ সালে মোট অপচয় হওয়া খাবারের পরিমাণ ১০০ কোটি টনের বেশি, যা বিশ্ববাজারে আসা মোট খাবারের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘের ‘খাবার অপচয় সূচক প্রতিবেদন ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির (ইউএনইপি) ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে খাবারের এ অপচয়কে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে মালদ্বীপে-২০৭ কেজি। বিপরীতে সবচেয়ে কম খাবার নষ্ট হয় মঙ্গোলিয়ায়-১৮ কেজি।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাসায় একজন ব্যক্তি বছরে সবচেয়ে বেশি খাবার অপচয় করে পাকিস্তানে-১৩০ কেজি। এরপরেই আছে নেপাল-৯৩ কেজি। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে মিয়ানমার (৭৮ কেজি), শ্রীলঙ্কা (৭৬ কেজি) ও ভারত (৫৫ কেজি)। সবচেয়ে কম ১৯ কেজি খাবার অপচয় হয়েছে ভুটানে।

খাবার অপচয় সূচকের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রে বাসাবাড়িতে একজন ব্যক্তি গড়ে বছরে খাবার অপচয় করেছেন ৭৩ কেজি। যুক্তরাজ্যের তা ৭৬ কেজি। চীনের ক্ষেত্রেও হিসাবটা একই। তবে তুলনামূলক কম অপচয় হয়েছে রাশিয়ায়—৩৩ কেজি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে অপচয় হওয়া খাবারের ৬০ শতাংশই বাসাবাড়ির। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। ২৮ শতাংশ অপচয় হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যানটিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোয়। কসাই ও মুদিদোকানে অপচয় হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার।

ওই বছরে অপচয় হওয়া ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার ছিল বিশ্ববাজারে আসা খাদ্যদ্রব্যের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখো কোটি ডলারের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। এটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। প্রতিবেদনটি এখন পর্যন্ত খাবার অপচয়ের সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরেছে।

ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এটা আমাকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আসলে বছরের প্রতিদিন এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, তা দিয়ে বর্তমানে অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে খাওয়ানো সম্ভব।’


যুক্তরাষ্ট্র   যুক্তরাজ্য   রাশিয়া   ভারত   খাবার অপচয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাহিদা অনুযায়ী শিল্পে আসছে না ভোলার গ্যাস

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিয়মিত চাহিদা থাকলেও শিল্পকারখানায় গ্যাস–সংকট মেটাতে ভোলা থেকে সিলিন্ডারে করে আনা গ্যাস আসছে খুবই সামান্য। দিনে যতটুকু আসার কথা, বর্তমানে আসছে তার সাড়ে ৩ শতাংশের কম। জানা গেছে, কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) হিসেবে সিলিন্ডারে ভরে ভোলার গ্যাস বিভিন্ন শিল্পকারখানায় পৌঁছাতে আগ্রহ দেখায় কয়েকটি কোম্পানি। প্রথম পর্যায়ে সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস সরবরাহের কাজ পায় সিএনজি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো। ধাপে ধাপে সরবরাহ বাড়িয়ে দিনে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার কথা তাদের।

তবে প্রথম পর্যায়ে দিনে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সিএনজি আকারে আনার কথা ইন্ট্রাকোর। এতে দিনে সরবরাহ করার কথা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১০ ঘনমিটার। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বর্তমানে দিনে আসছে এখন ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ঘনমিটার। ভোলায় গ্যাস উৎপাদনের কাজটি করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। আর বাপেক্সের কাছ থেকে কিনে নিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে তা সরবরাহ করে সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। সুন্দরবনের কাছ থেকে কিনে নিয়ে শিল্পে সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহ করতে গত বছর চুক্তি করেছে ইন্ট্রাকো। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা আছে তাদের।

গ্যাস কোম্পানির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সিলিন্ডার নিয়ে একটি ট্রাক ভোলা থেকে ঢাকায় এনে গ্যাস সরবরাহ করার পর আবার ভোলায় যেতে চার থেকে পাঁচ দিন লাগে। বর্তমানে ইন্ট্রাকোর এমন ট্রাক আছে পাঁচটি। একটি ট্রাকের সক্ষমতা চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার ঘনমিটার। দিনে একটি করে ট্রাকে গ্যাস সরবরাহ করছে তারা। এর ফলে ভোলার গ্যাস কাজে লাগানোর সুযোগ অতটা বাড়েনি।

তবে ইন্ট্রাকো বলছে, ট্রাক পরিবহনের সমস্যা নেই। দেরি হচ্ছে কারিগরি কারণে। সিলিন্ডারে গ্যাস থাকে উচ্চ চাপে। চাপ কমিয়ে এটি শিল্পকারখানায় সরবরাহ করতে হয়। এর জন্য প্রতিটি কারখানায় রিডাকশন কন্ট্রোল ইউনিট (আরসিইউ) বসাতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট কারখানার উপযোগী করে একটি আরসিইউ বসাতে দুই মাস থেকে আড়াই মাস সময় লাগে।

ইন্ট্রাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী বলেন, প্রথম ৫০ লাখ ঘনফুটের বরাদ্দ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন কারখানার চাহিদা বুঝে আরসিইউ বসাতে সময় লাগছে। এপ্রিল থেকে সরবরাহ বাড়বে। এরপর আগামী মে মাস থেকে পুরোদমে সরবরাহ করা যাবে। তবে নতুন করে যারা চাহিদা দিচ্ছে, তাদের ডিসেম্বর থেকে দেওয়া যাবে।

ইন্ট্রাকো ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি সই হয়েছে গত ২১ মে। এর আগে ১০ মে ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে তিতাসের আওতাধীন শিল্পকারখানায় সরবরাহের বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে জ্বালানি বিভাগ। এতে গ্যাসের দাম, বিভিন্ন সংস্থার মার্জিন, গ্যাস সরবরাহকারীর জন্য পালনীয় শর্তের বিষয় উল্লেখ করা হয়। কারখানা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে ইন্ট্রাকো পাচ্ছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা। আর পাইপলাইন থেকে এখন সরাসরি শিল্প গ্যাস পাচ্ছে প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকায়। তবে সরবরাহ সংকটে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছে না শিল্প। গত ২১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে ইন্ট্রাকো।

মূলত তিতাস গ্যাস কোম্পানির আওতাধীন ঢাকার আশপাশের শিল্প গ্রাহকদের মধ্যে এ গ্যাস বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক শিল্পকারখানা চাহিদা মেটাতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে করে গ্যাস নেয়। এতে বাড়তি দামে গ্যাস কেনার পাশাপাশি পরিবহন খরচও নিজেদের দিতে হয়। এ হিসেবে ভোলার গ্যাস কারখানায় পৌঁছে দিলে তৈরি পোশাক খাত, সিরামিক খাতের কিছু শিল্প উপকৃত হবে।

ইন্ট্রাকোর কর্মকর্তারা বলছেন, বেক্সিমকো, স্কয়ার টেক্সটাইল, ফকির অ্যাপারেলস, ব্লু প্ল্যানেট, এএনজেড ফ্যাশন, প্রতীক সিরামিকস এবং পোশাক খাতের আরও দুটি কারখানা ইতিমধ্যে তাদের চাহিদা জানিয়েছে। দিনে এখন যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করার কথা, তা এসব কারখানাতেই শেষ হয়ে যাবে।


ভোলার গ্যাস   ইন্ট্রাকো   তিতাস গ্যাস কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় টিকিট যুদ্ধের লাইন এখন অনলাইনে

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

একটা সময় ছিল যখন ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য মানুষ সেই কাকডাকা ভোর থেকে স্টেশনে লাইন ধরতেন। অনেকে তো সাহরি শেষ করেই চলে আসতেন রেলস্টেশনে। উপচে পড়া ভিড়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলত টিকিট। কিন্তু বর্তমানে তেমনটা দেখা যায় না।

বর্তমানে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনলাইনে বিক্রির কারণে এখন সেই চিত্র বদলেছে। তবে টিকিট পেতে এখন মানুষকে ‘যুদ্ধ’ করতে হচ্ছে অনলাইনে। টিকিট ছাড়ার প্রথম আধা ঘণ্টায় এক কোটির কাছাকাছি বার টিকিট কাটার চেষ্টা বা হিট হচ্ছে।

শুধু ট্রেনের টিকিটই নয়, এখন বাসের অগ্রিম টিকিটও বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যার জন্য জনসাধারণের ভোগান্তি কিছুটা কমলেও যেন স্বস্তি ফিরছে না। কারণ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নেই টিকিটের। তবে কিছু পরিবহনের কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কাটার সুযোগ থাকলেও ঢাকার বাস কাউন্টারগুলোতে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভিড় দেখা যায়নি।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হলেও সেটা চাহিদার তুলনায় কম। প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকিট অনলাইনে ছাড়া হয়, টিকিটপ্রত্যাশী থাকেন তার চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষ করে সকালে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার প্রথম আধঘণ্টায় একেকটি টিকিট পেতে গড়ে ৬০০ জন চেষ্টা চালান।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭ এপ্রিলের টিকিট। এদিন সকালে ট্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম আধঘণ্টায় ৯৪ লাখ বার এবং বিকেলে পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রির প্রথম আধঘণ্টায় ৭৪ লাখ ৫০ হাজার হিট হয়েছে। এর আগে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিটের জন্য সকালের প্রথম আধঘণ্টায় কোটির আশপাশে এবং পূর্বাঞ্চলে প্রথম আধঘণ্টায় ৫০ লাখের মতে হিট হয়েছে।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন কমপক্ষে চার লাখ টিকিটের চাহিদা থাকে। আন্তনগর ট্রেনের ৩০ হাজারের কিছু বেশি টিকিট প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না।

এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১১ এপ্রিল ঈদ হবে ধরে নিয়ে এবারের ঈদযাত্রার সূচি সাজিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

এদিকে ট্রেনের মতো এবার বাসের অগ্রিম টিকিটও অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ঈদযাত্রায় বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও টার্মিনালগুলোতে যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় নেই।

অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রির বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, বড় কোম্পানিগুলো নিজেদের বাসের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে। যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের বাস কাউন্টারে যাতায়াতের ভাড়া খরচ করতে হচ্ছে না।

অনলাইনে টিকিট বিক্রির বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে মনে করছে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেন ও বাসের টিকিট নিয়ে যাত্রীদের হয়রানি অনেকটা কমেছে। তবে যাঁদের অনলাইনে টিকিট কেনার মতো কারিগরি জ্ঞান বা ডিভাইস নেই, তাঁরা যেন বঞ্চিত না হন; সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে টিকিট নিয়ে ডিজিটাল কালোবাজারির সুযোগ বন্ধে কর্তৃপক্ষকে তৎপর থাকতে হবে।

অন্যদিকে ঈদুল ফিতরের আগের কয়েক দিনের অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। যাত্রীদের বড় অংশ অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কিনে থাকেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজের সাশ্রয়ী আসনের টিকিট অনেক আগেই অনলাইনে বা অ্যাপে বিক্রি হয়ে গেছে। যেসব টিকিট এখনো অবিক্রীত আছে, সেগুলোর দাম দুই থেকে তিন গুণ বেশি।

অপরদিকে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে ৬ এপ্রিল বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস শুরু হবে। তবে ঢাকা থেকে অগ্রিম টিকিট নেওয়ার তেমন তোড়জোড় নেই।


ট্রেন টিকিট   বাস টিকিট   অগ্রিম টিকিট   ঈদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের যে প্রমাণ দিল ইউনূস সেন্টার

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্র থেরি হয়েছে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারের বিষয় নিয়ে। তবে এবার ইউনূস সেন্টার বিষয়টি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। এতে পুরস্কার গ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে গত ১৪ থেকে ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামে বিশেষ বক্তা হিসেবে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাকু ফোরামের আয়োজক ‘নিজামী গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার’-এর মহাসচিব রভশান মুরাদভ প্রফেসর ইউনূসকে পাঠানো ইমেইলে জানান, এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখা ছাড়াও এর সমাপনী দিনে প্রফেসর ইউনূসকে ইউনেস্কো প্রদত্ত একটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

নিজামী গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে প্রফেসর ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিসিয়াল প্রোগ্রামেও প্রফেসর ইউনূস ইউনেস্কো’র পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ আছে। প্রফেসর ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী ডিনারে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেয়া হয় যাতে তিনি ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য স্টেজে সশরীরে উপস্থিত থাকেন ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ইউনূস সেন্টার ২০২৪ সালের ২১ মার্চ তারিখের প্রেস রিলিজে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অব পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য। এর পূর্বে ২০২৩ সালের জুনে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং প্রফেসর ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীনে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পাওয়ার খবরটিকে ‘প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

অন্যদিকে ইউনূস সেন্টার থেকে বরাবরের মতো মিথ্যাচার করা হয়েছে দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূস ইসরায়েলের এক ভাস্করের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন, যা গাজায় হত্যাযজ্ঞকে সমর্থনের শামিল।


‘ট্রি অব পিস’   ইউনূস সেন্টার   ড. ইউনুস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন